জাতীয়

হাজার হাজার পাঠকের ভালোবাসায় সিক্ত নীলাকাশ টুডে, প্রতিষ্ঠা বার্ষিক আজ

  প্রতিনিধি ৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ , ৩:০৩:১৬ প্রিন্ট সংস্করণ

 মোঃ নুরুজ্জামান

সম্পাদক

অনলাইন ভিত্তিক সংবাদ মাধ্যম নীলাকাশ টুডে এর আজ চতুর্থ প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী। ২০২০ সালের ৮ ই ফেব্রুয়ারী এই দিনে সত্য প্রকাশে আপসহীন এই শ্লোগান নিয়ে নীলাকাশ টুডে আত্ম প্রকাশ করে।  বাংলাদেশসহ বিশ্বের সব প্রান্তে আমাদের সব পাঠক, বন্ধু ও শুভানুধ্যায়ীকে শুভেচ্ছা, ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি।

গত ৩ বছরে আপনারা আমাদের সঙ্গে ছিলেন এবং আছেন। আমরা আশা করি, ভবিষ্যতেও আপনারা আমাদের সঙ্গে থাকবেন।

নীলাকাশ টুডে সাহসের সঙ্গে সত্য প্রকাশের মাধ্যমে ৪ বছরের মধ্যে লক্ষ পাঠকের আস্থা ও জনপ্রিয় নিউজ পোর্টাল হিসেবে গুরুত্ব পেয়েছে।

 

আমাদের জীবনে খুলে গেছে এক নতুন দ্বার। প্রতি মূহুর্তে নীলাকাশের নিচে হাজার হাজার পাঠক ভালোবেসে গ্রহণ করলেন নীলাকাশ টুডে। আজও তা অব্যাহত আছে।

৪ টা বছর চলে গেল। এর প্রতিটি দিন ছিল উদ্দীপনার, ভালোবাসার, লাখো পাঠকের সঙ্গে সংযোগের। প্রতিটি দিন ছিল স্বপ্নে ভরা। কত বাধা, কত বিপদ পেরিয়ে যাওয়ার আনন্দ। দেশের শ্রেষ্ঠ গুণী মানুষদের সঙ্গে পেলাম। কত কত নতুন স্বপ্ন দেখানো মানুষকে পেলাম। কত সাধারণ–অসাধারণ নারী ও পুরুষের সন্ধান পেলাম। কত বিস্ময়কর তাঁদের সফলতার জীবন। কতজনকে হারালাম, কত বন্ধুকে পেয়ে গেলাম চলার পথে। কত ভালোবাসা, কত সমালোচনা। এ সবই আমাদের এগিয়ে যাওয়ার প্রেরণা। আমরা এগিয়ে যেতে চেয়েছি দেশের মানুষের সঙ্গে একযোগে।

প্রিয় পাঠক, আজ শীত চলে যাওয়ার কালে বসন্তের আগমনে এই রোদ ঝলমলে সকাল বেলায় আমাদের অভিবাদন ও শুভেচ্ছা নিন। নীলাকাশ টুডে এর জন্মের এই আনন্দভরা দিনে আমরা সবার আগে আপনাদেরই স্মরণ করি। কারণ, নীলাকাশ টুডে আজকে যা কিছু পেরেছে, তার সবই আপনারা আমাদের গ্রহণ করেছেন বলেই। এই দিনে আপনারা আমাদের গভীর কৃতজ্ঞতা, ভালোবাসা ও শুভেচ্ছা গ্রহণ করুন।

২০২০ সালের ৮ ই ফেব্রুয়ারি ৪ বছর আগের এই দিনে, নীলাকাশ টুডে আপনাদের সামনে বিনীত ভাবে হাজির হয়েছিল। আমাদের লক্ষ্য ছিল অনেক বড়। নীলাকাশ টুডে হবে স্বাধীন ও নিরপেক্ষ এবং আর্থিক ভাবে স্বাবলম্বী একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। এর সাংবাদিকতা হবে তথ্যনির্ভর ও বস্তুনিষ্ঠ, পরিবেশনা হবে আধুনিক ও রুচিশীল। নতুনত্ব ও সৃজনশীলতাকে বরণ করে নিতে থাকবে উৎসুক। আমাদের বিশ্বাস ছিল, এসব যদি করা যায়, তাহলেই এটি হবে বাংলাদেশের সবচেয়ে পাঠকনন্দিত সংবাদ মাধ্যম। কারণ, পাঠক পক্ষপাত চান না, চান নিরপেক্ষতা, চান নির্ভুল খবর। এমনকি কোনো  রাজনৈতিক দলের অনুগত কর্মীও সঠিক খবর ও বিশ্লেষণ জানার জন্য নিরপেক্ষ ও পেশাদার সংবাদমাধ্যমের ওপরই নির্ভর করেন। আর আমাদের সংকল্প ছিল—সৎ, স্বাধীন ও নিরপেক্ষ সংবাদমাধ্যম প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে আমরা সহযাত্রী হব বাংলাদেশের এগিয়ে চলার। কারণ, পেশাদারি সাংবাদিকতাই গণতন্ত্রকে অর্থপূর্ণ করে, মানুষের অধিকার রক্ষা করে, অন্যায় রুখে দেয়, অব্যবস্থার অবসান ঘটায়, বৈষম্য দূর করে, দুর্নীতি রোধে ভূমিকা রাখে। অসাম্প্রদায়িক, ভেদাভেদহীন, বৈষম্যমুক্ত, নিপীড়নমুক্ত সমাজ ও রাষ্ট্র গড়ে তুলতে বিশ্বজুড়ে স্বাধীন সংবাদমাধ্যমের ভূমিকা স্বীকৃত।

দেশ ও বিশ্বজুড়ে নীলাকাশ টুডে এখন জনপ্রিয় সংবাদমাধ্যম। পাঠকদের এই বিপুল আস্থা আমাদের একদিকে যেমন আবেগাপ্লুত করে, একই সঙ্গে আমাদের দায়িত্বের কথাও মনে করিয়ে দেয়।

আমরা সব সময় আপনাদের এই আস্থা ও ভালোবাসার মর্যাদা রাখার জন্য সচেষ্ট থাকি। শত চাপের মুখেও বস্তুনিষ্ঠ সাংবাদিকতা ধরে রাখতে চাই। সচেতন থাকি যেন স্বাধীন অবস্থান থেকে কোনো চাপে বা প্রলোভনে কখনোই সরে না যাই। সত্য তথ্য—এই হলো আমাদের পাথেয়। আধুনিকতা আর অগ্রসরমাণতা—এই হলো আমাদের উজ্জীবনী, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা আমাদের পথনির্দেশিকা; সুসাংবাদিকতা আমাদের ব্রত, সততা আমাদের দৃঢ়তার উৎস।

আজকের দিনে সাংবাদিকতা সারা বিশ্বেই কঠিন হয়ে পড়েছে। গণতন্ত্র আজ দেশে দেশে হুমকির মুখে। সাংবাদিকতার ওপর শাসকগোষ্ঠী ও প্রভাবশালী মহলের চাপ বাড়ছে। বাংলাদেশ এর ব্যতিক্রম নয়। নীলাকাশ টুডেকেও অনেক বাধা ও ভয়ভীতিকে অতিক্রম করে সামনে এগিয়ে যেতে হয়েছে।

 

পাঠকেরা আমাদের বলে থাকেন, কোনো চাঞ্চল্যকর খবর প্রচারিত হতে শুরু করলে তার সত্যতা যাচাই করার জন্য ছুটে আসেন নীলাকাশ টুডে ওয়েব সাইটে।

 

 

আমরা বলি, সংবাদমাধ্যম হিসেবে যেমন নীলাকাশ টুডে উৎকর্ষের উচ্চতর লক্ষ্যে পৌঁছানোর সাধনা করবে, তেমনি তার সামাজিক কর্মকাণ্ড, মানবিক কার্যক্রম, তরুণদের মেধাবিকাশের নানা আয়োজনও অব্যাহত রাখবে।

 

সাংবাদিকতার মধ্য দিয়ে গণতন্ত্রকে মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম চেতনা হিসেবে বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠার সংকল্প, স্বপ্ন ও প্রক্রিয়ার মধ্যে আমরা ছিলাম। আমরা চাই, এ দেশে মানবাধিকার লঙ্ঘিত হবে না, বাকস্বাধীনতা হবে নিরঙ্কুশ, গণমাধ্যম ভোগ করবে অপার স্বাধীনতা, নির্বাচন ব্যবস্থা থাকবে কার্যকর। সমাজে সাম্প্রদায়িকতা, বৈষম্য ও হানাহানি থাকবে না। দেশ হবে দুর্নীতিমুক্ত। থাকবে আইনের শাসন।

আমরা জানি, আমাদের আছে প্রাকৃতিক দুর্যোগ, সম্পদের অপ্রতুলতা, রাজনীতিতে আছে সংকট। সুশাসন সুদূরপরাহত। পৃথিবীর নানা প্রান্তে যুদ্ধ। অর্থনীতিতে সুসংবাদ সুদূরে। এর মধ্যেও কি বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে না? জীবন যাত্রার মান বেড়েছে, বেড়েছে গড় আয়ু। কমেছে শিশুমৃত্যু, মাতৃমৃত্যু। বেড়েছে শিক্ষার হার, প্রযুক্তির ব্যবহার। যোগাযোগ হয়েছে উন্নত।

এসব সম্ভব করে তুলেছেন বাংলাদেশের সৃজনশীল, উদ্যমী, পরিশ্রমী মানুষ; তারুণ্যের শক্তিতে বলীয়ান জনগোষ্ঠী। তাঁরা উদয়াস্ত পরিশ্রম করেন, হাড়ভাঙা শ্রমে মাঠে ফলান সোনার ফসল, প্রবাসী আয় আনেন, তৈরি পোশাক রপ্তানিতে দেশকে নিয়ে যান শীর্ষে। তাঁরা সাহসী ও উদ্যোগী। নতুন প্রযুক্তি, নতুন ধারণা, নতুন সৃষ্টিশীলতা বরণ করে নিতে তাঁরা উন্মুখ। তাঁরাই আমাদের অনুপ্রেরণার উৎস।

সব সময় সেই হার না–মানা মানুষদেরই পাশে থাকে নীলাকাশ টুডে। তাঁদের দুঃখ–কষ্ট–বেদনার কথা তুলে ধরে। প্রকাশ করে তাঁদের সংগ্রাম আর বিজয়ের গাথা।

কোনো জাতি সামনে এগিয়ে যেতে পারে তখনই, যখন তার সামনে থাকে আশা, দুই চোখে থাকে স্বপ্ন। মানুষের এই সংগ্রাম আর বিজয়ে নীলাকাশ টুডে বাংলাদেশের সেই স্বপ্ন আর আশার সন্ধান পায়।

নীলাকাশ টুডে বিশ্বাস করে, বাংলাদেশের মানুষের সংগ্রাম শেষ পর্যন্ত জয়ী হবেই।

আমরা বাংলাদেশের জয় দেখতে চাই। এটাই নীলাকাশ টুডের একমাত্র লক্ষ্য।

আরও খবর: জাতীয়