সারাদেশ

শ্যামনগরে খাল খনন প্রকল্পে চলছে হরিলুট!

  ডেস্ক রিপোর্টঃ ১২ মার্চ ২০২৩ , ৪:৩১:২৩ প্রিন্ট সংস্করণ

 

সাতক্ষীরার শ্যামনগরে খাল খনন কার্যক্রমে ব্যাপক হরিলুটের অভিযোগ উঠেছে। একই সাথে খাল পাড়ের মাটি নিয়ে সিদ্দিকুল ইসলাম বকুল তার ভাটায় ইট তৈরিতে ব্যবহার করছে বলে অভিযোগ উঠেছে। খাল পাড়ে সিদ্দিকুল ইসলাম বকুল এর তেল পাম্পের ভবন থাকায় খাল খননে বাধাগ্রস্ত হওয়ায় ভবন বাঁচাতে কয়েক লক্ষ টাকার মিশন নিয়ে মাঠে নেমেছে বকুল। পানি উন্নয়ন বোর্ডের সমঝোতায় চলছে খাল খননের হরিলুট। পানি উন্নয়ন বোর্ডের এসও তন্ময় হালদার এবং ভাটা বকুলের যোগসাজশে চলছে চোর পুলিশের খেলা।

সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, জামায়াত নেতা সিদ্দিকুল ইসলাম বকুল এর তেল পাম্পের এক পাশ খাল খননের মধ্যে পড়ায় ভাটা বকুল নিজে দাড়িয়ে থেকেই নিজের ভবন বাঁচাতে নকশার বাহিরে কাজ করিয়ে নিচ্ছেন। এ বিষয়ে সাংবাদিকেরা প্রতিবেদনের কাজে গেলে তাদের উপরে হামলে পড়ে সিদ্দিকুল ইসলাম বকুল। পুলিশের উপস্থিতিতেই সাংবাদিকদের মারতে উদ্যত হন তিনি। এসময় কালিগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের এসও তন্ময় হালদার উপস্থিত থেকে বকুলের পক্ষে সাফাই গাইতে দেখা যায়।
স্থানীয়দের ভাষ্যমতে তন্ময় হালদার এর সাথে যোগসাজশে সিদ্দিকুল ইসলাম বকুল খাল খননের চিত্র পাল্টে ফেলে পানি উন্নয়ন বোর্ডকে টাকার বিনিময়ে একই সাথে খননকৃত মাটি তার ভাটার ইট তৈরির কাজে ব্যবহার করছেন বলে জানান।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের এসও তন্ময় হালদার এর কাছে বিষয়টি জানতে চাইলে তিনি বলেন, যার ইচ্ছা সে মাটি নিয়ে যেতে পারে এটা নিয়ে কেউ ঝামেলা করলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ সময় সিদ্দিকুল ইসমাইল বকুল বলেন, আমি সাতক্ষীরা চালাই, তোমরাত চ্যাটের সাংবাদিক। আমার টাকায় শ্যামনগরে শহীদ মিনার দাড়িয়ে আছে, শ্যামনগরে বিভিন্ন সরকারি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান আমাকে চালাতে হয়। এসময় তিনি দাম্ভিকতার সাথে বলেন, শ্যামনগরে আমার জন্ম কেউ আমার কোনো কিছুই করতে পারবে না।

অন্যদিকে যমুনা খাল খননে নিয়ম বহির্ভূত কাজ হলেও পানি উন্নয়ন বোর্ড নীরব দর্শকের ভুমিকা পালন করছে। ঠিকাদার পানি উন্নয়ন বোর্ড এবং জামায়াত নেতা সিদ্দিকুল ইসলাম বকুল এর সিন্ডিকেটের মাধ্যমে সরকারের কোটি কোটি টাকা লোপাট গেলেও এ নিয়ে কর্তৃপক্ষের কোনো ভ্রুক্ষেপ নেই।

আরও খবর: সারাদেশ