সম্পাদকীয়

সারা জীবন রুপ কারও একই থাকেনা, সময়ের সাথে বদলায় যমুনারও তাই!

  মোঃ নুরুজ্জামান, সম্পাদকঃ ৯ এপ্রিল ২০২৩ , ১১:০৮:৫৮ প্রিন্ট সংস্করণ

সাতক্ষীরার শ্যামনগর সদরের মধ্যে প্রবাহমান যমুনা নদী খাল হয়েছে অনেক দিন। কিন্তু এখন যে করুন পরিণতি যমুনার তাতে সাধারণ জনগণের একটাই প্রশ্ন সে কি ফিরে পাবে তার আসল রূপ, নাকি একটি ঐক্যবদ্ধ ভূমিদস্যুর দল যমুনাকে দেখিয়ে দেবে তাদের আসল রূপ?

 

খাল বিল নদী নালা বিস্তৃত আমাদের এই নদীমাতৃক বাংলাদেশ। কিন্তু বর্তমানে কিছু ভূমিদস্যুর কারণে শ্যামনগরের মত সারা বাংলাদেশ খাল বিল নদী নালা দখল হয়ে গেছে, যার ফলে বর্ষা মৌসুমী সারাদেশে জলবদ্ধতা সৃষ্টি হয়। দেশ ভরে যায় বন্যার কবলে সেই জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সারাদেশে নদী ও খাল খননের ব্যবস্থা গ্রহণ করেছেন। কিন্তু সব ঠিকঠাক চললেও বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে- অবৈধ স্থাপনা, সারা দেশের ন্যায় শ্যামনগর পৌরবাসী সহ শ্যামনগরের মানুষ বলছে প্রশাসন কি পারবে ওই অবৈধ স্থাপনা ভাঙতে? নাকি শুধু খাল খননের নামে লুটপাট আর একটি অসাধু মহলকে টাকা ইনকাম করিয়ে দেওয়ার সুযোগ তৈরি করে দেওয়া নাকি শুধু লোক দেখানো আর গরিবের কুঁড়ে ঘর ভাঙ্গার কার্যক্রম। খাল-বা-নদীর পাড়ে বসবাস করে সাধারণত তিন শ্রেণীর মানুষ। প্রথমত হতদরিদ্র জনগোষ্ঠী যারা নিজেদের বাস স্থান তৈরি করে নিজেরা বসবাস করে। দ্বিতীয়ত ধনীদের বড় বড় প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলে নিজেদের সুবিধার্থে। সাধারণ জনগণ বলছেন আমরা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কার্যক্রমকে স্বাগত জানাই, কিন্তু গরিবের আশ্রয় স্থান ভেঙ্গে বড়লোকের অট্টালিকা টাকার বিনিময়ে স্থায়ী থাকবে না তো? যদি তাই হয় তাহলে দরকার নেই খাল খননের নামে ওই বাস্তহারাদের উচ্ছেদ করা।

শ্যামনগর উপজেলার জনগন মনে করে প্রশাসন, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ এবং সুশীল সমাজ যদি ইচ্ছা করে তাহলে প্রবাহমান আদি যমুনা ফিরে পাবে তার আসল রূপ। প্রবাদে আছে সারা জীবন রুপ কারও একই থাকেনা, সময়ের সাথে বদলায়। যমুনারও তাই! যমুনা আগের মত তার রুপ আর ফিরে পাবে বলে বিশ্বাস হয় না। এরই মধ্যে উপজেলা সদর ইউনিয়নের একজন ইউপি সদস্য হুংকার দিয়ে বলেছে কারও সাহস থাকলে আমার বিল্ডিং ভেঙে দেখাস!