সারাদেশ

শ্যামনগরে রাস্তার উপরে ড্রেন নির্মাণ, যানজট মুক্ত নয়, যুক্ত হবে!

  প্রতিনিধি ৭ নভেম্বর ২০২৩ , ১০:০৫:৩৩ প্রিন্ট সংস্করণ

 

ডেস্ক রিপোর্টঃ

সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার সদরে সবচেয়ে জনবহুল রাস্তা শহীদ মুক্তিযোদ্ধা সড়ক। দীর্ঘদিন ধরে রাস্তাটি সম্প্রসারণের দাবি জানিয়েছে আসছে এলাকা বাসি।

উপজেলা পরিষদ, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, প্রানী সম্পদ হাসপাতাল, মডার্ণ স্কুল, শ্যামনগর পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয়, বালিকা বিদ্যালয়, শহীদ মিনার, স্মৃতিসৌধ, শহীদদের মাজার, একাধিক বেসরকারি হাসপাতাল, কৃষি ব্যাংক, সোনালী ব্যাংক সহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের যাতায়াতের একমাত্র রাস্তাটি সম্প্রসারণ হওয়ার কথা থাকলেও সেটা হচ্ছে না। জলবদ্ধতা নিরসনে রাস্তার পাশে ড্রেন নির্মাণ কাজ শুরু করা হলেও অবৈধ দোকান ঘর বাঁচাতে সড়কটি সংকীর্ণ করে একে বেকে ড্রেনের কাজ চালিয়ে যাচ্ছে সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষ।

 

উপজেলা পরিষদ নতুন ভবনের মূল ফটক থেকে শুরু হওয়া ড্রেনের কাজ হাসপাতালের গেট সংলগ্ন স্থানে গিয়ে অবৈধ দোকান ঘর বাঁচাতে রাস্তার উপর উঠে যাওয়ায় রাস্তাটি পূর্বের চেয়েও আরও বেশি সংকীর্ণ হওয়ায় উপক্রম হয়েছে।

সূত্রে জানায়, শহর উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় এলজিইডি কতৃক শ্যামনগর উপজেলা শহীদ মুক্তিযোদ্ধা সড়কের উপজেলা পরিষদের ৩ নং গেট থেকে গোপালপুর কালভার্ট পর্যন্ত ১ কোটি ১৪ লাখ ৮৩ হাজার টাকায় ৯২৩ মিটার পানি নিষ্কাসনের জন্যে আরসিসি ঢালায় ড্রেন নির্মাণ বরাদ্দের কাজ টেন্ডারের মাধ্যমে পেয়ে নির্মাণ কাজ চলমান রেখেছেন ঠিকাদার আবুল বাশার।

বর্তমান রাস্তা সহ দুই পাশে সর্বনিম্ন ৫৯ ফুট জায়গায় থাকলেও ড্রেন নির্মাণ কাজে রাস্তার জায়গায় ব্যবহার না করে রাস্তার উপর দিয়ে চলছে ড্রেন নির্মাণ কার্যক্রম।

সরজমিন গিয়ে দেখা যায়, উপজেলা পরিষদের মূল ফটক থেকে শুরু হওয়ার ড্রেনের কাজ হাসপাতাল গেট সংলগ্ন স্থানে গিয়ে সড়কের জায়গায় অবৈধ ভাবে দোকান গড়ে ওঠায় সেখান থেকে বামে ঘুরিয়ে রাস্তার উপরে তোলা হয়েছে ড্রেন নির্মাণ কার্যক্রম।

অতি ব্যস্ততম রাস্তায় সম্প্রসারণের বদলে সংকীর্ণ করা কতটা যৌতিকতা রয়েছে এমন আলোচনা উপজেলা জুড়ে ও সদরের সকল শ্রেণীর পেশার মানুষের মাঝে। ড্রেন নির্মাণ শুরুতে স্থানীয় জনগোষ্ঠী বাধাগ্রস্থ করলেও সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষ নিরবতা পালন করে। রাস্তার উপরে ড্রেন নির্মাণের বিরুদ্ধে এলাকাবাসীর অভিযোগ আমলে নিচ্ছে না কতৃপক্ষ।

ড্রেন নির্মাণ বিষয়ে এলাকাবাসীর অভিযোগ, ড্রেন নির্মাণ কাজ এভাবে সমাপ্ত হলে ভবিষ্যতে রাস্তা সম্প্রসারণ হওয়ায় আর কোন সম্ভাবনা থাকবে না। একেত এই সড়কে যানজট মুক্ত হচ্ছে না, ভবিষ্যতে আরও যানজট যুক্ত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। সপ্তাহে সাত দিন রাস্তাটি যানবাহন থাকার কারণে মুমূর্ষু রোগী প্রতিনিয়ত উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আসতে বাধাগ্রস্থ হলেও এ নিয়ে যেন কারও মাথা ব্যথা নেই এমন অভিযোগ স্থানীয়দের। বিষয়টি জেলা প্রশাসক মহোদয়ের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন স্থানীয় সচেতন মহল।

আরও খবর: সারাদেশ