জাতীয়

সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিশ্চিত করে নেতাকর্মীদের যে নির্দেশ দিলো আ”লীগ

  প্রতিনিধি ৭ জানুয়ারি ২০২৪ , ৬:৪৭:৩১ প্রিন্ট সংস্করণ

নীলাকাশ টুডে

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিশ্চিত করেছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। তবে এবারের নির্বাচনে সবচেয়ে বড় চমক হলো স্বতন্ত্র প্রার্থী। যাদের বেশিরভাগই আওয়ামী লীগের।

 

একাধিক সূত্রে জানা যায়, নৌকার মনোনয়ন না পেয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে আওয়ামী লীগ নেতারাই প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন। দেশের নির্বাচনের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো এমন ঘটনা ঘটল।

সর্বশেষ ঘোষিত ফলাফলে আওয়ামী লীগ রোববার দিবাগত রাত পৌনে ১২টা পর্যন্ত ১৬৫ আসনে জয় পেয়েছে। এছাড়া, জাতীয় পার্টি ৭ ও স্বতন্ত্র থেকে ৪৬ জন প্রার্থী জয় পেয়েছেন।

 

এ সংখ্যাগরিষ্ঠতার মধ্য দিয়ে চতুর্থবারের মতো ক্ষমতায় বসতে যাচ্ছে আওয়ামী লীগ। নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মধ্য দিয়ে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দ্বিতীয়বারের মতো ক্ষমতায় আসে দলটি। এরপর থেকে একটানা ক্ষমতায় রয়েছে।

 

বাংলাদেশের সংবিধান অনুযায়ী— ৩০০ আসনের জাতীয় সংসদে কোনো দল যদি ১৫১ আসনে বিজয়ী হয় তাহলে তারা সরকার গঠনের যোগ্যতা অর্জন করে। সেই হিসেবে আওয়ামী লীগ ইতোমধ্যে আগামী সরকার গঠনের যোগ্যতা অর্জন করেছে। এ নির্বাচনে সংখ্যাগরিষ্ঠতার মধ্যদিয়ে টানা চতুর্থবারের মতো আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করতে যাচ্ছে। ধারণা করা হচ্ছে, এবারো শেখ হাসিনার নেতৃত্বে টানা চতুর্থবারের মতো মন্ত্রীসভা গঠন করা হবে।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও দশম-একাদশের ধারাবাহিকতা পরিলক্ষিত হয়েছে। এবারও নির্বাচন বর্জন করেছে বিএনপিসহ নিবন্ধিত ও অনিবন্ধিত ৩৬টি দল। যার ফলে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়ে চতুর্থবারের মতো ক্ষমতাসীন হচ্ছে আওয়ামী লীগ।

বিজয় মিছিল না করার নির্দেশ

ফলাফল ঘোষণার পর বিজয় মিছিল না করার নির্দেশনা দিয়েছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রীর বরাতে এ নির্দেশনার কথা জানান আওয়ামী লীগের উপদপ্তর সম্পাদক সায়েম খান।

তিনি বলেন, ফলাফল ঘোষণার পর কোনো প্রকার বিজয় মিছিল না করার নির্দেশনা দিয়েছেন শেখ হাসিনা। একই সঙ্গে অন্যপ্রার্থী ও তার কর্মী-সমর্থকদের সঙ্গে সহিংসতা বা আত্মকলহে লিপ্ত না হওয়ার জন্য সাংগঠনিক নির্দেশনা প্রদান করেছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি।

 

জানা যায়, নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধিত ৪৪টি রাজনৈতিক দলের মধ্যে ২৮টি দল নির্বাচনে অংশ নিয়েছে। তবে দেশের বড় রাজনৈতিক দল বিএনপি ও তাদের জোটসঙ্গীরা নির্বাচন বয়কট করেছে। তারা শেখ হাসিনার পদত্যাগ এবং নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনসহ একাধিক দাবিতে আন্দোলন করছে।

ভোট বর্জন ও অসহযোগ আন্দোলনের পক্ষে বিএনপি ইতোমধ্যে ৬ জানুয়ারি থেকে ৮ জানুয়ারি পর্যন্ত ৪৮ ঘণ্টার হরতাল কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দিয়েছে। ঘোষিত কর্মসূচি এখন পালিত হচ্ছে। দলটির যুগপৎ আন্দোলনের সঙ্গী এলডিপি ও জাতীয়বাদী জোট এবং গণফোরাম-পিপলস পার্টি হরতাল কর্মসূচি পালন করছে।

 

আরও খবর: জাতীয়