সারাদেশ

শার্শা বেনাপোলে নিরাপদ সড়ক ও মেধাবী ছাত্রী আনিকার মৃত্যুর প্রতিবাদে মানববন্ধন

  আঃ জলিল, স্টাফ রিপোর্টারঃ ৬ আগস্ট ২০২৩ , ৪:৪৪:১১ প্রিন্ট সংস্করণ

 

নিরাপদ সড়ক চাই- মায়ের কোল শূণ্য হওয়ার বিচার চাই- বেনাপোলে সড়ক পথের অব্যবস্থাপনার অবসান চাই- এই প্লাকার্ড হাতে করে ট্রাক চাপায় ৭ম শ্রেণীর মেধাবী স্কুল ছাত্রী আনিকা আক্তার শরিফা নিহতের প্রতিবাদে যশোরের বেনাপোল- কলকাতা মহা’সড়কে বেনাপোল মরিয়ম মেমোরিয়াল বালিকা বিদ্যালয় ও বেনাপোল ডিগ্রী কলেজের শিক্ষার্থীরা মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছেন।

রোববার (৬ আগষ্ট) সকালে বেনাপোল কাস্টমস হাউজের সামনে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেন তারা। এসময় শিক্ষক অভিভাবকসহ নিহত শিক্ষার্থীর পিতা আলমগীর হোসেনও উপস্থিত ছিলেন।

মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশে শিক্ষার্থীরা বলেন, আমরা আমাদের সহপাঠীর আনিকার মৃত্যুর দৃষ্টান্তমূলক বিচার দাবি করছি। আর যেন কোন মায়ের কোল শূণ্য না হয়। তাই নিরাপদ সড়কের দাবিতে সবাই আন্দোলনে নেমেছি। সরকারের কাছে আমাদের একটাই দাবি সরকার যেন আমাদের জন্য নিরাপদ সড়ক নিশ্চিত করেন।

এসময় বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রমজান আলী নিহত স্কুল ছাত্রী আনিকার পরিবারের ক্ষতিপূরণ, ও দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি, সড়ক সংস্কার ও নিরাপদ সড়কের দাবি জানান।

প্রতিবাদ সমাবেশে স্কুলের সহকারী প্রধান শিক্ষক ইনতাজুল ইসলাম জানান, বন্দরের জায়গা সংকটের কারনে ভারতে রপ্তানিমুখী ট্রাক টার্মিনালটি এখন গ্যারেজ হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে। যার ফলে বেনাপোলের প্রধান সড়কটি দুই কিলোমিটার জায়গা জুড়ে প্রতিনিয়ত রাখা হচ্ছে শত শত ট্রাক। সে কারণেই স্কুল কলেজ পড়ুয়া ও এলাকার সাধারণ মানুষেরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে রাস্তা পারাপার হতে হচ্ছে। প্রায়ই সময় মানুষ দুর্ঘটনার শিকার হয়ে অকালে প্রাণ হারাচ্ছেন। আমরা বেনাপোল বন্দরের প্রধান সড়কে প্রতিদিনের এ তীব্র যানজটের প্রতিকার চাই। যাতে আমাদের কমলমতি শিক্ষার্থীরা নিরাপদে যাতায়াত করতে পারে। পাশাপাশি স্কুলের সামনে স্পীড ব্রেকার বসানোর দাবি জানা তিনি।

স্থানীয় ব্যবসায়ীরা জানান, বেনাপোল বন্দরে আমদানি-রপ্তানি ট্রাকের আগেও সড়ক দুর্ঘটনায় শিকার হয়ে অনেক প্রাণ ঝড়েছে। কিন্তু প্রশাসন এব্যাপারে কোনো প্রকার নজরদারি করছে না বলে অভিযোগ করেন তারা। টার্মিনাল নির্মাণ করা হলেও সড়কের উপরে বাস ট্রাক রেখে প্রতিনিয়ত যানজট তৈরি করছে একটি মহল। দীর্ঘদিনের নানা অনিয়ম ও অব্যবস্থাপনার মধ্য দিয়ে বন্দরটি চললেও কারো কোনো মাথা ব্যাথা নেই।

উল্লেখ্য গত বুধবার (২ আগস্ট) সকালে বাড়ি থেকে স্কুলে যাওয়ার পথে বেনাপোল চেকপোস্টের বড় আঁচড়া মোড় নামক স্থানে রপ্তানিকৃত পণ্য বোঝাই ট্রাক চাপায় আনিকা আক্তার শরিফা নিহত হয়। নিহত স্কুল ছাত্রী আনিকা বেনাপোল মরিয়ম মেমোরিয়াল বালিকা বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণির মেধাবী ছাত্রী। তার রোল নম্বর ৪, সে বেনাপোল পোর্ট থানার বড়আঁচড়া গ্রামের ফেরি ব্যবসায়ী আলমগীর হোসেনের মেয়ে। ঐ ঘটনায় পুলিশ ট্রাকসহ চালককে গ্রেপ্তার করে জেল হাজতে পাঠিয়েছেন।

 

আরও খবর: সারাদেশ