সারাদেশ

সুন্দরবনে ১০০ দিন মাছ ধরা-পর্যটক যাওয়া নিষিদ্ধ

  নীলাকাশ টুডেঃ ২০ মে ২০২৩ , ৪:০৫:৪৬ প্রিন্ট সংস্করণ

 

মাছের প্রজনন নির্বিঘ্ন করতে ২০ মে (শনিবার) থেকে বঙ্গোপসাগরে ও সুন্দরবনে সব ধরনের মৎস্য আহরণে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। বঙ্গোপসাগরে এই নিষেধাজ্ঞা চলবে ২০ মে থেকে ২৩ জুলাই পর্যন্ত এবং সুন্দরবনে চলবে ৩১ আগস্ট পর্যন্ত। এই সময়ের মধ্যে বঙ্গোপসাগর ও সুন্দরবনে কোনও প্রকার মাছ বা জলজ প্রাণি ধরতে পারবে না জেলে বা মৎস্যজীবীরা।

মৎস্য অধিদপ্তর জারি করা বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের সামুদ্রিক জলসীমায় ২০ মে থেকে ২৩ জুলাই পর্যন্ত মৎস্য নৌযান ধরা অথবা অন্য কোনভাবে যেকোন প্রজাতির সামুদ্রিক মৎস্য আহরণ নিষিদ্ধ থাকবে। এই সময়ে বাগেরহাট জেলায় প্রায় ১২ হাজার জেলেকে দুই দফায় ৮৬ কেজি করে চাল দেওয়া হবে।

 

এছাড়া সুন্দরবনের নদী ও খালে মাছের প্রজনন স্বাভাবিক রাখতে ৩১ আগস্ট পর্যন্ত পর্যটকবাহী নৌযান চলাচল সম্পূর্ণ বন্ধ থাকবে। ফলে তিন মাস সুন্দরবনে পর্যটকদের আগমন ও ভ্রমণ বন্ধ থাকবে বলে জানিয়েছেন সুন্দরবন পূর্ব বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মোহাম্মদ বেলায়েত হোসেন।

তিনি বলেন, ২০ মে থেকে সাগরের পাশাপাশি সুন্দরবনেও মাছ আহরণ বন্ধ থাকবে। এছাড়া মাছ ও বন্যপ্রাণীর প্রজনন মৌসুম হওয়ায় ১ জুন থেকে ৩১ আগস্ট পর্যন্ত সুন্দরবনের নদী-খালে কোনো প্রকার মাছ শিকার করতে পারবেন না জেলেরা। একই সঙ্গে মাছ ও বন্যপ্রাণীর প্রজনন নির্বিঘ্ন করতে সুন্দরবনে পর্যটকবাহী নৌযান চলাচল বন্ধ থাকবে। এই সময়ে সুন্দরবনে প্রবেশের জন্য জেলে ও দর্শনার্থীদের কোনো প্রকার পাস-পারমিট দেওয়া হবে না। নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে কেউ সুন্দরবনে প্রবেশ করলে আইনের আওতায় আনা হবে বলে জানান এই কর্মকর্তা।

বাগেরহাট জেলা মৎস্য কর্মকর্তা এ এস এম রাসেল বলেন, সামুদ্রিক মাছের প্রজনন বৃদ্ধিতে সামুদ্রিক মৎস্য আইন-২০২০ এর ৩ ধারার ২ উপধারা অনুযায়ী এই নিষেদ্ধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। এই নিষেধাজ্ঞা সঠিকভাবে প্রতিপালনের জন্য মৎস্য বিভাগ কঠোর অবস্থানে থাকবে। বাংলাদেশি সমুদ্রসীমায় অভিযান চালানো হবে। যারা এই নিষেধাজ্ঞা অমান্য করবে তাদের আইনের আওতায় আনা হবে। এই সময়ে প্রায় ১২ হাজার জেলেকে দুই দফায় ৮৬ কেজি করে চাল দেওয়া হবে বলে জানান তিনি।

আরও খবর: সারাদেশ