আন্তর্জাতিক

চুরির অপরাধে ‘চার চোর’র হাত কেটে নিল তালেবান

  প্রতিনিধি ১৯ জানুয়ারি ২০২৩ , ৬:২৯:৪৭ প্রিন্ট সংস্করণ

 

আন্তর্জাতিক টুডেঃ আফগানিস্তানের কান্দাহারের আহমদ শাহি স্টেডিয়ামে প্রকাশ্যে ওই চার চোরের হাত কেটে নেওয়া হয়। এছাড়াও বিভিন্ন অপরাধের অভিযোগে নয়জনকে প্রকাশ্যে বেত্রাঘাত করা হয়। অভিযুক্তদের ৩৫ থেকে ৩৯ বার বেত্রাঘাত করা হয়েছে বলে জানা গেছে। এই ঘটনার পরে তালেবান সরকারের বিরুদ্ধে আবারও সমালোচনায় সরব হয়েছে বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠন। এনডিটিভি, হিন্দুস্তান টাইমস।

গভর্নর অফিসের মুখপাত্র হাজি জায়েদ জানিয়েছেন, অভিযুক্তদের হাত কেটে নেওয়ার পাশাপাশি নয়জনকে প্রকাশ্যে বেত্রাঘাত করা হয়েছে। ঘটনার সময় স্টেডিয়ামে তালেবান কর্মকর্তা, ধর্মীয় নেতা, ও স্থানীয়রা উপস্থিত ছিলেন।

 

আফগান সাংবাদিক তাজুদেন সরোশ টুইটারে স্টেডিয়ামে নাগরিকদের শাস্তি দেওয়ার একটি ছবি শেয়ার করেছেন। সেখানে দেখা যাচ্ছে-শাস্তির আগে মাঠের ওপর বসে রয়েছেন অভিযুক্তরা। ওই সাংবাদিক নিজের টুইটার হ্যান্ডেলে লিখেছেন, ‘এটি শুধুই ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি। ১৯৯০-এর দশকে তালেবানরা যেভাবে প্রকাশ্যে শাস্তি দেওয়া শুরু করেছিল, সেই ঘটনার পুনরাবৃত্তি হচ্ছে।’

জাতিসংঘের বিশেষজ্ঞরা আফগানিস্তানে প্রকাশ্যে বেত্রাঘাত ও মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। এক বিবৃতিতে জাতিসংঘের বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, ২০২২ সালের ১৮ নভেম্বর থেকে এখন পর্যন্ত তালেবান কর্তৃপক্ষ আফগানিস্তানের বেশ কয়েকটি প্রদেশে শতাধিক ব্যক্তিকে বেত্রাঘাত করেছে বলে জানা গেছে।

এ ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছেন মানবাধিকার আইনজীবী এবং আফগান পুনর্বাসন ও শরণার্থীবিষয়ক মন্ত্রীর সাবেক নীতি উপদেষ্টা শবনম নাসিমি। তিনিও তালেবানদের এই নির্মম শাস্তি দানের ছবি শেয়ার করেছেন। উল্লেখ্য, দ্বিতীয় দফায় আফগানিস্তান দখলের পর গত বছরের নভেম্বরে দেশটিতে ফের শরিয়াহ আইন চালু করে তালেবানের সর্বোচ্চ নেতা হিবাতুল্লাহ আখুন্দজাদা। পরের মাসেই (ডিসেম্বর) এ হত্যার অভিযোগে অভিযুক্ত এক ব্যক্তিকে ফাঁসি দিয়েছিল তালেবান। পুনরায় আফগানিস্তান দখল করার পর এটাই ছিল প্রথম প্রকাশ্য মৃত্যুদণ্ড। সংবাদমাধ্যম দ্য সানের প্রতিবেদনে জানা গেছে, শত শত দর্শক এবং তালেবানের শীর্ষ কর্মকর্তারা ওই মৃত্যুদণ্ডের সময় উপস্থিত ছিলেন। পশ্চিম ফারাহ প্রদেশে একটি অ্যাসল্ট রাইফেল দিয়ে অভিযুক্তের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছিল।

নারী অধিকার রক্ষায় চাপপ্রয়োগে জাতিসংঘ দূতরা কাবুলে : জাতিসংঘের সিনিয়র কর্মকর্তারা তালেবান সরকারের সঙ্গে আলোচনার জন্য আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলে পৌঁছেছেন। তালেবানের ‘লিঙ্গভিত্তিক বৈষম্য’ সৃষ্টি প্রশ্নে জাতিসংঘ মহাসচিব উদ্বেগ প্রকাশ করার পর তারা এ সফরে গেলেন। মঙ্গলবার জাতিসংঘ মুখপাত্র এ কথা জানিয়েছেন। খবর এএফপি’র।

১৭ মাস আগে ক্ষমতায় ফিরে আসার পর থেকেই তালেবান সরকার নারীদের ওপর বিভিন্ন কঠোর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। তারা নারীদের সরকারি চাকরির বাইরে রেখেছে, তাদের মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়া এবং পার্কে প্রবেশ নিষিদ্ধ করেছে। মুখপাত্র ফারহান হক জানান, সোমবার কাবুলে পৌঁছানো জাতিসংঘের এ প্রতিনিধিদলে ডেপুটি সেক্রেটারি জেনারেল আমিনা মোহাম্মাদ ও জাতিসংঘ নারী নির্বাহী সম্পাদক সিমা বাহুস রয়েছেন।

আরও খবর

Sponsered content