আন্তর্জাতিক

হামাসের যে কৌশলের কারণে হামলা ঠেকাতে ব্যর্থ হলো ইসরায়েলের আয়রন ডোম

  প্রতিনিধি ১৩ অক্টোবর ২০২৩ , ৯:১৮:১৯ প্রিন্ট সংস্করণ

নীলাকাশ টুডে

ইসরায়েলের আয়রন ডোম নিয়ে তাদের গর্ব কম নয়। ড্রোন থেকে শুরু করে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা, সবটাই আটকে দেওয়া এর কাছে মামুলি ব্যাপার হিসেবেই জানত সবাই। আয়রন ডোমের নজরদারি এড়ানো প্রায় অসম্ভব বলেই জানত বিশ্ববাসী। তবে এবার সে বিশ্বাসে চিড় ধরিয়েছে হামাস।

আন্তর্জাতিক বিভিন্ন গণমাধ্যমের প্রকাশিত সংবাদ থেকে জানা যায়, অনেক দিন ধরেই ইসরায়েলের এই পাহারাদারের দুর্বলতা খোঁজার কাজ চালাচ্ছিল হামাস। শনিবারের হামলায় আয়রন ডোমকে বিভ্রান্ত করতে সক্ষম হয় হামাস। ২০ মিনিটের মধ্যে পাঁচ হাজার রকেট গাজা থেকে ইসরায়েলে ছোড়ে হামাস বাহিনী। একে বলা হয় সালভো অ্যাটাক। এত কম সময়ের মধ্যে কয়েক হাজার রকেট হামলা ঠেকানোর জন্য পুরো শক্তি কাজে লাগিয়েছিল আয়রন ডোম। কিন্তু তাতেও শেষ রক্ষা হয়নি। ফলে মুহুর্মুহু রকেট হামলায় প্রথম দিকে প্রায় দিশাহারা হয়ে পড়ে ইসরায়েল।

ইসরায়েলের আয়রন ডোম মূলত ভূমি থেকে আকাশে নিক্ষেপ করা একটি স্বল্প পাল্লার প্রতিরক্ষাব্যবস্থা। মিসাইল বা রকেট প্রতিরোধক এই আয়রন ডোম মূলত তিনটি কাজ করে। রাডারের মাধ্যমে লক্ষ্যবস্তুকে চিহ্নিত করা, দ্রুত সেই লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানার জন্য তৎপর হওয়া এবং ক্ষেপণাস্ত্র হামলাকে রুখে দেওয়া।

ইসরায়েলের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রতিরক্ষাব্যবস্থার অন্যতম এটি। হিব্রু ভাষায় এর নাম কিপাট বারলজেল। কার্যকারিতার কারণেই ইসরায়েলের কাছে এটি গুরুত্বপূর্ণ। এর সাফল্যের হার ৯৫ শতাংশেরও বেশি।

২০১১ সাল থেকে প্রতিরক্ষায় এটি ইসরায়েলের অন্যতম ভরসা। এটি অনেকবার নতুন করে আপডেট করা হয়েছে। ইসরায়েলের দিকে ছোড়া স্বল্প-পাল্লার মিসাইল ও রকেটকে মাঝপথে নাস্তানাবুদ করে ইসরায়েলি নাগরিকদের বাঁচাতে এটি তৈরি করা হয়েছে।

ইসরায়েলেই রাফায়েল অ্যাডভান্সড ডিফেন্স সিস্টেমের আওতায় তৈরি করা হয়েছে আয়রন ডোম। এতে সাহায্য করেছে ওয়াশিংটন। এখনো মার্কিনিরা এ আয়রন ডোম চালানোর খরচ বহনে সহায়তা করে চলেছে।

এনডিটিভি জানায়, আয়রন ডোমের একেকটি ইন্টারসেপ্টরের মূল্য এক লাখ ডলার। এদিকে ইন্টারসেপ্টর মিসাইলের মূল্য ৫০ হাজার ডলার। এই অনুযায়ী যদি ইসরায়েল হামাসের ছোড়া মিসাইলগুলোর প্রত্যেকটি আটকাত তাহলে খরচ দাঁড়াত প্রায় দুই হাজার ৭৯ হাজার কোটি ডলার।

আরও খবর: আন্তর্জাতিক