শ্যামনগরে প্রতারণা করে প্রায় ২০ লক্ষ টাকা আত্মসাৎ, মূলহোতা র‌্যাবের অভিযানে গ্রেফতার

র‌্যাব ফোর্সেস আমাদের প্রিয় মাতৃভূমির অপ্রতিরোধ্য উন্নয়ন অগ্রযাত্রাকে তরান্বিত করতে এবং সন্মানিত নাগরিকদের জন্য টেকসই নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আইনের আলোকে কঠোর পরিশ্রম করে যাচ্ছে। এছাড়াও বিভিন্ন সময়ে সংঘটিত চাঞ্চল্যকর অপরাধে জড়িত অপরাধীদের আইনের আওতায় এনে র‌্যাব জনগনের সুনাম অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে।

যশোর জেলার ঝিকরগাছা থানা এলাকার ভুক্তভোগী মোঃ আলী হোসেন সেন্টু ও মোঃ আবুল কাসেমদ্বয়ের সাথে সাতক্ষীরা জেলার শ্যামনগর থানা এলাকায় প্রতারক চক্রের মূল হোতা মোঃ এবাদুল সরদারের পূর্ব থেকে পরিচয় ছিল। ভুক্তভোগীদের প্রতারক এবাদুল জানায় তার নিকট টাকা দিলে সে দ্বিগুণ করে ফেরত দিতে পারে। প্রতারক এবাদুল তার সহযোগীদের নিয়ে প্রতারণামূলক ভাবে সুকৌশলে বিভিন্ন কেমিক্যাল দিয়ে টাকা বানিয়ে দ্বিগুণ করে দেখিয়ে বিশ্বাস অর্জন করে। প্রতারকচক্র ভুক্তভোগীদের অধিক লাভের প্রলোভন দেখিয়ে বিভিন্ন সময় তাদের নিকট থেকে প্রায় ২০ লক্ষাদিক টাকা হাতিয়ে নেয়। পরবর্তীতে ভুক্তভোগীরা তাদের টাকা ফেরত চাইলে প্রতারকচক্র আজকাল বলে সময়ক্ষেপন করে, টাকা দিবেনা বলে জানায় এবং প্রাণনাশের হুমকি দেয়। ভুক্তভোগী মোঃ আলী হোসেন সেন্টু র‌্যাব-৬ বরাবরে একটি অভিযোগ দায়ের করেন। র‌্যাব-৬ সাতক্ষীরা ক্যাম্পের একটি আভিযানিক দল উক্ত প্রতারকচক্রকে গ্রেফতারের লক্ষ্যে গোয়েন্দা তৎপরতা শুরু করে এবং অভিযান অব্যাহত রাখে।

এরই ধারাবাহকিতায় অদ্য ১২ মার্চ ২০২৩ তারিখ র‌্যাব-৬, (সাতক্ষীরা ক্যাম্প) এর একটি আভিযানিক দল সাতক্ষীরা জেলার শ্যামনগর থানাধীন ঘোলা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে প্রতারক চক্রের মূল হোতা ১। মোঃ এবাদুল সরদার(৩৬), থানা-শ্যামনগর, জেলা-সাতক্ষীরাকে গ্রেফতার করে। এ সময়ে উপস্থিত সাক্ষীদের সামনে গ্রেফতারকৃত আসামীর হেফাজত হতে নগদ ১৪,০০০/-(চৌদ্দ হাজার) টাকা ও প্রতারণার কাজে ব্যবহৃত বিভিন্ন সরঞ্জামাদি উদ্ধার পূর্বক জব্দ করে।

গ্রেফতারকৃত আসামী ও উদ্ধারকৃত আলামত সাতক্ষীরা জেলার শ্যামনগর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে এবং ভুক্তভোগী মোঃ আলী হোসেন সেন্টু বাদী হয়ে র‌্যাবের সহায়তায় সাতক্ষীরা জেলার শ্যামনগর থানায় আসামীদের বিরুদ্ধে প্রতারণা মামলা দায়ের করেন।