সারাদেশ

শ্যামনগরে সরকারি পানির ট্যাংক দেওয়ার নাম করে টাকা নিলো কারা?

  ডেস্ক রিপোর্ট ৩০ এপ্রিল ২০২৪ , ৪:৪৪:৩৬ প্রিন্ট সংস্করণ

 

সাতক্ষীরার শ্যামনগরে সুপেয় পানিসহ দৈনন্দিন জীবনে ব্যবহারযোগ্য পানির সংকট নতুন কিছু নয়। এই সংকট নিরসনে সরকার কোটি কোটি টাকা খরচ করলেও তার সুফল পাচ্ছে না প্রান্তিক জনগোষ্ঠী। অনিয়ম-দুর্নীতির কারণে একাধিক প্রকল্প শুধু টাকা খরচের মাধ্যমে পরিণত হয়েছে।

 

সূত্র মতে, শ্যামনগর উপকূলীয় এলাকায় জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের অধীনে পানি সংরক্ষণের ট্যাংক ও অন্যান্য সরঞ্জাম দেওয়া হচ্ছে। ‘সমগ্র দেশে নিরাপদ পানি সরবরাহ প্রকল্প’ ও ‘উপকূলীয় জেলাসমূহে বৃষ্টির পানি সংরক্ষণের মাধ্যমে পানি সরবরাহ’ নামে দুটি প্রকল্পের আওতায় এই কাজ হচ্ছে।

বাড়িতে তিন হাজার লিটার বৃষ্টির পানি ধারণক্ষমতার পানির ট্যাংক ও অন্যান্য সরঞ্জাম স্থাপনের জন্য উপকারভোগীদের ১ হাজার ৫০০ টাকা হারে সরকারি কোষাগারে জমা দিতে হয়। কিন্তু শ্যামনগরে এজন্য গুনতে হচ্ছে ১০ থেকে ১৫ হাজার টাকা পর্যন্ত। তবে ভুক্তভোগীরা ১০ থেকে ১৫ হাজার টাকা দেওয়ার কথা স্বীকার করলেও এই টাকা কারা নিয়েছে তাদের নাম বলতে চাননি অনেকেই।

স্থানীয়দের মতে তাদের নিরাপত্তার অভয় দিলে এবং যদি ঘুষখোরদের নাম বললে তাদের বিরুদ্ধে শাস্তি হয় তাহলে নাম বলতে রাজি অনেকেই।

 

অনুসন্ধানে দেখা যায়, খাবার পানির সংকটে থাকা প্রকৃত অসহায় দরিদ্র মানুষের পরিবর্তে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় বিত্তবান ও চাকরিজীবীদের মাঝে অতিরিক্ত অর্থের বিনিময়ে পানির ট্যাংক বিতরণ করা হয়েছে বলে বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ হয়।

জানা গেছে, তিন হাজার লিটারের একটি পানির ট্যাংক দোকানে কিনতে ২০ থেকে ২৫ হাজার টাকা লাগে। কিন্তু এখানে তারা ১০ থেকে ১৫ হাজার টাকায় পাচ্ছেন। যদিও ট্যাংকে লেখা আছে ‘জলধারাটি ক্রয় ও বিক্রয় সমভাবে শাস্তিযোগ্য অপরাধ’।

 

এলাকাবাসীর অভিযোগ, দেড়-দুই বছর আগে পানির ট্যাংক বাবদ টাকা জমা দিলেও তারা এখনও পাননি। অথচ যারা ১২ থেকে ১৫ হাজার টাকা করে দিচ্ছে তাদের বাড়িতে পানির ট্যাংক পৌঁছে যাচ্ছে।

অভিযোগ অস্বীকার করে শ্যামনগর উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের উপসহকারী প্রকৌশলী মো. মোস্তাফিজুর রহমান গণমাধ্যম কে বলেন, ‘সাবেক সংসদ সদস্য ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের মাধ্যমে যে তালিকা পাওয়া গেছে সেই তালিকা অনুযায়ী ট্যাংক বিতরণ করা হচ্ছে। কোনো রকম দুর্নীতির কোনো সুযোগ নেই।’

 

আরও খবর: খুলনা