প্রতিনিধি ৬ নভেম্বর ২০২৩ , ৫:০৪:১০ প্রিন্ট সংস্করণ
নীলাকাশ টুডে
সরকারের দমন-পীড়নের প্রতিবাদে আগামীকাল ৭ নভেম্বর ‘জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস’র দলীয় কর্মসূচি স্থগিত করেছে বিএনপি। আজ সোমবার (৬ নভেম্বর) বিকেলে এক ভার্চুয়াল সংবাদ ব্রিফিংয়ে দলের জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী এ কথা জানান।
তিনি বলেন, এক মনুষ্যহীন ভয়ংকর পরিবেশের মধ্যে বাস করছে আজকে গণতন্ত্রকামী মানুষ, আজকে জাতীয়তাবাদী শক্তি। এই কারণে আগামীকাল আমাদের যে কর্মসূচি থাকে ৭ নভেম্বরে, সরকারের নিষ্ঠুর-নির্দয় নিপীড়নের প্রতিবাদে সেই কর্মসূচি স্থগিত থাকছে। শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের মাজারে যাওয়ার যে কর্মসূচি সেই কর্মসূচি স্থগিত থাকছে।
৭ নভেম্বর দিবসটিকে বিএনপি ‘জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস’, আওয়ামী লীগ ‘মুক্তিযোদ্ধা-সৈনিক হত্যা দিবস’ এবং জাসদ ‘সিপাহি-জনতার অভ্যুত্থান দিবস’ হিসেবে পালন করে। প্রতি বছর এই দিবসের দিন বিএনপির নেতাকর্মীরা সকালে রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের কবরে পুষ্পমাল্য অর্পণ করে থাকেন।
১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সপরিবারে নিহত হওয়ার পর সেনাপ্রধানের দায়িত্বে আসেন জিয়াউর রহমান। এরপর মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সেক্টর কমান্ডার খালেদ মোশাররফের নেতৃত্বে সেনাবাহিনীতে একটি অভ্যুত্থান হয়, জিয়া হন গৃহবন্দি। ৭ নভেম্বর মুক্তিযুদ্ধের আরেক সেক্টর কমান্ডার কর্নেল তাহেরের নেতৃত্বে পাল্টা অভ্যুত্থানে আটকাবস্থা থেকে মুক্ত হন জিয়াউর রহমান। এর মধ্য দিয়ে ক্ষমতার কেন্দ্রবিন্দুতে চলে আসেন জিয়া।
ক্ষমতাসীন দলের সমালোচনা করে সংবাদ ব্রিফিংয়ে রিজভী বলেন, যারা ’৭৫ সালে গণতন্ত্রকে হত্যা করেছিল এবং এখন যারা পুনরায় নব্য বাকশাল কায়েম করেছে, তারা আবারও নতুন কায়দায় বিরোধী দলের কণ্ঠকে স্তব্ধ করে দেওয়ার জন্য বিএনপি অফিসে তালা লাগিয়েছে। বিএনপি মহাসচিবসহ গুরুত্বপূর্ণ নেতৃবৃন্দকে গ্রেপ্তার করেছে। অনেক নেতা বাসায় থাকতে পারছেন না, তাদের নামে মিথ্যা মামলা দিয়েছে, হাজার হাজার, লক্ষ লক্ষ, কোটি কোটি মানুষ ঘরছাড়া হয়েছে। বেগম খালেদা জিয়াকে মিথ্যা মামলায় সাজা দিয়ে আজকে তাকে কারান্তরীণ রাখা হয়েছে, তাকে বন্দি করে রাখা হয়েছে, আজকে তিনি অসুস্থতায় নানাভাবে নির্যাতিত হচ্ছেন।