সারাদেশ

শ্যামনগরে সরকারি সেবার আওতায় সুপেয় পানি নিশ্চতকরনে এ্যাডভকেসি সভা

  প্রতিনিধি ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩ , ১১:২৪:৫০ প্রিন্ট সংস্করণ

শ্যামনগর (সাতক্ষীরা) প্রতিনিধিঃ

শ্যামনগরে সরকারি সেবার আওতায় সুপেয় পানি নিশ্চতকরনে এ্যাডভকেসি সভা সুপেয় পানির তিব্র সংকট নিরসনে ও সরকারি সেবার আওতায় সুপেয় পানি নিশ্চিতকরনের জন্য বৃহস্পতিবার ২৮ সেপ্টেম্বর, বিকাল ০৪ ঘটিকায় শ্যামনগর উপজেলায় মুন্সিগঞ্জ ইউনিয়নে বনশ্রী শিক্ষানিকেতন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের মিলিনায়তন হলরুমে যুব সংগঠন শরুব ইয়ুথ টিমের আয়োজনে ও গ্লোবাল প্লাটফর্ম বাংলাদেশের সহযোগিতায় সাধারন সুপেয় পানি বঞ্চিত এলাকার মানুষ ও জনপ্রতিনিধিদের সাথে এ্যাডভকেসি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

উক্ত অনুষ্ঠানে শরুবের নির্বাহী পরিচালক এস এম জান্নাতুল নাঈমের সভাপতিত্বে ও শরুব ইয়ুথ টিমের সাংগঠনিক সম্পাদক সোহেল রানার সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি ছিলেন শ্যামনগর উপজেলা পরিষদের ভাইসচেয়ারম্যান প্রভাষক সাঈদুউজ্জামান সাঈদ।

বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান মিসেস খালেদা আইয়ুব (ডলি), বীর মুক্তিযোদ্ধা দেবী রন্জন জোদ্দার, বনশ্রী শিক্ষা নিকেতন প্রধান শিক্ষক জি এম আব্দুল করিম, মুন্সিগন্জ ইউনিয়নের ইউপি সদস্যবৃন্দ প্রমূখ।

শরুবের নির্বাহী পরিচালক এস এম জান্নাতুল নাঈম বলেন, বাংলাদেশের উপকূলীয় অঞ্চলে সুপেয় পানির সংকট দীর্ঘ দিনের। উপকূলের জনগোষ্ঠীর জীবন যাপানের প্রতিটি ক্ষেত্রে পানি সংকটের নীতিবাচক প্রভাব রয়েছে। বিশেষ করে বাংলাদেশের দক্ষিণ উপকূলীয় অঞ্চল ও দূর্যোগ প্রবন এলাকা সাতক্ষীরা জেলার শ্যামনগর উপজেলায় দীর্ঘদিন সুপেয় পানির সংকট রয়েছে। সুপেয় পানি সংকট তৈরির প্রধান কারন লবণক্তা বৃদ্ধি,ভূ-গর্ভস্থ পানির স্তর নিচে নেমে যাওয়া,অপরিকল্পিত উপায়ে লবণ পানিতে চিংড়ী চাষ, বেড়িবাঁধ ভাঙন ইত্যাদি। সুপেয় পানির সংকট তিব্র হওয়ার পাশাপাশি এ অঞ্চলে সুপেয় পানির মতো মৌলিক অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছে সাধারণ মানুষ, এলকায় পানি বাণিজ্যিকরন হয়ে গড়ে উঠেছে,সাধারন মানুষ, বিশেষ করে নারীরা প্রতিদিন দুই-তিন কিলোমিটার পথ হেঁটে টাকা দিয়ে পানি কিনে আনতে হচ্ছে,যার ফলে তাদের স্বাস্থ্যহানি সহ নানা সমস্যা সৃষ্টি হচ্ছে।

সরকারিভাবে যে জলাধার গুলো রয়েছে তা বর্তমানে ব্যাক্তি মালিকানাধীন ভোগ করা হচ্ছে, যা সাধারণ মানুষ ব্যবহারের সুযোগ পাচ্ছে না। এসকল সরকারি পুকুরগুলো ইজারা বাতিল করতে হবে, পানি বানিজ্যকরন ব্যবস্থা বন্ধ করতে হবে, বৃষ্টির পানি সংরক্ষণের জন্য জলাধার খনন করতে হবে ও অবৈধ বালু উত্তোলন বন্ধ করতে হবে এবং সরকারি সেবার মাধ্যমে মানুষের সুপেয় পানির অধিকার নিশ্চিত করতে হবে। ভুক্তভোগী জনগনের মধ্যে কথা বলেন পটল সরদার,সুভাষী মন্ডল,হাফিজুর রহমান, রেনুকা মন্ডল,সুমিত্রা রানী মন্ডল। তারা তাদের এলাকায় সুপেয় পানির জন্য পুকুর খনন ও পানির লাইন সারবারহ দাবি জানান। দাবির প্রেক্ষিতে উপজেলা পরিষদের ভাইসচেয়ারম্যানদ্বয় তাদের এলাকা ভেদে মিষ্টি পানি আদারে গভীর টিউবওয়েল স্থাপন ও সরকারি বরাদ্দে পুকুর খননের আশ্বস্ত করেন।

আরও খবর: সারাদেশ