সারাদেশ

শ্যামনগরে ঋণগ্রস্ত জেলেদের সুন্দরবনে মাছ ধরার প্রস্তুতি

  প্রতিনিধি ২৮ আগস্ট ২০২২ , ৭:৪৭:৩৭ প্রিন্ট সংস্করণ

 

শ্যামনগর অফিসঃ দীর্ঘ তিন মাস সুন্দরবন প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা ছিল। এসময়টাতে সুন্দরবনে প্রবেশ করতে পারেনি মৎস্যজীবি জেলেসহ পর্যটকরা। ফলে সুন্দরবনের ওপর নির্ভরশীল জেলেরা এই তিন মাস সুদের টাকায় সংসার চালিয়ে হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়েছেন। একদিনে সুদের ঋণের চাপ মাথার উপরে, অন্যদিকে আবার ঋণ নিয়ে নৌকা সংস্কার করে সুন্দরবনে প্রবেশের প্রস্তুতি নিচ্ছে উপকূলীয় জেলেরা।

চলতি বছরের ১ জুন থেকে ৩১ আগস্ট পর্যন্ত সুন্দরবনে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞার প্রজ্ঞাপন দেয় মন্ত্রিপরিষদ। দীর্ঘ তিন মাস পরে আগামী ১ সেপ্টেম্বর থেকে বৈধভাবে সুন্দরবনে প্রবেশের সুযোগ পাবে জেলেসহ পর্যটকরা।

 

এসময়ে নৌকা সংস্কার ও অন্যান্য প্রস্তুতিপর্ব নিয়ে বেশ ব্যস্ত সময় পার করছেন জেলেরা। তবে ঋণের বোঝা নিয়ে হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়েছেন জেলেরা। সুদের টাকা নিয়ে তিন মাস সংসার চালিয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন তারা। সুন্দরবনে মাছ ধরতে যেতে গেলে নৌকা সংস্কার করাটা জরুরি। তাই বাধ্য হয়ে আবারও ঋণ নিয়ে এ সমস্ত কাজ করছে জেলেরা।

এদিকে, বনবিভাগের পক্ষ থেকে জেলেদের সহযোগিতার আশ্বাস দিলেও সেটার বাস্তবায়ন করা হয়নি।

শ্যামনগর বুড়িগোয়ালিনী এলাকার মৎসজীবি হামিদুল ইসলাম জানান, তিনমাস সুদের টাকা নিয়ে সংসার চালিয়ে এখন দিশেহারা হয়ে পড়েছি। তাই বাধ্য হয়ে কয়েক ধাপে ঋণ নিতে হয়েছে। আগামী মাস থেকে সুন্দরবনে মাছ ধরতে যেতে হবে তাই ঋণ নিয়ে নৌকা, জাল সংস্কার করতে হচ্ছে। মাথার উপরে এত বড় ঋণের বোঝা নিয়ে সুন্দরবনে ফিরতে হচ্ছে।

 

মো. জামসেদ নামের অপর এক মৎস্যজীবি জানান, বছরে পাঁচ মাস সুন্দরবনে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা থাকে। তাই এই পাঁচ মাসে যে পরিমাণ সুদের ঋণ গ্রহণ করতে হয় সেটা পুরো বছরের আয় দিয়েও শোধ করা যায় না। বছরের প্রতিটা দিন-ই ঋণগ্রস্ত হয়ে থাকতে হয়। মাথার ওপর এত বড় ঋণের বোঝা নিয়ে সুন্দরবনে যেতে হবে তবে এই ঋণ কাটিয়ে উঠার সম্ভবনা খুব কম।

খুলনা বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মিহির কুমার দে জানান, তিনমাস নিষেধাজ্ঞা শেষে ১ সেপ্টেম্বর থেকে সুন্দরবনে প্রবেশ করতে পারবে জেলেরা। তিন মাস জেলেরা মাছ ধরতে পারেনি। বিষয়টি বিবেচনা করে ভিজিএফ কার্ডের মাধ্যমে খাদ্য সহায়তা দেওয়ার জন্য মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। প্রস্তাবিত বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

তিনি আরও জানান, ডিএসসি ধারী জেলেরা সকলে সুন্দরবনে প্রবেশ করতে পারবে। কিছু কিছু নিষিদ্ধ এলাকা বাদে সকল স্থানে তারা মাছ ধরতে পারবে।

আরও খবর: সারাদেশ