• খেলা

    ভারতের বিপক্ষে লড়াকু সংগ্রহ বাংলাদেশের

      প্রতিনিধি ১৯ অক্টোবর ২০২৩ , ১:০০:৩৩ প্রিন্ট সংস্করণ

    ক্রীড়া প্রতিবেদক

    প্রবাদ বলে ‘দিন কেমন যাবে তা নাকি সকালের শুরু থেকেই বোঝা যায়।’ বাংলাদেশের ইনিংসের এমন কথাটা বিপরীত বলে ধরে নেয়াই যায়। তানজিদ হাসান তামিম এবং লিটন দাসের কল্যাণে কী দুর্দান্ত শুরুটাই না পেয়েছিল বাংলাদেশ। প্রথম ৫ ওভারে দুজন মন্থর খেললেও পরে ব্যাট হাতে ঝড় তুলেছেন দুজনেই। কিন্তু তামিম আউট হতেই যেন বাংলাদেশ মিইয়ে যায়। রানতোলার সেই ভাটা পরে আর ঠিক করতে পারেনি ব্যাটাররা। অনেক আশা জাগিয়েও টাইগারদের ইনিংস থেমে যায় ২৫৬ রানে।

    বৃহস্পতিবার ম্যাচ শুরুর আগেই রীতিমত ধাক্কা খায় বাংলাদেশ। পরিপূর্ণ ফিট না থাকায় এই ম্যাচে মাঠে নামেননি বাংলাদেশের নিয়মিত অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। অধিনায়ক হিসেবে নিজের প্রথম ম্যাচে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন নাজমুল হোসেন শান্ত। পুনের ব্যাটিং স্বর্গে আপাতদৃষ্টিতে সঠিক সিদ্ধান্তই নিয়েছিল বাংলাদেশ।  সেই সিদ্ধান্তের মানও রেখেছেন দুই ওপেনার।

    বিশ্বকাপে বাংলাদেশের পক্ষে ওপেনিংয়ে সর্বোচ্চ রানের জুটি আসে লিটন ও তামিমের ব্যাট থেকে। দুজনের জুটি ভেঙে দেয় ৯৯ সালে পাকিস্তানের বিপক্ষে গড়া ৬৯ রানের জুটি। রানের সন্ধানে থাকা তানজিদ তামিম খেলেছেন দুর্দান্ত এক ইনিংস। মারকুটে ব্যাটিং উপহার দিয়ে তুলে নেন ফিফটি। ৫ চার আর ৩ ছয়ে ৪১ বলে আসে তার অর্ধশতক।

    কিন্তু এরপরেই বাংলাদেশ ইনিংসের লাগাম টেনে ধরেন কুলদীপ যাদব। তার বলে এলবিডব্লিউ এর ফাঁদে পড়েন তানজিদ তামিম। এই এক উইকেটের পতনই যেন ম্যাচে ফিরিয়ে আনে ভারতকে। অধিনায়ক শান্তকে বেশিক্ষণ দেখা যায়নি ক্রিজে। ৮ রানে রবীন্দ্র জাদেজার বলে আউট হয়ে ফিরে যান শান্ত। থিটু হতে পারেননি মিরাজও। ১৩ বলে ৩ রান করা মিরাজ আউট হয়েছেন নিতান্ত খামখেয়ালিতে। লেগ স্টাম্পের বাইরে দিয়ে বেরিয়ে যাওয়ার সময় অযথা ব্যাট চালিয়ে উইকেটের পেছনে ধরা পরেছেন মিরাজ।

    তবে অপরপ্রান্তে ঠিকই টিকে ছিলেন লিটন দাস। সবরকমের বিতর্ক ছাপিয়ে তুলে নিয়েছেন ক্যারিয়ারের ১২তম ওয়ানডে ফিফটি। ফিফটির পরই আগ্রাসী হবার আভাস দিয়েছিলেন লিটন। সেখানেই কাটা পড়েছিলেন তিনি। ৬৬ রানে জাদেজার বলে শুভমান গিলের হাতে ধরা পড়েন তিনি।

    ক্রিজে এসে রীতিমত সংগ্রামই করতে হচ্ছিল তাওহিদ হৃদয়কে। ৩৫ বল খেলেও কোনো বাউন্ডারির দেখা পাননি। শেষ পর্যন্ত তাকে মুক্তি দিয়েছেন শার্দুল ঠাকুর! এই পেসারের খাটো লেন্থের বলে উড়িয়ে মারতে গিয়ে মিড অনে শুবমান গিলের হাতে ধরা পড়েন হৃদয়। সাজঘরে ফেরার আগে তার ব্যাট থেকে এসেছে ১৬ রান।

    মুশফিক আভাস দিয়েছিলেন বড় ইনিংসের। ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্টে জাদেজার দুর্দান্ত ক্যাচের কারণে ফিরতে হয়েছে তাকে। ফেরার আগে করেছেন ৩৮ রান। মাঝে নাসুম চেষ্টা করেছিলেন বড় শট খেলতে। একটা চারও এসেছিল তার ব্যাট থেকে। অবশ্য সেটা আর হয়নি। ফিরেছেন উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়ে।

    ভরসার প্রতীক ছিলেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। অভিজ্ঞ এই ব্যাটারের ব্যাট থেকে এসেছে ৩ চার এবং ৩ ছয়। তার ৪৬ রানের ইনিংস বাংলাদেশকে টেনে নিয়ে গিয়েছে ২৫০ পর্যন্ত।

    আরও খবর

    Sponsered content