সারাদেশ

বিলুপ্তির পথে জাতীয় পাখি দোয়েল

  প্রতিনিধি ১৭ জুন ২০২২ , ৫:৪৬:২৬ প্রিন্ট সংস্করণ

মোঃ সামছুল আলম, আদমদীঘি (বগুড়া) থেকে: বাংলাদেশের জাতীয় পাখি নির্বাচনের সময় দেশের বরেন্য পাখি বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ চাইলে তাঁরা দোয়েল পাখিকে জাতীয় পাখির মর্যাদা দেয়ার পরামর্শ দিয়েছিলেন। কারণ দোয়েল এমন একটি পাখি যে পাখি শহর, গ্রাম, পাহাড়, বন সর্বত্রই দেখা মেলে। সুন্দর বনেও যেমন দোয়েল দেখা যায় তেমনি ছোট ছোট বনেও দোয়েলের দেখা মেলে। আবার প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলে ঝিঙে, লাউ ,কুমড়া শিমগাছের ফাকে ফাকে শীস দিতে দেখা যায়। দোয়েল কখনো অন্য পাখিদের ক্ষতি করে না। ওদের গানের গলাও ভারী মিষ্টি ।
তাই বংলাদেশের সাহিত্য ও বিভিন্ন গানে দোয়েলের কথা উল্লেখ করেছেন গীতিকাররা। দোয়েল একটি উপদ্রপহীন উপকারী পাখি বটে। দোয়েল একটি গায়ক পাখি। ভোরে দোয়েলের শীষে ঘুম ভাঙে। কিন্তু আগের মতো দোয়েল পাখি আর চোখে পড়েনা খুব একটা। আর প্রাকৃতিক দূর্যোগ, বেদে সম্প্রদায়ের শিকার ও বাসা বাধার উপযুক্ত পরিবেশের অভাবে জাতীয় পাখি দোয়েল আজ বিলুপ্তির পথে। সুন্দর রঙের এই গায়ক পাখিটি আজকাল আর তেমন হরহামেশায় দেখা মেলে না।
দোয়েল পাখির দৈর্ঘ্য প্রায় ২০ সেন্টিমিটার এবং ওজন প্রায় ৪০ গ্রাম হয়ে থকে। সাদা কালো চমৎকার রঙের গায়ক পাখিটির প্রজনন কালে এরা গাছের কোটরে, পুরাতন মাটির দেওয়ালের গর্তে বাসা তৈরি করে। অধুনিকতার ছোঁয়ায় পুরোনো গাছ ও পুরোনো মাটির ঘরের গর্তের অভাবে এরা বাসা তৈরিতে বিরম্বনার শিকার হয়ে থাকে।
এছাড়া বেদে সম্প্রদায়ের লোকজন আমিষের চাহিদা মেটানোর জন্য সহজ লভ্য  অন্যান্য পাখির মতো দোয়েল পাখি শিকার করে থাকে।ভরা প্রজনন মৌসুমে প্রাকৃতিক দূর্যোগের কারণে দোয়েল পাখিদের ডিম বাচ্চা বিনষ্ট হয়ে থাকে। কারণ যে সময় দোয়েলের প্রজনন কাল সে সময় দেশে কাল বৈশাখী  ছোবল হানে। দোয়েল পাখি বছরে একবার ডিম দেয়। এরা একবারে ৪/৫ টি ডিম দেয়। ১২/১৩ দিনের মধ্যে ডিম ফুটে বাচ্চা বেড় হয়। যেহেতু দোয়েল আমাদের জাতীয় পখী। সেহেতু দোয়েল পাখি সংরক্ষণে আমাদের সচেতনতা বাড়ানোর পাশ পাশি আমাদের বলিষ্ঠ ভূমিকা পালন করা দরকার। সচেতন মহল মনে করছেন এক সময় হয়তো আমাদের পরিবেশের খাদ্য শৃঙ্খল ও খাদ্য জাল থেকে হারিয়ে যাবে এই জাতীয় পাখি দোয়েল।

আরও খবর: সারাদেশ