সারাদেশ

ভারতের প্রমোদতরী ‘গঙ্গা বিলাস’ সুন্দরবনে

  সবুজ শিকদার, বাগেরহাট থেকেঃ ৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ , ৫:৫৩:০২ প্রিন্ট সংস্করণ

 

বিশ্বের দীর্ঘতম প্রমোদতরী ‘এম ভি গঙ্গা বিলাস’ ভারতের প্রমোদতরী ‘গঙ্গা বিলাস’ শুক্রবার বেলা সাড়ে ১২ টার দিকে সুন্দরবনের নৌ সীমান্ত পথে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে। দেশের সীমান্ত থেকে সুন্দরবনের নৌপথে ভ্রমণকালে নিরাপত্তা নিশ্চত করতে বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড পশ্চিম জোনের একটি টিম রয়েছে। গত ১৩ জানুয়ারি তরীটি উদ্বোধন করেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।

শনিবার দুপুরে মোংলা বন্দরে আসবে গঙ্গা বিলাস। বন্দরের ৬ নম্বর জেটিতে ভিড়বে বিলাসবহুল পাঁচ তারকা মানের এ জাহাজটি। মোংলা বন্দর জেটিতে প্রমোদতরী ও বিদেশী পর্যটকদের স্বাগত জানাতে নানা প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে। নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহামুদ চৌধুরী, ভারতীয় হাই কমিশনার ও মোংলা বন্দর চেয়ারম্যানসহ পদস্থ কর্মকর্তারা অভ্যার্থনা অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করবেন।

নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় ও মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষ সূত্র জানায়, শুক্রবার দুপুর সাড়ে ১২ টায় বিদেশি পর্যটকবাহী ‘গঙ্গা বিলাস’ সুন্দরবনের আংটিহারায় প্রবেশের পর ইমিগ্রেশন প্রক্রিয়া শুরু হয়। এরপর প্রমোদতরীটি সুন্দরবনের অভ্যন্তরে অবস্থান করছে। শনিবার এটির মোংলা বন্দর জেটিতে ভেড়ার কথা রয়েছে।

বাংলাদেশে অবস্থানকালে ‘গঙ্গা বিলাস’ খুলনা জেলার কয়রার আংটিহারা হয়ে ম্যানগ্রোভ সুন্দরবনে প্রবেশ করে মোংলা বন্দর হয়ে বাগেরহাটের ষাটগম্বুজ মসজিদ এলাকা ঘুরবেন বিদেশি পর্যটকরা। পরে নৌ পথে বরিশাল হয়ে মেঘনা ঘাটে অবস্থান করে সোনারগাঁও ও ঢাকায় ভ্রমণ করবেন প্রমোদতরী গঙ্গা বিলাসের যাত্রীরা। পরবর্তীতে টাঙ্গাইল ও সিরাজগঞ্জ হয়ে কুড়িগ্রামের চিলমারী, রংপুরের দর্শনীয় স্থানে ভ্রমণের সুযোগ থাকছে তাদের। ভারতে প্রবেশ করবে চিলমারী থেকে। গঙ্গা বিলাসের দেশের অভ্যান্তরে থাকাকালীন বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ প্রটোকল রুটের নাব্য রক্ষা, বার্দিং সুবিধা নিশ্চিতকরণ ও নৌপথ ব্যবহারের জন্য ভয়েজ পারমিশন প্রদান এবং ভয়েজ পারমিশনের সার্বিক মনিটরিংয়ের দায়িত্বে থাকবে। আগামী ১৩ মার্চ গঙ্গা বিলাস আসামের ডিব্রুগড় থেকে একই পথে ফেরার কথা রয়েছে।

আরও খবর: সারাদেশ