জাতীয়

বাংলাদেশেকে প্রশংসা করে যা বললো জাতিসংঘ

  নীলাকাশ টুডেঃ ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ , ৫:৪৫:৪০ প্রিন্ট সংস্করণ

 

চলমান বৈশ্বিক সংঘাত, আর্থিক, জ্বালানি ও খাদ্য সংকট এবং জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাবে উদ্ভূত চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় বাংলাদেশের প্রতি অব্যাহত সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেছেন জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস। রোববার নিউইয়র্কে জাতিসংঘের বাংলাদেশ স্থায়ী মিশন থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

সম্প্রতি নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সদর দপ্তরে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেনের সঙ্গে সাক্ষাৎকালে এ মন্তব্য করেন তিনি। এ সময় ব্ল্যাক সি গ্রেইন উদ্যোগকে সাধুবাদ জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী, যা বিশ্বের বিভিন্ন দেশকে সার ও শস্য আমদানির মাধ্যমে খাদ্য সংকট মোকাবিলায় সহায়তা করে।

 

গুতেরেস জানান, লাটভিয়া, এস্তোনিয়া, বেলজিয়াম ও নেদারল্যান্ডসে সারের কাঁচামালের পর্যাপ্ত মজুত রয়েছে, যা বাংলাদেশ সাশ্রয়ী মূল্যে আমদানির কথা বিবেচনা করতে পারে। মহাসচিবকে ধন্যবাদ জানিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী আশ্বস্ত করেন, বাংলাদেশ এই সুযোগ কাজে লাগানোর কথা বিবেচনা করবে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বে বাংলাদেশের অসাধারণ উন্নয়নের গতিধারার প্রশংসা করে মহাসচিব কামনা করেন, বাংলাদেশ আগামী বছরগুলোয় বিশেষ করে এসডিজি অর্জনে আরও সাফল্য অর্জন করবে। জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে শীর্ষ সেনা ও পুলিশ সদস্য প্রেরণকারী দেশ হিসাবে আন্তর্জাতিক শান্তি ও নিরাপত্তা রক্ষায় বাংলাদেশের ধারাবাহিক নেতৃত্বেরও প্রশংসা করেন তিনি।

সম্প্রতি জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে মিয়ানমারের ওপর গৃহীত রেজুলেশনের পরিপ্রেক্ষিতে রোহিঙ্গা সংকট এবং এর সম্ভাব্য উত্তরণের উপায় নিয়েও আলোচনা করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও মহাসচিব। তারা এই সংকট সমাধানে আসিয়ানের কার্যকর নেতৃত্বের ওপর গুরুত্বারোপ করেন।

এ পরিপ্রেক্ষিতে মহাসচিব ১.২ মিলিয়ন রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দেওয়ার জন্য বাংলাদেশের উদারতার ভূয়সী প্রশংসা করেন এবং মিয়ানমারে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের তাদের মাতৃভ‚মিতে ফেরাতে জাতিসংঘের সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেন।

মহাসচিবের সঙ্গে সাক্ষাতের আগে পররাষ্ট্রমন্ত্রী সাধারণ পরিষদের সভাপতি সাবা কোরেসি, ডিপার্টমেন্ট অব পিসবিল্ডিং অ্যান্ড পলিটিক্যাল অ্যাফেয়ার্সের (ডিপিপিএ) আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেল রোজমেরি ডিকার্লো এবং পিস অপারেশন বিভাগের আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেল জপিয়েরে ল্যাক্রুয়ার সঙ্গেও বৈঠক করেন।

সাধারণ পরিষদের সভাপতির সঙ্গে বৈঠকের সময় পররাষ্ট্রমন্ত্রী স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন। বিশেষভাবে তিনি সভাপতির সঙ্গে সাউথ-সাউথ কো-অপারেশন বিষয়ে বাংলাদেশ কর্তৃক একটি মন্ত্রী পর্যায়ের নতুন ফোরাম প্রতিষ্ঠার প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা করেন। এ উদ্যোগের জন্য পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানান।

আরও খবর: জাতীয়