অর্থনীতি

শ্যামনগরে সুদখোরদের নিয়ে ফেসবুকে তোলপাড়! পর্ব ৩

  প্রতিনিধি ৩০ জুলাই ২০২২ , ১:২০:১৬ প্রিন্ট সংস্করণ

 

মোঃ নুরুজ্জামানঃ বার্ষিক সুদ ২৪০ থেকে ৩০০ শতাংশ! হ্যাঁ, এই হারেই সুদ আদায় করছেন অবৈধ সুদের কারবারিরা। ঋণগ্রহীতা টাকা দিতে ব্যর্থ হলে শুরু হয় নানা অত্যাচার। এই চিত্র সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার সর্বত্র।

সুদের ব্যপারে নীলাকাশ গ্রুপের চেয়ারম্যান মোঃ নুরুজ্জামান ২০১২ সাল থেকে সামাজিক আন্দোলন করে আসছেন। এর কয়েক বছর পর হাইকোর্ট অবৈধ সুদ ব্যবসায়ীদের আইনগত ভাবে ব্যবস্থা নিতে প্রশাসনের প্রতি নির্দেশ দিয়েছেন।

এর পরও
‘সুদখোর’দের উৎপাতে শ্যামনগর উপজেলার অনেক ব্যবসায়ী নিরুদ্দেশ ও পথে বসেছে।

সম্প্রতি সুদের বিষয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেে সুদখোরদের নিয়ে ব্যাপক তোলপাড় হচ্ছে।

জনপ্রতিনিধিরা সুদের ব্যবসায়ীদের নিয়ন্ত্রণ করতে পারছেন না। জনপ্রতিনিধিরা বলছেন, ‘এই এলাকায় সুদের কারবারিরা বেপরোয়া। তাঁদের সামাজিক ভাবে মোকাবিলা করতে না পেরে ভুক্তভোগীদের আইনি পদক্ষেপ নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছি।

সম্প্রতি নীলাকাশ টুডে সুদ ব্যবসায়ীদের ও যারা সুদে টাকা নিয়ে পথে বসেছেন এমনই ব্যক্তিদের তালিকা করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। খোঁজ খবর নিয়ে জানা যাচ্ছে, বিভিন্ন মৎস্য সেটগুলোতে সকালের এক শ্রেনীর সুদখোররা টাকা নিয়ে বসে থাকেন। ওনাদের কাছ থেকে এক হাজার টাকার বিনিময়ে দৈনিক ১০টাকা করে আদায় করেন। ব্যবসায়ীরা জানান, ব্যাংকে লোন নিতে গেলে অনেক জটিলতা সৃষ্টি হয়। এর ফলে মহাজনি সুদের টাকা নেওয়া লাগে।

উপজেলার বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা যায়, প্রত্যেক বাজারে কমপক্ষে শতাধিক মানুষ প্রথম সারির সুদের ব্যবসায় জড়িত। তাঁরা এক লাখ টাকার বিপরীতে প্রতি মাসে ২০ থেকে ২৫ হাজার টাকা সুদ আদায় করেন। জামানত হিসেবে ঋণগ্রহীতাদের কাছ থেকে ফাঁকা চেক নেন। সুদের চক্রে পড়ে আত্মহত্যার মত ঘটনা ঘটেছে। কোটিপতি ব্যবসায়ীরাও ফকির হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। দেশ ছাড়ার ঘটনাও কম না।

 

প্রশাসনের কর্মকর্তারা বলেছেন ভুক্তভোগীরা অভিযোগ দিলে বিষয়টি তদন্ত করতে পারবেন। তদন্তে প্রমাণিত হলে সুদের কারবারিদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া যাবে। একাধিক সূত্র বলছেন ব্যবসা বানিজ্য লস হওয়া ও অধিক লাভের আশায় সুদের টাকায় নতুন ব্যবসা খোলার খবর পাওয়া যাচ্ছে। এছাড়াও অনেকে আবার বিপদে পড়েও সুদের টাকা নিয়ে থাকেন। চলবে,,,

 

(চলবে)

আরও খবর: অর্থনীতি