• ওপার বাংলা

    শ্বশুরকে বেহুঁশ করে শাশুড়িকে নিয়ে জামাই উধাও

      প্রতিনিধি ২ জানুয়ারি ২০২৩ , ৩:১৪:০৬ প্রিন্ট সংস্করণ

     

    নীলাকাশ টুডেঃ শ্বশুরবাড়িতে এসেছিলেন জামাই। একসঙ্গে সঙ্গে বসে মদ খেয়ে বেশ ভালো মোজ-মাস্তি করছিলেন জামাই-শ্বশুর। এর মধ্যে মাতাল হয়ে বেহুঁশ হয়ে যান শ্বশুর। কিন্তু জ্ঞান ফিরে দেখেন পাশে স্ত্রী নেই। পুরো বাসা খুঁজে স্ত্রী ও জামাই কাউকেই পেলেন না। পরে জানতে পারলেন লুকিয়ে দীর্ঘদিন প্রেমের পর তাকে বেহুঁশ করে জামাই-শাশুড়ি পালিয়েছেন। ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের রাজস্থানের সিরোহির আনাদারা থানা এলাকায়।

    ভারতীয় গণমাধ্যম দ্য ওয়াল এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, ৪০ বছর বয়সি শাশুড়ির প্রেমের পড়েন ২৭ বছর বয়সি জামাই। দু’জনের ঘনিষ্ঠতা বাড়তে থাকে, অবশেষে শাশুড়িকে নিয়ে চম্পট দেন জামাই!

    জানা যায়, নারায়ণ স্বামীর সঙ্গে মেয়ের বিয়ে দেন ওই শ্বশুর। সেই থেকে স্ত্রীকে নিয়ে শ্বশুর বাড়িতে প্রায়ই আনাগোনা ছিল নারায়ণের। কিন্তু এই আসা-যাওয়ার মাঝে যে শাশুড়ির সঙ্গে গভীর প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠেছে তা ঘুর্ণাক্ষরেও টের পাননি বাবা-মেয়ে।

    গত ৩০ ডিসেম্বর শ্বশুর বাড়িতে আসেন নারায়ণ। শ্বশুরের সঙ্গে বসে জমিয়ে মদ খান। যদিও সেদিন নিজে খুব কম খেলেও শ্বশুরকে গলা পর্যন্ত মদ খাওয়ান নারায়ণ। সেই মদের নেশায় বেঁহুশ হয়ে যান শ্বশুর। বাড়ি তখন ফাঁকা। সেই সুযোগেই শাশুড়িকে নিয়ে বাড়ি ছেড়ে পালায় জামাই। ঘণ্টা কয়েক বাদে মদের নেশা কাটার পর শ্বশুর দেখেন বাড়িতে বৌ নেই। খোঁজ খবর নিয়ে জানতে পারেন জামাইয়ের সঙ্গেই পালিয়ে গেছেন তার স্ত্রী। সেই খবরের ‘শক’ এতটাই ছিল যে তা সহ্য করতে না পেরে ফের জ্ঞান হারান শ্বশুর। পরে কিছুটা ধাতস্থ হয়ে বৌ ও জামাইয়ের সন্ধানের আশায় থানায় ছোটেন তিনি।

    থানায় গিয়ে দু’জনের নামেই লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছিলেন শ্বশুর। সেই অভিযোগের বয়ানে গত শুক্রবারের পুরো ঘটনা জানান। এও জানান, সেদিন জামাই মেয়েকে নিয়ে আসেনি, একাই এসেছিল শ্বশুর বাড়ি। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, আগে থেকেই পালানোর ছক ছিল শাশুড়ি-জামাইয়ের। অভিযোগ পাওয়ার পরেই দু’জনের খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ।