অর্থনীতি

দায়মুক্তি পাবে প্রকৃত অপরাধী, লুটের দায় পরিশোধ করবে গরিব মানুষ ও করদাতা!

  প্রতিনিধি ২৪ মার্চ ২০২৪ , ২:৩৭:৩৮ প্রিন্ট সংস্করণ

 

নীলাকাশ টুডে

তড়িঘড়ি করে ব্যাংক একীভূত করার সিদ্ধান্ত ইতোমধ্যে প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে গেছে। ব্যাংক লুটেরাদের দায় গরিব মানুষ ও করদাতাদের ওপর চাপানো হতে পারে বলে মনে করেন অর্থনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। তাদের আশঙ্কা, এতে প্রকৃত অপরাধীরা দায়মুক্তি পেয়ে যাবেন।

শনিবার ‘বিপর্যস্ত ব্যাংকিং খাতে ব্যাংক একীভূতকরণের প্রভাব’ শীর্ষক এক ওয়েবিনারে এসব কথা বলেন বিশেষজ্ঞরা। ফোরাম ফর বাংলাদেশ স্টাডিজ ওয়েবিনারের এই ওয়েবনিরের আয়োজন করে। এতে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন জার্মান ফেডারেল শিক্ষা ও গবেষণা মন্ত্রণালয়ের প্রকল্প গবেষক এবং অর্থনীতি গবেষক জিয়া হাসান। সাংবাদিক মনির হায়দারের সঞ্চালনায় ওয়েবিনারে অংশ নিয়ে বক্তব্য রাখেন সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) নির্বাহী পরিচালক ড. ফাহমিদা খাতুন, অস্ট্রেলিয়ার সিডনি পলিসি অ্যানালিসিস সেন্টারেরর অর্থনীতিবিদ ও আন্তর্জাতিক বিষয়ক পরিচালক জ্যোতি রহমান, গ্লোবাল লেবার অর্গানাইজেশন (জিএলও) দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া প্রধান ড. নিয়াজ আসাদুল্লাহ, গবেষক মাহমুদুল হাসান প্রমুখ।

 

মূল প্রবন্ধে ব্যাংক একীভূত নিয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পরিকল্পনায় ৬ দুর্বলতাকে চিহ্নিত করলেন উন্নয়ন ও অর্থনীতি গবেষক অধ্যাপক জিয়া হাসান। একই সঙ্গে এর মাধ্যমে দুর্বল ব্যাংকের খারাপ সম্পদ বা মন্দ ঋণের দায় চূড়ান্তভাবে ট্যাক্স পেয়ার বা দরিদ্র জনগণের ওপরে চাপানো হতে পারে বলেও জানান এ অর্থনীতিবিদ।

জিয়া হাসান বলেন, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ব্যাংক একীভূতকরণের যে সিদ্ধান্ত সেটা ভালো। তবে উচিত ছিল দুর্বল ব্যাংকের সঙ্গে দুর্বল ব্যাংকের একীভূত করা। একইভাবে ভালো ব্যাংকের সঙ্গে ভালো ব্যাংকের মার্জার করা। এখন দুর্বল ব্যাংককে ভালো ব্যাংকের সঙ্গে মার্জ করা হলে সেটার (ভালো) অবস্থাও খারাপ হওয়ার আশঙ্কা থাকে। খারাপ ব্যাংকের অনেক দায় রয়েছে। পদ্মা ব্যাংকের খারাপ ঋণ রয়েছে সাড়ে তিন হাজার কোটি টাকা। দুর্বল ব্যাংকের খারাপ সম্পদ বা মন্দ ঋণের দায় চূড়ান্ত ভাবে ট্যাক্স পেয়ার বা দরিদ্র জনগণের ওপরে চাপানো হতে পারে। মূল্যস্ফীতি ব্যতীত এত বড় অঙ্কের দায় অর্থনীতি নিতে পারবে না।

 

আরও খবর

Sponsered content