সারাদেশ

সাতক্ষীরায় অনিবনন্ধিত ক্লিনিকের তালিকা

  প্রতিনিধি ২৮ মে ২০২২ , ৬:৩৯:৩৯ প্রিন্ট সংস্করণ

 

সাতক্ষীরা প্রতিনিধিঃ অনিবন্ধিত ও নবায়নবিহীন বেসরকারি ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার বন্ধে ৭২ ঘণ্টা সময় বেঁধে দিয়েছিল স্বাস্থ্য অধিদফতর। সেই সময় রবিবার শেষ হচ্ছে। এ সময়ের মধ্যেও যেসব অবৈধ বেসরকারি ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার বন্ধ হবে না, সেগুলোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানিয়েছেন সাতক্ষীরা জেলা সিভিল সার্জন ডাঃ মোঃ হুসাইন সাফায়াত।

ইতোমধ্যেই এরকম কিছু প্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়েছে বলে তিনি জানান। অবৈধ ক্লিনিক গুলোর বিরুদ্ধে কোন অভিযান পরিচালিত হবে কিনা জানতে চাইলে ডাক্তার হুসাইন সাফায়াত জানান, সোমবার সিদ্ধান্ত জানানো হবে।

জেলায় কতগুলো বৈধ্য ও অনিবন্ধিত বেসরকারি হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার আছে তার তালিকা আগামী সোমবার দিবেন বলেও তিনি জানান। তবে অনুসন্ধানে জানাযায়, জেলায় প্রায় দুই শতাধীক বেসরকারি হাসপাতাল ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার রয়েছে। এদের মধ্যে অধিকাংশই নিবন্ধনের জন্য আবেদন কৃত তবে অনুমোদিত নয়।

২৫ মে বুধবার অবৈধ ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারগুলো নিয়ে স্বাস্থ্য অধিদফতরে এক সভা অনুষ্ঠিত হয়। অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আহমেদুল কবিরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় দেশের বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিকগুলোর মনিটরিং ও সুপারভিশন বৃদ্ধির বিষয়ে আলোচনা হয়। আলোচনা শেষে কয়েকটি সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

সিদ্ধান্তগুলোর মধ্যে রয়েছে, আগামী ৭২ ঘণ্টার মধ্যে দেশের অনিবন্ধিত বেসরকারি হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারগুলো বন্ধ করতে হবে। অনিবন্ধিত বেসরকারি হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারগুলোর বিরুদ্ধে এ কার্যক্রম চলমান থাকবে। এ কার্যক্রমে স্থানীয় প্রশাসন ও আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সঙ্গে সমন্বয় করতে হবে।

যেসব প্রতিষ্ঠান নিবন্ধন গ্রহণ করলেও নবায়ন করেননি, তাদের নিবন্ধন নবায়নের জন্য সময়সীমা প্রদান করতে হবে। নির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যে নবায়ন গ্রহণ না করলে, সেসব প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম বন্ধ করতে হবে।
বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিকগুলোতে অপারেশনের সময় এনেস্থিশিয়া প্রদান ও ওটি অ্যাসিস্ট করার ক্ষেত্রে নিবন্ধিত চিকিৎসক ছাড়া অন্যদের রাখা হলে সেসব প্রতিষ্ঠান ও জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে লাইসেন্স বাতিলসহ কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে।

যেসব প্রতিষ্ঠান নতুন নিবন্ধনের আবেদন করেছেন, তাদের লাইসেন্স প্রদানের কার্যক্রম দ্রুত শেষ করতে হবে। লাইসেন্সপ্রাপ্তির আগে এসব প্রতিষ্ঠান কার্যক্রম চালাতে পারবে না।

উক্ত বিষয়ে শনিবার দুপুরে স্বাস্থ্য অধিদফতরের পরিচালক (হাসপাতাল ও ক্লিনিক) ডা. মো. বেলাল হোসেন জানান অবৈধ ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার বন্ধে আমাদের নিয়মিত অভিযান চলছে। এর মধ্যে আমরা সময় বেঁধে দিয়েছি। সেই সময় শেষ হলে আমরা বসবো। নিবন্ধনের কতটা অগ্রগতি হয়েছে, অবৈধ কতগুলো ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার বন্ধ হয়েছে, আমরা তা দেখব।

আরও খবর: সারাদেশ