• খেলা

    সৌম্যর দুর্দান্ত শতকে বাংলাদেশের বড় সংগ্রহ

      প্রতিনিধি ২০ ডিসেম্বর ২০২৩ , ২:৫৮:২৫ প্রিন্ট সংস্করণ

     

    স্পোর্টস ডেস্ক

     

    সৌম্য সরকারকে বাংলাদেশ দলে ব্যর্থতার প্রতিরূপ বললে খুব ভুল বলা হবে না। তার মধ্যে প্রতিভা আছে এই কথা কেউ অস্বীকার করবে না তবে সেই প্রতিভার ছাপ দেখাতে পারছিলেন না বারবার সুযোগ পেয়েও। বারবার ব্যর্থ সৌম্য এবার নিজের জাত চেনালেন। নেলসনে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডেতে করলেন দুর্দান্ত এক শতক আর তার এই দুর্দান্ত শতেকেই বাংলাদেশ পেল বড় এক সংগ্রহ।

    বুধবার (২০ ডিসেম্বর) নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে বাংলাদেশের চলমান ওয়ানডে সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডেতে সৌম্য সরকারের দুর্দান্ত ১৬৯ রানে ভর করে কিউইদের বিপক্ষে ২৯১ রানের লড়াকু সংগ্রহ করে নাজমুল হাসান শান্তর দল।

     

    সৌম্য সরকার সর্বশেষ কবে শতক পেয়েছিলেন এই প্রশ্নের উত্তর খুজতে হলে ফেরত যেতে হবে আপনাকে ১৮৮১ দিন আগে। ২০১৮ সালে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সেঞ্চুরির দেখা পাওয়ার পর থেকে তিন অঙ্কের ম্যাজিক ফিগারে আর পৌঁছাতে পারেননি তিনি এরপরে দলে সুযোগ পেলেও সেই সুযোগ নিতে পারেননি তিনি। তবে এবার এতদিন পরে এসে সেই সুযোগ কাজে লাগালেন তিনি। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডেতে নেলসনে নিজের ক্যারিয়ার সেরা ১৬৯ রান করলেন সৌম্য। আর তার এই ক্যারিয়ার সেরা ইনিংসেই চাপে পরেও ৩০০ এর কাছাকাছি গেল টাইগারদের সংগ্রহ। শেষ ওভারে তিন উইকেট না গেলে রান হয়ত ৩০০ পার হত। সৌম্যর চোখ ধাঁধানো এই ইনিংসের পরেও ইনিংসে ৩০০ রান করতে না পারার আক্ষেপটাই হয়ত বড় হতে পাড়ে চন্ডিকা হাথুরুসিংহের শিষ্যদের জন্য।

    নেলসনের সাক্সটন ওভালে টসে জিতে বাংলাদেশকে ব্যাট করতে পাঠায় নিউজিল্যান্ড অধিনায়ক টম ল্যাথাম। সিদ্ধান্তটা কাজে আসে খানিক পরেই। দলীয় ১১ রানে বিজয়ের (২) উইকেট দিয়ে শুভ সূচনা করে কিউইরা। অ্যাডাম মিলনের বলে স্লিপে ক্যাচ দেন বিজয়।

     

    বড় স্কোর করা হয়নি অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্তরও। ব্যক্তিগত ৬ রানে আউট হন টাইগার অধিনায়ক। জ্যাকব ডাফির দিনের প্রথম শিকার তিনি। টাইগারদের বিপদটা আরও বাড়ান লিটন দাস। তিনিও ৬ রানে আউট হলে ৪৪ রানে বাংলাদেশে হারায় ৩ উইকেট।

    এরপর তাওহিদ হৃদয়কে নিয়ে ইনিংস গুছানোর মিশনে নামেন সৌম্য। তবে, দুর্ভাগ্যজনক এক রানআউটে থামতে হয় হৃদয়কে। বোলার পায়ে লেগে বল আঘাত হানে উইকেটে। নন-স্ট্রাইকে থাকা হৃদয়ের কিছুই করার ছিল না। দলের স্কোর তখন ৮০ রানে ৪ উইকেট। মুশফিকুর রহিম ক্রিজে এসে সৌম্যকে সঙ্গ দিয়েছেন অনেকটা সময়। দেখেশুনে খেলে নিজের আর দলের স্কোর বাড়িয়েছেন।

    ৩৫তম ওভারের পঞ্চম বলে দলীয় ১৭১ রানে আউট হন মুশফিক। জ্যাকব ডাফির অফ স্ট্যাম্পের বাইরে টোকা দিতে গিয়ে এজড হয়ে উইকেটরক্ষক টম ব্লান্ডেলের হাতে চলে যান। ব্যক্তিগত ইনিংসে ৪৫ রান করে সাজঘরের পথ ধরেন তিনি। ডাফির তৃতীয় শিকার হয়ে তাকেও ফিরতে হয় বড় স্কোর করার আগে।

    মুশফিকের সঙ্গে ৯১ রানের জুটিতে থাকা অবস্থাতেই নিজের অর্ধশতকের দেখা পেয়েছেন সৌম্য। এরপর মিরাজকে নিয়ে গড়েছেন ৬১ রানের জুটি। ব্যক্তিগত ১১৬ বলে তিন অঙ্কের ম্যাজিক ফিগার স্পর্শ করেন তিনি। এরপরের সৌম্যর একাই টেনেছেন বাংলাদেশের ইনিংস। মাঝে মিরাজের ১৯ আর তানজিম সাকিবের ১৩ রানের ক্যামিও তাকে সঙ্গ দিয়েছে। মিরাজের পর জুনিয়র সাকিবের সঙ্গে তার জুটি ৪০ রানের। তবে ইনিংস শেষ করে যেতে পারেননি তিনি। ব্যক্তিগত ১৬৯ রান করে আউট হন সৌম্য যা ওয়ানডে ইতিহাসে বাংলাদেশের পক্ষে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ।

    তানজিম সাকিবের পরেই এসেছিলেন রিশাদ। নিজের অভিষেকে প্রথম বলেই ছয় মেরেছেন। যদিও আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে বর্ণিল শুরুটা আর বড় করা হয়নি। আর শেষ ওভারে তিন উইকেট হারিয়ে ২৯১ রানেই থামতে হয়েছে বাংলাদেশকে।

    কিউইদের পক্ষে উইলিয়াম ও’রোকে ও জ্যাকব ডাফি সর্বোচ্চ তিনটি করে উইকেট নিয়েছেন।