সারাদেশ

গোপালগঞ্জ সদর উপজেলায় নির্বাচনের ফলাফল দুইবার ঘোষণা! প্রশ্ন জনগণের?

  লুৎফর সিকদার- গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি। ৯ মে ২০২৪ , ৭:২৩:৪৮ প্রিন্ট সংস্করণ

 

গোপালগঞ্জ সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে অনুষ্ঠিত হলেও ভোট গননা নিয়ে কালক্ষেপন করা হয়।
এ ঘটনায় অন্যসব প্রার্থীদের মধ্যে সন্দেহের দানা বাধে।অবশেষে রাত সোয়া ১টার দিকে প্রার্থী ও সমর্থকরা রাগ হয়ে চলে যেতে চাইলে রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোঃ ফয়জুল মোল্লা চেয়ারম্যান পদে টেলিফোন প্রতিকের মোঃ কামরুজ্জামান ভূঁইয়াকে ৩০ হাজার ৫৮৪ ভোটে চেয়ারম্যান হিসাবে বেসরকারীভাবে নির্বাচিত ঘোষনা করেন।আর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি হিসাবে বিএম লিয়াকত আলী ভূঁইয়া আনারস প্রতিকে ২৯ হাজার ৩৬৩ ভোট পেয়েছেন বলে ঘোষনা করেন।
এতে ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন আনারস প্রতিকের প্রার্থী বিএম লিয়াকত আলী ভূইয়ার সমর্থকেরা।

 

তারা তাদের দাবীর পক্ষে প্রশাসনকে ভোট চোর ও ঘুষক্ষোর হিসাবে আখ্যায়িত করে নানা ধরনের শ্লোগান দিয়ে বিক্ষোভ করতে থাকে। ফলে প্রশাসন বিজিবি, র‌্যাব,পুলিশ এবং নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট ও প্রশাসনের লোকজন দিয়ে ফলাফল ঘোষনা মঞ্চ ও এর আশপাশ এলাকা পুরো ঘিরে ফেলে।
এর মধ্যেও সমর্থকেরা প্রশাসনের বিরুদ্ধে নানা ধরনের শ্লোগান দিতে থাকে।এতে একটা যুদ্ধাবস্থার সৃস্টি হয়।
পরিস্থিতি শান্ত করতে রিটার্নিং কর্মকর্তা ফয়জুল মোল্লা আবারও ঘোষনা দেন যে, তিনটি কেন্দ্রের ফলাফল যোগ না করেই তিনি ফলাফল ঘোষনা করেছেন।

 

পুনরায় ভোটসংখ্যা যোগ করে আবার ফলাফল ঘোষনা দেয়া হবে।হট্রোগেলোর মধ্যেই তিনি আবারও একটি ঘোষনা দেন। তাতে মোঃ কামরুজ্জামান ভূঁইয়া টেলিফোন প্রতিকে ৩১ হাজার ৩৫৪ ভোট পেয়ে বেসরকারীভাবে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন বলে ঘোষনা করেন।
নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি হিসাবে বিএম লিয়াকত আলী ভূঁইয়াকে দেখান ২৯ হাজার ৮৬৪ ভোট।এ ধরনের ঘোষনা দেয়ায় জনমনে নানা প্রশ্ন দেখা দিয়েছে এবং তারা প্রশাসনের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন যে প্রশাসন কারচুপি করে ভোটের ফলাফল পাল্টে দিয়েছে।

আরও খবর: সারাদেশ