নিখোঁজের একদিন পর অজ্ঞান অবস্থায় পাওয়া গেছে ছাত্রলীগ নেতাকে

নিখোঁজের একদিন পর ব্রিজের নিচে অজ্ঞান অবস্থায় পাওয়া গেছে ছাত্রলীগের এক নেতাকে। অজ্ঞান পার্টি তার কাছ থেকে টাকা ও মোবাইল ফোন ছিনতাই করার জন্যই এ ঘটনা ঘটিয়েছে বলে দাবি পুলিশের।

ঘটনাটি শরীয়তপুর জেলার ভেদরগঞ্জ উপজেলার কার্তিকপুর ব্রিজের নিচে ঘটেছে বলে জানিয়েছে থানা পুলিশ।

মঙ্গলবার (২১ ফেব্রুয়ারি) রাত ১১টার দিকে স্থানীয়রা ওই ছাত্রলীগের নেতা নাইম আকনকে অজ্ঞান অবস্থায় পেয়ে পুলিশকে খবর দিলে ভেদরগঞ্জ থানা পুলিশ তাকে ভেদরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কম্পেলেক্সে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে রাত পৌনে ১২টায় তাকে হাসপাতালে আনা হয়েছে।

নাইম আকন শরীয়তপুর জেলার গোসাইরহাট থানার নাগেরপাড়া ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক। তিনি কেচুয়ারচর গ্রামের বশির আকনের ছেলে।

নাইম আকনের কাকা ইকবাল আকন বলেন, সোমবার ২০ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যা থেকে নাইমকে পাওয়া যাচ্ছিল না। অনেক খোঁজাখুঁজি করে আমরা তাকে না পেয়ে গোসাইরহাট থানায় সাধারণ ডায়েরি করেছিলাম। একজন আমাকে ফোন করে বলল, নাইম ভেদরগঞ্জ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। খবর পেয়ে সাথে সাথে হাসপাতালে চলে এসেছি। তবে কে বা কারা আমাকে ফোন করেছে বলতে পারছি না। নাইমের এখনও ঠিকমতো জ্ঞান ফিরেনি। সুস্থ না হওয়া অবধি বিস্তারিত কিছুই বলতে পারব না।

মুমুর্ষ নাইমের বন্ধুরা পুলিশের সাথে দ্বিমত করে বলেছেন, নাইম এতদূরে কেন এসেছিল তা উদঘাটন করা গেলেই মূল রহস্য বের হয়ে আসবে।

নাগেরপাড়া ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম ঢালী বলেন, নাইম আমার দীর্ঘদিনের সহযোদ্ধা। তার সাথে কখনো কারো ঝামেলা হয়েছে এরকম কথা আমি এখন পর্যন্ত শুনিনি।

ভেদরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা হাসান ইবনে আমিন বলেন, নাইমকে হাসপাতালে আনা হয়েছে রাত পৌনে বারোটায়। তার শরীরে কোনো আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। তবে তার কিছুটা জ্ঞান ফেরার পর তিনি আমাদের জানিয়েছেন তাকে কিছু একটা খাওয়ানো হয়েছে। তবে কে বা কারা তাকে কী খাইয়েছে তা এখনো বলতে পারেনি নাইম।

ভেদরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বাহালুল খান বাহার বলেন, স্থানীয়রা খবর দেওয়ার পরে নাইমকে উদ্ধার করে আমরা হাসপাতালে ভর্তি করেছি। তিনি এখন কিছুটা সুস্থ। আমার ধারণা অজ্ঞান পার্টি টাকা এবং মোবাইল ফোনের জন্য এ ঘটনা ঘটাতে পারে।