জাতীয়

মন্ত্রী প্রতিমন্ত্রী সহ যে ৭০ আসনে ডুবে যাবে নৌকা!

  প্রতিনিধি ২ জানুয়ারি ২০২৪ , ৮:০৩:২৭ প্রিন্ট সংস্করণ

নীলাকাশ টুডে

 

সংসদ নির্বাচনের অন্তত ৭০ আসনে দাপট দেখাচ্ছেন স্বতন্ত্র প্রার্থীরা। তাদের বেশির ভাগই আওয়ামী লীগের মনোনয়ন না পেয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন। এসব স্বতন্ত্র প্রার্থীর কাছে ধরাশায়ী হওয়ার ঝুঁকিতে পড়েছেন সাত মন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রী।

স্বতন্ত্র প্রার্থীর শক্ত অবস্থানের কারণে আওয়ামী লীগের সমর্থন পেয়েও বিপদে আছেন ১৪ দলীয় জোটের দুই শীর্ষ নেতা জাসদের (ইনু) সভাপতি হাসানুল হক ইনু এবং বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক ফজলে হোসেন বাদশা। ৯ আসনে আওয়ামী লীগের সমর্থন পেয়েও বেশ পিছিয়ে জাতীয় পার্টির প্রার্থীরা।

অন্যদিকে, আওয়ামী লীগের মনোনয়নবঞ্চিত স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়া চার এমপির বিজয়ের সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। একটি আসনে বাবার বিরুদ্ধে মেয়ের শক্তিশালী অবস্থান অনেকের দৃষ্টি কেড়েছে। আরেকটি আসনে অসুস্থ বাবার অনুপস্থিতিতে কান্ডারির ভূমিকায় নেমে ভোটারদের মন জয় করেছেন মেয়ে।

আওয়ামী লীগের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির কয়েকজন শীর্ষ নেতার কাছ থেকে পাওয়া আসনভিত্তিক পর্যালোচনায় এমন ইঙ্গিত মিলেছে। প্রায় একই ধরনের তথ্য দিয়েছেন সরকারি দলের বেশ কয়েকজন কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতা। তাদের অনেকেই ইতোমধ্যে উল্লেখযোগ্যসংখ্যক নির্বাচনী এলাকা পরিদর্শন করে এসেছেন। এ ছাড়া আমাদের স্থানীয় প্রতিনিধিদের তথ্য বিশ্লেষণেও পাওয়া গেছে এমন আভাস।এই খবর ছাপানো হয়েছে ঢাকার প্রভাবশালী একটি জাতীয় দৈনিক পত্রিকায়।

ওই খবরে উল্লেখ করা হয়েছে, স্বতন্ত্র প্রার্থীদের এগিয়ে থাকা আসনের মধ্যে রয়েছে– দিনাজপুর-৪, লালমনিরহাট-১, লালমনিরহাট-২, রংপুর-২, রংপুর-৫, গাইবান্ধা-২, গাইবান্ধা-৫, নওগাঁ-৪, নওগাঁ-৫, নওগাঁ-৬, রাজশাহী-২, রাজশাহী-৫, রাজশাহী-৬, সিরাজগঞ্জ-৫, পাবনা-১, পাবনা-৩, কুষ্টিয়া-১, কুষ্টিয়া-২, কুষ্টিয়া-৪, চুয়াডাঙ্গা-১, বরিশাল-৪, বরিশাল-৬, পিরোজপুর-৩, টাঙ্গাইল-২, টাঙ্গাইল-৫, জামালপুর-২, জামালপুর-৫, শেরপুর-১, ময়মনসিংহ-১, ময়মনসিংহ-৩, ময়মনসিংহ-৫, ময়মনসিংহ-৬, ময়মনসিংহ-৭, ময়মনসিংহ-৮, ময়মনসিংহ-১১, নেত্রকোনা-২, মানিকগঞ্জ-১, ঢাকা-১৮, ঢাকা-১৯, ঢাকা-২০, গাজীপুর-১, গাজীপুর-৩, গাজীপুর-৫, নরসিংদী-৩, নরসিংদী-৪, রাজবাড়ী-১, রাজবাড়ী-২, ফরিদপুর-২, ফরিদপুর-৩, ফরিদপুর-৪, গোপালগঞ্জ-১, মাদারীপুর-৩, সিলেট-৫, হবিগঞ্জ-১, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২, কুমিল্লা-৪, কুমিল্লা-৫, ফেনী-৩, নোয়াখালী-২, নোয়াখালী-৩, লক্ষ্মীপুর-১, লক্ষ্মীপুর-২, লক্ষ্মীপুর-৩, লক্ষ্মীপুর-৪, চট্টগ্রাম-১, চট্টগ্রাম-৩, চট্টগ্রাম-৮, চট্টগ্রাম-১০, চট্টগ্রাম-১২ ও চট্টগ্রাম-১৫।

আওয়ামী লীগের কয়েকজন নীতিনির্ধারক নেতা জানিয়েছেন, দিনাজপুর-৪ আসনে বর্তমান এমপি আবুল হাসান মাহমুদ আলীর বিরুদ্ধে এগিয়ে আছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী চিরিরবন্দর উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান তারিকুল ইসলাম। লালমনিরহাট-১ আসনে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোতাহার হোসেন এমপির বিরুদ্ধে স্বতন্ত্র প্রার্থী আতাউর রহমান প্রধান এগিয়ে আছেন।

রংপুর-২ আসনে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের আভাস পাওয়া গেলেও বর্তমান এমপি আবুল কালাম মোহাম্মদ আহসানুল হক চৌধুরী ডিউকের বিরুদ্ধে জয় পেতে পারেন স্বতন্ত্র প্রার্থী কৃষক লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কৃষিবিদ বিশ্বনাথ সরকার বিটু। রংপুর-৫ আসনে মিঠাপুকুর উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক রাশেক রহমান হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ে থাকলেও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান জাকির হোসেন সরকারের দিকেই ঝুঁকছেন ভোটাররা।

ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মাহমুদ হাসান রিপন এমপিকে চ্যালেঞ্জ করে গাইবান্ধা-৫ আসনে কিছুটা এগিয়ে রয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী ফুলছড়ি উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ফারজানা রাব্বী বুবলি। নওগাঁ-৪ আসনে মান্দা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট নাহিদ মোর্শেদ বাবুর বিরুদ্ধে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন দু’জন। বর্তমান এমপি ইমাজ উদ্দিন প্রামাণিক ও জেলা আওয়ামী লীগের সাংস্কৃতিক সম্পাদক এস এম ব্রুহানী সুলতান মাহমুদ গামা। এখানে আওয়ামী লীগ প্রার্থীর সঙ্গে লড়াই জমে উঠলেও এস এম ব্রুহানী সুলতান মাহমুদ গামা এগিয়ে আছেন।

আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবদুল জলিলের ছেলে ব্যারিস্টার নিজাম উদ্দিন জলিল জন এমপির বিরুদ্ধে নওগাঁ-৫ আসনে জয় পেতে পারেন পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি দেওয়ান ছেকার আহমেদ শিষান। নওগাঁ-৬ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী জেলা আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণবিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট ওমর ফারুক সুমনের অবস্থা বেশ মজবুত। এখানে আওয়ামী লীগের প্রার্থী দলের রানীনগর উপজেলা শাখার সভাপতি আনোয়ার হোসেন হেলাল এমপি।

রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবদুল ওয়াদুদ দারা এমপি রাজশাহী-৫ আসনে দলের প্রার্থী। তাঁর বিরুদ্ধে এগিয়ে আছেন জেলা যুবলীগের সাবেক সহসভাপতি ওবায়দুর রহমান। সিরাজগঞ্জ-৫ আসনে বেলকুচি আওয়ামী লীগের সভাপতি আবদুল মমিন মণ্ডলের বিরুদ্ধে স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবেক মন্ত্রী আবদুল লতিফ বিশ্বাস শক্ত অবস্থানে রয়েছেন। পাবনা-১ আসনে ডেপুটি স্পিকার অ্যাডভোকেট শামসুল হক টুকু কিছুটা বেকায়দায় আছেন। এখানে এগিয়ে আছেন সাবেক প্রতিমন্ত্রী অধ্যাপক আবু সাইয়িদ।

পাবনা-৩ আসনে জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি মকবুল হোসেন এমপির বিরুদ্ধে এগিয়ে রয়েছেন চাটমোহর উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান আবদুল হামিদ মাস্টার। দৌলতপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আ কা ম সরওয়ার জাহান বাদশা এমপির বিরুদ্ধে কুষ্টিয়া-১ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী দু’জন। সাবেক এমপি রেজাউল হক চৌধুরী ও সাবেক এমপি আফাজ উদ্দিনের ছেলে নাজমুল হুদা পটল। এ দুই স্বতন্ত্র প্রার্থীর মধ্যে নির্বাচনী লড়াই জমে উঠেছে। এর মধ্যে তুলনামূলক রেজাউল হক চৌধুরীর অবস্থা ভালো।

 

আরও খবর: জাতীয়