জাতীয়

রাত পোহালেই ঈদ, নিরাপত্তা জোরদার, রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপির মহাসচিবের ঈদের শুভেচ্ছা

  ঢাকা অফিসঃ ২৮ জুন ২০২৩ , ৬:০৩:১৬ প্রিন্ট সংস্করণ

 

সারা দেশে আগামীকাল ত্যাগের মহিমায় উদযাপিত হবে পবিত্র ঈদুল আজহা। হিজরি বর্ষপঞ্জি অনুসারে জিলহজ মাসের ১০ তারিখে ঈদুল আজহা পালিত হয়। ঈদুল ফিতরের মতো ঈদুল আজহায় ঠিক আগের দিন চাঁদ দেখার বিষয় নেই। ১০ দিন আগেই ঠিক হয়ে যায় ঈদের দিনক্ষণ। সে অনুসারে পশু কেনা, নাড়ির টানে গ্রামে যাওয়াসহ ঈদের সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করে থাকেন সবাই। এবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি। গ্রামের বাড়ি যাচ্ছে মানুষ, যার যার সাধ্যমতো কিনছেন পশু। ঈদুল আজহা আমাদের দেশের মানুষের কাছে ‘কুরবানির ঈদ’ নামেই পরিচিত। এর ইতিহাস সুপ্রাচীন। সারা বিশ্বের মুসলমানরা ১০ জিলহজ কুরবানি দিয়ে থাকেন। পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষ্যে শুভেচ্ছা জানিয়ে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী বাণী দিয়েছেন।

সকালে দুই রাকাত ওয়াজিব নামাজ আদায়ের মাধ্যমে ঈদ উদযাপনের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হবে। নামাজের পর খুতবায় ইমাম সাহেব কুরবানির মর্মবাণী তুলে ধরবেন। পশু কুরবানির মাধ্যমে মনের পশুকে দমনের আহ্বান থাকে খুতবায়। দোয়ার মাধ্যমে ঈদ উদযাপনের প্রথম পর্ব শেষ হবে। এরপর পশু কুরবানির মাধ্যমে শুরু হবে ঈদের দ্বিতীয় পর্বের উদযাপন। গ্রাম থেকে শহর সব জায়গায় বিকাল পর্যন্ত আত্মীয় স্বজন ও পাড়া-প্রতিবেশীর মধ্যে কুরবানির পশুর মাংস বিতরণের আনন্দে মেতে উঠবেন অনেকে। রাজধানী ঢাকায় বেশ কয়েকটি ঈদের নামাজের জামাত হবে। ঈদের জামাতের নিরাপত্তা নিশ্চিতে র‌্যাব ও পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের সার্বক্ষণিক নজরদারি থাকবে।

 

ঈদুল ফিতরের পর মুসলমান ধর্মাবলম্বীদের দ্বিতীয় বৃহত্তম উৎসব ঈদুল আজহা। আল্লাহতায়ালার সন্তুষ্টি অর্জনের উদ্দেশ্যে হজরত ইব্রাহিম (আ.) তাঁর প্রিয় পুত্রকে কুরবানি করতে চেয়েছিলেন। ইব্রাহিম (আ.)-এর নিয়ত ও তা বাস্তবায়নের উদ্যোগে খুশি হয়ে তার পুত্রের বদলে পরম করুণাময় আল্লাহতায়ালার ইশারায় দুম্বা কুরবানি হয়। হজরত ইব্রাহিম (আ.)-এর অসামান্য এই ত্যাগের মহিমা জাগ্রত রাখতে সারা বিশ্বের মুসলিম সম্প্রদায় জিলহজ মাসের ১০ তারিখে পশু কুরবানি করেন। ঈদুল আজহার পরের দুদিন অর্থাৎ ১১ ও ১২ জিলহজেও পশু কুরবানির সুযোগ থাকে।

বাণী : পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষ্যে দেশবাসীসহ বিশ্বের মুসলমানদের আন্তরিক শুভেচ্ছা ও মোবারকবাদ জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। কুরবানি আমাদের মধ্যে সহিষ্ণুতার শিক্ষা দেয়, ঈদুল আজহা উপলক্ষ্যে দেওয়া এক বাণীতে তিনি এ কথা বলেন।

পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষ্যে বাংলাদেশসহ বিশ্বের সব মুসলিম জনগোষ্ঠীকে আন্তরিক শুভেচ্ছা এবং ঈদ মোবারক জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, ঈদুল আজহা শান্তি, সহমর্মিতা, ত্যাগ ও ভ্রাতৃত্ববোধের শিক্ষা দেয়। মঙ্গলবার এক বাণীতে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ব্যক্তি, পরিবার, সমাজ ও রাষ্ট্রীয় জীবনে মুসলমানদের ত্যাগ, আত্মশুদ্ধি, সংযম, সৌহার্দ্য ও সম্প্রীতির মেলবন্ধন পরিব্যাপ্তি লাভ করুক-এটাই হোক ঈদ উৎসবের ঐকান্তিক কামনা। হাসি-খুশি ও ঈদের অনাবিল আনন্দে প্রতিটি মানুষের জীবন পূর্ণতায় ভরে উঠুক। পবিত্র ঈদুল আজহার মর্মবাণী অন্তরে ধারণ করে নিজ নিজ অবস্থান থেকে জনকল্যাণমুখী কাজে অংশ নিয়ে বৈষম্যহীন, সুখী-সমৃদ্ধ ও শান্তিপূর্ণ স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তোলার আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘আমি প্রত্যাশা করি, প্রতিবারের মতো এবারও ঈদ ধনী-গরিব নির্বিশেষে সবার জীবনে সুখ ও আনন্দের বার্তা বয়ে আনবে।’

পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষ্যে এক বাণীতে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, কুরবানির মহিমান্বিত শিক্ষাকে বুকে ধারণ করে মানব কল্যাণে নিজেকে উৎসর্গ করা আমাদের লক্ষ্য হওয়া উচিত। দেশ এখন এক চরম দুঃসময় অতিবাহিত করছে। দেশের মানুষ দুঃসহ অবস্থার পরিবর্তন চায়।

আরও খবর: জাতীয়