সারাদেশ

ফ্যানের সঙ্গে স্বামীর ঝুলন্ত মরদেহ, ঘরে অচেতন স্ত্রী

  বাগেরহাট প্রতিনিধিঃ ১৯ মে ২০২৩ , ২:৩২:৩২ প্রিন্ট সংস্করণ

 

বাগেরহাটে ফ্যানের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় মনিরুজ্জামান মনি ওরফে আলিরাজ (১৭) নামের এক কিশোরের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার (১৮ মে) বাগেরহাট শহরের হরিনখানা এলাকার নেকবার মল্লিকের টিনশেড ভাড়াবাড়ি থেকে ওই কিশোরের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

এসময় অচেতন অবস্থায় ওই কিশোরের স্ত্রী মিশকাতুলকে (১৮) উদ্ধার করে বাগেরহাট জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তবে মৃত আলিরাজের বাবার দাবি পুত্রবধূ মিশকাতুল ও তার লোকজন তার ছেলেকে হত্যা করেছে।

 

মৃত মনিরুজ্জামান মনি ওরফে আলিরাজ যশোর জেলার কেশবপুর উপজেলার মাদারডাঙ্গা গ্রামের আব্দুল হালিমের ছেলে। সে পাবনার একটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের এসএসসি পরীক্ষার্থী। কিশোরের স্ত্রী মিশকাতুল বাগেরহাট জেলার মোরেলগঞ্জ উপজেলার বরশিবাওয়া গ্রামের মনিরুজ্জামান মীরের মেয়ে। মিশকাতুল বাগেরহাটের একটি কলেজের এইচএসসি দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী। প্রেমের সর্ম্পকের পরিণতি হিসেবে ২৫ এপ্রিল তারা বয়স গোপন করে বিয়ের বন্ধনে আবদ্ধ হন। গেল ৭-৮ দিন ধরে হরিণখানা এলাকার নেকবার মল্লিকের টিনশেড বাড়িতে ভাড়াটিয়া হিসেবে বসবাস করছিলেন।

ধারণা করা হচ্ছে, উভয়ের পরিবার তাদের বিয়ে মেনে না নেওয়ায় বুধবার (১৭ মে) গভীর রাতে মিশকাতুল ঘুমের ওষুধ সেবন করে আত্মহত্যার চেষ্টা করে। স্ত্রীকে এই অবস্থায় দেখে মনিরুজ্জামান গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে।

মনিরুজ্জামানের বাবা আব্দুল হালিম বলেন, আমার ছেলেকে ঢাকায় নিয়ে গোপনে বিয়ে করেছে মিশকাতুল। বিষয়টি আমাদেরকে অনেক পরে জানিয়েছে। আমরা এই বিয়ে মেনে নেওয়ার কথাও বলেছিলাম। কিন্তু ছেলেকে আমাদের কাছে আসতে দেওয়া হতো না। আমার ছেলে আত্মহত্যা করতে পারে না। মিশকাতুল ও তার পরিবারের লোকজন আমার ছেলেকে হত্যা করেছে। আমি এই হত্যার বিচার চাই।

 

বাগেরহাট মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কে এম আজিজুল ইসলাম বলেন, মৃত্যুর সঠিক কারণ নির্ণয়ের জন্য মরদেহ বাগেরহাট জেলা হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। মৃতের স্ত্রী মিশকাতুল পুলিশ পাহারায় বাগেরহাট জেলা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।

আরও খবর: সারাদেশ