• খেলা

    সাতক্ষীরার মেয়ে সাফ জয়ী রাজিয়া মারা গেছেন

      প্রতিনিধি ১৪ মার্চ ২০২৪ , ১০:৪৩:১৬ প্রিন্ট সংস্করণ

     

    ক্রীড়া প্রতিবেদক

     

    সন্তান প্রসবকালীন জটিলতায় মারা গেছেন সাবেক জাতীয় ফুটবলার রাজিয়া খাতুন। বুধবার রাত ১০টায় সন্তান জন্মদানের পর শারীরিক জটিলতা শুরু হয়। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের কারণে মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট সূত্র।

    সাবিনা খাতুন-কৃষ্ণা রানী সরকাদের সঙ্গে জাতীয় দলের আবাসিক ক্যাম্পে নিয়মিত ছিলেন রাজিয়া খাতুন। ২০১৮ সালে সাফ অনূর্ধ্ব-১৮ জয়ী দলের সদস্য ছিলেন তিনি। ২০১৯ সালে জাতীয় দলের হয়ে সাফ চ্যাম্পিয়নশিপও খেলেছেন রাইট মিডফিল্ড পজিশনে খেলা রাজিয়া।

    রাজিয়া সাতক্ষীরার মেয়ে হলেও টাঙ্গাইল জেলা দলে কয়েক বছর খেলেছে। টাঙ্গাইল জেলা দলের কোচ গোলাম রায়হান বাপন কালবেলাকে মৃত্যুর বিষয় নিশ্চিত করে বলেছেন, ‘আমি যতোদূর জানতে পেরেছি বাড়িতে নরমাল ডেলিভারিতে সন্তান জন্ম দিয়েছে রাজিয়া। কিন্তু তার পর থেকে রক্তক্ষরণ শুরু হয়। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের কারনেই তার মৃত্যু হয়েছে বলে ঘণিষ্ঠ আত্মীয়রা জানিয়েছেন।’

    গোলম রায়হান বাপনের সহোদর গোলাম রাব্বানী ছোটনের অধীনে বিভিন্ন বয়সভিত্তিক দল ও জাতীয় দলে খেলেছেন রাজিয়া। জাতীয় দল ছেড়ে সেনাবাহিনীর দায়িত্ব নেওয়া এ কোচ সাবেক শিষ্য সম্পর্কে বলেছেন, ‘বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে) নারী ফুটবলারদের নিয়ে জাতীয় দলের আবাসিক ক্যাম্প করার সূচনাতে সাবিনা-কৃষ্ণাদের সঙ্গী ছিল রাজিয়া। ২০১৫ সালে এএফসির বয়সভিত্তিক কার্যক্রম, ২০১৬ সালে এএফসি অনূর্ধ্ব-১৬ নারী বাছাই ও চূড়ান্ত পর্বের দলেও সে ছিল। ২০১৮ সালে অনূর্ধ্ব-১৮ সাফ ও ২০১৯ সালে সিনিয়র সাফ চ্যাম্পিয়নশিপেও খেলেছে সাবেক এ রাইট মিডিফিল্ডার।’

    সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের পর ২০১৯ সালে জাতীয় দল থেকে বাদ পড়েন। পরবর্তীতে ঘরোয়া কার্যক্রমে নিয়মিত ছিলেন রাজিয়া।

    বাংলাদেশের বয়সভিত্তিক দলগুলোতে নিয়মিত খেলেছিলেন তিনি। তার ঝুলিতে আছে অনূর্ধ্ব-১৮ নারী সাফের শিরোপা। তবে রাজিয়া খাতুনের খেলা হয়নি জাতীয় দলের। বাদ পড়েন বাফুফে ক্যাম্প থেকে।

    নারী ফুটবলের পরিচিত সেই মুখ আর নেই। আজ বৃহস্পতিবার (১৪ ফেব্রয়ারি) ভোরে সন্তান জন্ম দিতে গিয়ে পরপারে পাড়ি জমান রাজিয়া। দেশের ফুটবলাঙ্গনে নেমে আসে শোকের কালো ছায়া। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিলো ২৩ বছর।

    এর বুধবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) রাতে সাতক্ষীরা জেলার কালীগঞ্জে নিজ বাড়িতে পুত্র সন্তানের মা হন রাজিয়া। এরপর থেকে প্রসব পরবর্তী জটিলতা দেখা দিলে তাকে নিয়ে যাওয়া হয় সাতক্ষীরা হাসপাতালে। সেখানে তাকে মৃত ঘোষণা করেন দায়িত্বরত চিকিৎসক।

    এ সময় চিকিৎসকরা জানান প্রসবে পরে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ হয় তার। সেই রক্তক্ষরণের কারণে মৃত্যু হয় রাজিয়ার। জাতীয় নারী ফুটবল দলের বেশ কয়েকজন ফুটবলার শোক প্রকাশ করেছেন।

    সাতক্ষীরার ২০০১ সালের ২৫ জানুয়ারি জন্ম গ্রহণ করেন রাজিয়া। তিনি বাংলাদেশের নারী ফুটবলের উত্থানের শুরুর দিকের একজন। রাজিয়া ২০১৩ ও ১৫ সালে এএফসি অনূর্ধ্ব-১৪ আঞ্চলিক (সেন্ট্রাল ও দক্ষিণ এশিয়া) চ্যাম্পিয়নশিপের শিরোপাজয়ী দলের সদস্য ছিলেন।

    আরও খবর

    Sponsered content