• বিনোদন

    বিচ্ছেদের কারণ জানালেন মাহি

      প্রতিনিধি ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ , ৬:৫৯:১৮ প্রিন্ট সংস্করণ

    নীলাকাশ টুডে

    চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহির সংসার ভাঙছে—এমন গুঞ্জন শোনা যাচ্ছিল বেশ কিছুদিন ধরেই। অবশেষে সেটিই সত্যি হলো। স্বামী রকিবের সঙ্গে এক ছাদের নিচে আর থাকছেন না বলে নিশ্চিত করেছেন মাহি নিজেই। গতকাল শুক্রবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) রাতে ফেসবুকে এক ভিডিওবার্তায় বিচ্ছেদের ঘোষণা দিয়েছেন এই অভিনেত্রী।

    ভিডিওবার্তায় মাহি বলেন, আমরা দুজন মিলেই এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমাদের মধ্যে কিছু বিষয় নিয়ে সমস্যা রয়েছে। তবে রকিব খুব ভালো মানুষ। তাকে আমি সম্মান করি। অনেক কেয়ারিং সে। কান্নাজড়িত কণ্ঠে মাহি বলেন, খুব দ্রুতই আমরা আনুষ্ঠানিকভাবে বিচ্ছেদে যাচ্ছি।

     

    মাহি আরও বলেন, আজকে এ রকম একটা ভিডিও করতে হবে, সেটা ভাবিনি। তবে মনে হয়েছে সবাইকে বলার সময় হয়েছে। নিজেদের ভালোর জন্যই সবার জানা উচিত।

    অনেক দিন ধরে আলাদা থাকছেন জানিয়ে তিনি বলেন, একটা ছাদের নিচে দুটি মানুষ কেন ভালো নেই, সেটা তারাই ভালো জানে। এটা বাইরে থেকে বোঝা যাবে না।

     

    ভিডিওবার্তায় মাহি তার সন্তানকে নিয়ে নেতিবাচক মন্তব্য না করতে নেটিজেনদের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ও হয়তো এখন এসব বুঝতে পারে না; কিন্তু একসময় এসব বুঝবে; তখন নিশ্চয়ই কষ্ট পাবে। দয়া করে এসব করবেন না। আপনারা আমার ছেলে ফারিশের জন্য দোয়া করবেন। যেন ওকে ভালো মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে পারি। সবাই দোয়া করবেন, যেন ফারিশকে নিয়ে আমার পথচলা মসৃণ হয়।

    রাত ১১টা ৪৯ মিনিটে ‘আমার ফারিশ কলিজাকে দোয়া করে দিবেন সবাই’ ক্যাপশনে দেওয়া ভিডিও বার্তা পোস্ট করেন মাহি। ৮ মিনিট ৪৩ সেকেন্ডের ভিডিওতে বলেন, আমি আর রকিব আমরা আসলে খুব ভালো আন্ডারস্ট্যান্ডিং থেকেই বিয়ের সিদ্ধান্তে এসেছিলাম এবং আমরা খুব ভালোই ছিলাম। জীবনের একটা পর্যায়ে এসে মনে হয়েছে যে, আমরা আসলে দুজন দুজনের জন্য না। এই পর্যন্ত যতগুলো দিন আমি কাটিয়েছি। সে আমার অনেক যত্ন নিয়েছে, যে কোনো প্রয়োজনে সে পাশে দাঁড়িয়েছে। সবসময় সে আমাকে ছাতার মতো করে আগলে রেখেছিল।

    ২০২১ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর রাজনীতিবিদ ও ব্যবসায়ী কামরুজ্জামান সরকার রকিবকে বিয়ে করেন মাহিয়া মাহি। তাদের ঘরে রয়েছে পুত্রসন্তান ফারিশ। এর আগে ২০১৬ সালে সিলেটের ব্যবসায়ী পারভেজ মাহমুদ অপুকে ভালোবেসে বিয়ে করেন এই অভিনেত্রী। পাঁচ বছরের মাথায় সেই সংসার ভেঙে যায়।

     

    আরও খবর

    Sponsered content