অর্থনীতি

নুরনগরের সুদখোররা বেপরোয়া! পর্ব ১

  প্রতিনিধি ২৫ জুলাই ২০২২ , ৪:৪০:২৯ প্রিন্ট সংস্করণ

 

মোঃ নুরুজ্জামানঃ বার্ষিক সুদ ২৪০ থেকে ৩০০ শতাংশ! হ্যাঁ, এই হারেই সুদ আদায় করছেন অবৈধ সুদের কারবারিরা। ঋণগ্রহীতা টাকা দিতে ব্যর্থ হলে শুরু হয় নানা অত্যাচার। এই চিত্র সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার নুরনগর বাজারের। ‘সুদখোর’দের উৎপাতে গত দু্ই বছরে এখানকার অনেক ব্যসায়ী নিরুদ্দেশ ও পথে বসেছে।
জনপ্রতিনিধিরা সুদের ব্যবসায়ীদের নিয়ন্ত্রণ করতে পারছেন না। জনপ্রতিনিধিরা বলছেন, ‘এই এলাকায় সুদের কারবারিরা বেপরোয়া। তাঁদের সামাজিক ভাবে মোকাবিলা করতে না পেরে ভুক্তভোগীদের আইনি পদক্ষেপ নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছি।

সম্প্রতি নীলাকাশ টুডে সুদ ব্যবসায়ীদের তালিকা করতে নুরনগর বাজারে যান। এসময় বাজারের কয়েকজন ব্যবসায়ী বলেন, নুরনগর এলাকায় শতাধিক মানুষ সুদের ব্যবসায় জড়িত। তাঁরা এক লাখ টাকার বিপরীতে প্রতি মাসে ২০ থেকে ২৫ হাজার টাকা সুদ আদায় করেন। জামানত হিসেবে ঋণগ্রহীতাদের কাছ থেকে ফাঁকা চেক নেন। মুদি ব্যবাসায়ী নুর ইসলাম, কাপড় ব্যবসায়ী মোহাম্মদ আলি, কসমেটিক ব্যবসায়ী নুর ইসলাম কারিকার, মিত্যুম জয় সহ বহু ব্যবসায়ী পালিয়ে গেলেও অল্প কিছু ব্যবসায়ী সুদ ব্যবসায়ীদের সাথে সমন্বয় করে এলাকায় ফিরে আসেন। কোটি টাকার ব্যবসা ধংস করে দেশ ছেড়ে ভারতে গেছে কাপড় ব্যবসায়ী মোহাম্মদ হালদার, কসমেটিক ব্যবসায়ী মোঃ নুর ইসলাম কারিকার রয়েছে প্রবাসে দেশে আসতে পারছে না সুদ ব্যবসায়ীদের কারনে। মুদি দোকান নুর ইসলাম নিরুদ্দেশ। এভাবে বহু ব্যবসায়ী সুদের যাতা কলে পড়েছে আটকে গেছে। ১ নং ওয়ার্ডে সাবেক ইউপি সদস্য গোলাম সিদ্দিকও কয়েক লাখ টাকার বিনিময়ে কোটি টাকার বেশি সুদ দেওয়ার পরেও টেনশনে স্টোক করে মারা যান। প্রশাসনের কর্মকর্তারা বলেছেন ভুক্তভোগীরা অভিযোগ দিলে বিষয়টি তদন্ত করিতে পারবেন। তদন্তে প্রমাণিত হলে সুদের কারবারিদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া যাবে। (চলবে)

আরও খবর: অর্থনীতি