সারাদেশ

সাতক্ষীরায় চাঁদাবাজির সময় এএসআইসহ পাঁচজনকে গণপিটুনি

  নীলাকাশ টুডেঃ ৪ মার্চ ২০২৩ , ৩:৩৫:১০ প্রিন্ট সংস্করণ

 

সাতক্ষীরার আশাশুনিতে অনলাইনে জুয়া খেলার অভিযোগ তুলে লাখ টাকা চাঁদা দাবি করায় এক সহকারী উপপরিদর্শকসহ পাঁচজনকে গণধোলাই দিয়েছে জনতা। পরে খবর পেয়ে আশাশুনির গদাইপুর এলাকা থেকে তাঁদের আটক করে আশাশুনি থানা–পুলিশ। গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যায় আশাশুনির কল্যাণপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ সময় তাদের কাছ থেকে একটি প্রাইভেটকার, আট রাউন্ড গুলিসহ একটি পিস্তল ও দুটি হ্যান্ডকাফ জব্দ করা হয়।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলো, পিরোজপুর সদর থানার সহকারী উপপরিদর্শক ও আশাশুনির খাজরা ইউনিয়নের গদাইপুর গ্রামের বাসিন্দা হোসেন ওরফে রানা (৩০), পিরোজপুর জেলা সদরের পান্তাদুবি গ্রামের মনির হোসেন (৩৫), একই গ্রামের সোহেল শিকদার (৩৩), একই উপজেলা সদরের চরলোহারকাটি গ্রামের আবুল কালাম (৩৫) ও শিকারপুর গ্রামের সাইফুল ইসলাম (৩২)।

আশাশুনি উপজেলার প্রতাপনগর ইউনিয়নের কল্যাণপুর গ্রামের রওশান মাস্টারের ছেলে আশিকুর রহমান জানান, তিনি দীর্ঘদিন ধরে অনলাইনে আউটসোর্সিংয়ের কাজ করেন। শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে রুবেল হোসেনসহ ছয়জন তার বাড়ি থেকে কিছু দূরে একটি প্রাইভেটকার থেকে নেমে তাঁর বাড়িতে আসেন। তাঁরা নিজেদের ঢাকা র‍্যাব হেড কোয়ার্টারের সাইবার ক্রাইম টিমের সদস্য পরিচয় দিয়ে অনলাইনে জুয়া খেলার অভিযোগে তাঁর কাছে এক লাখ টাকা দাবি করেন। এ সময় তাঁদের আচরণ সন্দেহজনক হলে স্থানীয়রা তাঁদের ঘিরে ফেলে। কথা–কাটাকাটির একপর্যায়ে তাঁদের মারধর করে উত্তেজিত জনতা।

কল্যাণপুর গ্রামের আহম্মদ সানার ছেলে হারুন-অর রশিদ জানান, শুক্রবার রাত সাড়ে ৭টার দিকে আশিকুর রহমানের কাছে চাঁদা দাবির একপর্যায়ে একই গ্রামে বসবাসরত সেনা সদস্য তারিকুজ্জামান ও কর্মরত শামীম রেজা তাঁদের পরিচয় নিয়ে চ্যালেঞ্জ করেন। পরে গণধোলাইয়ের একপর্যায়ে রুবেলের পরিচয় জানতে পেরে তাঁদের ছেড়ে দেওয়া হয়। বিষয়টি তারা আশাশুনি থানায় খবর দিলে গদাইপুর থেকে তাঁদের প্রাইভেটকারসহ ধরে নিয়ে যায় পুলিশ।

এ ব্যাপারে পিরোজপুর সদর থানার উপপরিদর্শক মো. মাসুদুজ্জামান বলেন, ‘শুক্রবার রাতে অভিযান পরিচালনার সময় উপপরিদর্শক রুবেলকে পাওয়া যায়নি। তিনি কোনো ছুটিও নেননি। গতকাল শুক্রবার রাতে তিনি চাঁদাবাজি করতে গিয়ে নিজ উপজেলা আশাশুনিতে জনতার হাতে ধরা খেয়ে পুলিশের জিম্মায় রয়েছেন বলে জানতে পেরেছি।’

আশাশুনি থানার ওসি মমিনুল হক বলেন, চাঁদাবাজির অভিযোগে পিরোজপুর সদর থানার সহকারী উপপরিদর্শক রুবেল হোসেনসহ পাঁচজনকে আটক করা হয়েছে। আর পালিয়ে গেছেন কল্যাণপুর গ্রামের নজরুল ইসলাম। এএসআইসহ পাঁচজন ও পলাতক নজরুলকে আসামি করে আশাশুনি থানায় মামলা করেছেন কল্যাণপুর গ্রামের আশিকুর রহমান। শনিবার বিকেলে তাদের আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।

আরও খবর: সারাদেশ