অর্থনীতি

জনগণের ওপর চাপ বাড়িয়ে আইএমএফের শর্ত পূরণ

  প্রতিনিধি ১৫ জানুয়ারি ২০২৩ , ৩:১৯:৫৬ প্রিন্ট সংস্করণ

 

নীলাকাশ টুডেঃ

তড়িঘড়ি করে বিদ্যুতের দাম ৫ শতাংশ বাড়িয়েছে সরকার। এর আগে গত আগস্টে জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানো হয়েছে রেকর্ড পরিমাণে। আর গত জুনে বেড়েছে গ্যাসের দাম। বাকি আছে পানির দাম, তা–ও বাড়ানোরও উদ্যোগ আছে।

এখানেই শেষ নয়। বিদ্যুৎ ও জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী বলেই দিয়েছেন যে মাসে মাসে জ্বালানি তেলের দাম সমন্বয় করা হবে। একইভাবে আবারও সমন্বয় করা হবে পানি-বিদ্যুৎ-গ্যাসের দামও। কারণ, সরকারকে এসব খাতে ভর্তুকি কমাতে হবে। এটাই আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) অন্যতম শর্ত।

 

 

আইএমএফের ঋণের চূড়ান্ত অনুমোদনের আগেই সরকার কিছু শর্ত পূরণ করা শুরু করে দিয়েছে। মূলত যেসব শর্ত পূরণ করা সহজ, যা সাধারণ মানুষের ওপর চাপ বাড়ায়, সেগুলোই সরকার দ্রুত করছে। কিন্তু অতীতেও দেখা গেছে যেসব সংস্কার অজনপ্রিয়, যার কারণে প্রভাবশালীরা চাপে পড়বে, তাদের সুযোগ-সুবিধা কমবে, সেসব শর্ত শেষ পর্যন্ত খুব একটা বাস্তবায়িত হয় না।

আইএমএফের ঋণের শর্ত পূরণের কারণে দেশে দেশে সামাজিক অসন্তোষ দেখা দেওয়ার ঘটনাও একাধিক। দক্ষিণ আমেরিকার ভেনেজুয়েলা, আফ্রিকার মিসর, মরক্কো, নাইজেরিয়া এবং এশিয়ায় ইন্দোনেশিয়া ও দক্ষিণ কোরিয়ার সাধারণ মানুষকে এ জন্য রাস্তায়ও নামতে হয়েছিল। পাকিস্তানও শর্ত পূরণ করতে পারছে না বলে ঋণ আটকে আছে। যদিও দেশটির পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, সাধারণ মানুষের ওপর বিরূপ প্রভাব ফেলবে, এমন কিছু তারা করতে চায় না।

মূলত অর্থনৈতিক সংকট মোকাবিলায় আইএমএফের কাছে ৪৫০ কোটি ডলার ঋণ চেয়েছে বাংলাদেশ। আইএমএফও প্রাথমিক সম্মতি দিয়েছে। চলতি মাসের শেষে আইএমএফ বোর্ড বাংলাদেশের ঋণ প্রস্তাব অনুমোদন করবে এবং ফেব্রুয়ারির শুরুতেই ঋণের প্রথম কিস্তি পাওয়া যাবে। চূড়ান্ত আলোচনার জন্য আইএমএফের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক (ডিএমডি) অ্যান্তইনেত মনসিও সায়েহ গতকাল শনিবার ঢাকায় এসেছেন।

আরও খবর: অর্থনীতি