জাতীয়

প্রধান বিরোধী দলের আসনে স্বতন্ত্রদের জোট!

  প্রতিনিধি ১১ জানুয়ারি ২০২৪ , ১১:৩৪:১১ প্রিন্ট সংস্করণ

নীলাকাশ টুডে

বাংলাদেশের সংসদ নির্বাচনের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি স্বতন্ত্র প্রার্থী জিতে আসার পর দ্বাদশ সংসদে প্রধান বিরোধী দলের আসনে কারা বসবেন, সেই আলোচনার পালে হাওয়া যোগাচ্ছে আইন ও সংবিধানের ব্যাখ্যা।

সাধারণ ধারণা হল, আসন সংখ্যায় সংসদের দ্বিতীয় বৃহত্তম দল যাকে নেতা নির্বাচিত করবে, তিনিই বিরোধীদলীয় নেতার আসন পাবেন। তার দলই হবে সংসদের প্রধান বিরোধী দল।

গত দুটি নির্বাচনের মত এবারও ভোটের ফলে দ্বিতীয় অবস্থানে আছে একাদশ সংসদের প্রধান বিরোধী দল জাতীয় পার্টি। কিন্তু তাদের চেয়ে প্রায় ছয় গুণ আসনে দলনিরপেক্ষ প্রার্থীরা জিতে আসায় আলোচনা ঘুরে গেছে।

জানা-বোঝার চেষ্টা হচ্ছে তাদের কেউ বিরোধীদলীয় নেতার আসনে বসতে পারবেন কি না। তারা জোটবদ্ধ হয়ে বিরোধী দল হতে পারবেন কি না।

আইন ও সংবিধান বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আইনত এটা ‘সম্ভব’। আর স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে জয় পাওয়া একাধিক আওয়ামী লীগ নেতা বলেছেন, তারা শপথ নেওয়ার পর এ বিষয়টি নিয়ে আলোচনার জন্য বসবেন।

দশম সংসদেই স্বতন্ত্র প্রার্থীরা জোটবদ্ধ হয়েছিলেন। সাড়ে তিন বছর পর আবার এরা দল বেঁধে আওয়ামী লীগে ফিরেও গিয়েছিলেন।

এবারও যদি স্বতন্ত্র প্রার্থীরা জোটবদ্ধ হয়ে কাউকে নেতা নির্বাচন করেন, তাহলে জাতীয় পার্টির প্রধান বিরোধী দল আর বিরোধীদলীয় নেতা পাওয়ার সুযোগ আর থাকবে না বলেন মনে করেন একাধিক বিশেষজ্ঞ।

জাতীয় পার্টি মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু এবার বিএনপি সমর্থকদের ভোট পাওয়ার আশা করেছিলেন। কিন্তু দলটির ভোটের বাক্স ছিল ফাঁকা। ঢাকায় ফিরে নেতাদের সঙ্গে বসে করণীয় ঠিক করবেন তিনি।

দলটির মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু বলেছেন, তারা ঢাকায় ফিরে বিষয়টি নিয়ে বসবেন। এরপর তাদের অবস্থান জানাবেন।

কে কত বড়

বিএনপির বর্জনে এই ভোটে জাতীয় পার্টি শেষ পর্যন্ত থাকবে কি না, তা নিয়ে আলোচনা-গুঞ্জনের শেষ ছিল না।

দেশের রাজনীতিতে জাতীয় পার্টি দ্বিতীয় বৃহৎ দল না হলেও ২০১৪ সালে বিএনপির বর্জনের সুযোগে সংসদে সেই মর্যাদা তারা পেয়ে যায়।

সাবেক সামরিক শাসক এইচএম এরশাদের দল জাতীয় পার্টি সেবার ৩৪টি আসন পায়। নির্বাচনে যাওয়ার প্রশ্নে জোরালো অবস্থান নেওয়া রওশন এরশাদকে বিরোধীদলীয় নেতা নির্বাচন করা হয়।

এরপর ২০১৮ সালে একাদশ সংসদ নির্বাচনে যোগ দেয় বিএনপি ও তাদের শরিকরা। জাতীয় পার্টি তখন আওয়ামী লীগের সঙ্গে জোট করেই ভোটে যায়, আসন পায় ২২টি। বিএনপি ও তার জোটের আসন ছিল ৮টি।

সেই নির্বাচনের পর জাতীয় পার্টি মহাজোট থেকে বের হয়ে এসে আবার বিরোধী দলে বসে। বিরোধীদলীয় নেতা হন পার্টি চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ। তার মৃত্যুর পর আবার বিরোধীদলীয় নেতা হন রওশন।

এবার বিএনপির বর্জনের ভোটে জাতীয় পার্টি আসবে কি না, তা নিয়ে আওয়ামী লীগের সঙ্গে বারবার তাদের আলোচনা হয়েছে। গণমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ভোটে আসার প্রশ্নে আওয়ামী লীগের কাছে ৬০টি আসনে ছাড় দাবি করেছিল দলটি। শেষ পর্যন্ত তাদেরকে ২৬টি আসনে ছাড় দেওয়া হয়।

কিন্তু এসব আসনের মধ্যে ২১টিতে আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র প্রার্থীরা ভোটে দাঁড়িয়ে যান। তাদের মধ্যে জিতে আসেন ১৪ জন। একটি আসনে জাতীয় পার্টিকে হারিয়েছেন দলের মনোনয়ন না পাওয়া এক নেতা।

জাতীয় পার্টিকে আওয়ামী লীগের ছেড়ে দেওয়া ১৪টি আসনে জয় ছিনিয়ে নিয়েছেন দলের নেতা স্বতন্ত্র প্রার্থীরা

রোববারের ভোটে ২২২ আসন পেয়ে আওয়ামী লীগের সরকারে থাকা নিশ্চিত হয়েছে। তবে বিরোধী দলে কারা বসবে– সেই প্রশ্নকে বড় করে তুলেছে জাতীয় পার্টির ১১, আর স্বতন্ত্র প্রার্থীদের ৬২ আসন প্রাপ্তি।

এই ৬২ জনের মধ্যে ৫৯ জনই আওয়ামী লীগ নেতা। বাকিদের একজন জাতীয় পার্টির মনোনয়ন না পেয়ে, একজন বিএনপি ছেড়ে এসে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে জিতেছেন।

প্রশ্ন ভোটের আগেই ছিল

দেড় শতাধিক আসনে আওয়ামী লীগ নেতা স্বতন্ত্র প্রার্থী, জাতীয় পার্টিকে ছেড়ে দেওয়া আসনে লাঙ্গলের প্রার্থীরা বেকায়দায় থাকা, নতুন দল তৃণমূল বিএনপি, বিএনএম বা বাংলাদেশ সুপ্রীম পার্টির ভোটের মাঠে আলোড়ন তুলতে না পারার পর যে প্রশ্নটি বারবার উঠতে থাকে, যেটি হল বিরোধী দল কোনটি হবে।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের ভোটের আগে বলেছেন, “দাঁড়িয়ে যাবে।”

ভোটের পরদিন একই প্রশ্নে তিনি বলেছেন, “লিডার অব দ্য হাউস অর্থাৎ যিনি নতুন প্রধানমন্ত্রী হবেন, তিনিই এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবেন।”

তবে শেখ হাসিনা বলেছেন, এটা তিনি করতে পারেন না। ভোটের পরদিন বিদেশি সাংবাদিকদের সঙ্গে মত বিনিময়ে এক প্রশ্নে তিনি বলেন, “আমাকে বলুন আপনি কী চান? আমি বিরোধী দল গঠন করব? আমি কি সেটা করতে পারি?”

সংবিধান কী বলে

আইনজ্ঞরা জানান, সংসদে বিরোধী দল কিংবা বিরোধীদলীয় নেতা নির্বাচনের বিষয়ে সংবিধানে স্পষ্ট কিছু বলা নেই। এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার এখতিয়ার স্পিকারের।

সংসদের কার্যপ্রণালী বিধির ২(১) (ট) ধারায় বলা হয়েছে, বিরোধীদলীয় নেতা অর্থ হল, “স্পিকারের বিবেচনামতে যে সংসদ সদস্য সংসদে সরকারি দলের বিরোধিতাকারী সর্বোচ্চ সংখ্যক সদস্য লইয়া গঠিত ক্ষেত্রমতে দল বা অধিসঙ্গের নেতা।”

সাবেক আইনমন্ত্রী শফিক আহমেদ বলেন, “স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য ৬২ জন হলেও একা একা তাদের বিরোধী দল হওয়ার সুযোগ নেই। তবে তারা সংসদে থাকা অন্য কোনো দলকে সমর্থন দিতে পারে। যে দলের সমর্থন বেশি হবে তারাই হবে বিরোধী দল।

“আর স্বতন্ত্র প্রার্থীরা আলাদাভাবে জোট করতে পারে, তখন ওই জোটে কতজন হবে, সেই হিসেবে তারাও বিরোধী দল হতে পারে।”

বিরোধী দল ও বিরোধীদলীয় নেতা কারা বা কে হবেন, সেই সিদ্ধান্ত সংসদের কার্যপ্রণালী বিধি অনুযায়ী নেওয়া হয়

সুপ্রিম কোর্টের আরেক আইনজীবী তানজীব উল আলমও একই ধরনের মত দিয়েছেন।

তিনি বলেন, “স্বতন্ত্র প্রার্থীরা সংসদে মোর্চা গঠন করলে তারাও বিরোধী দল হতে পারে, এটাকে ককাস বলে। স্বতন্ত্র ৬২ জন তিনভাগেও ভাগ হয়েও মোর্চা গঠন করতে পারে।

“আবার এখানে স্বতন্ত্র প্রার্থীরা অন্য দলকেও সমর্থন দিতে পারে। সে ক্ষেত্রে যারা সংখ্যাগরিষ্ঠতা লাভ করবে তারাই বিরোধী দল হবে।”

আওয়ামী লীগ কী ভাবছে, সে প্রশ্নে দলটির আইনবিষয়ক সম্পাদক কাজী নজিবুল্লা হীরু বলেন, “এরা (স্বতন্ত্র প্রার্থী) সবাই মিলে যদি ঐক্য করতে পারে তখন তারা ব্যক্তিগত থেকে সম্মিলিত শক্তি হয়ে যাবে। তখন তারা দ্বিতীয় বৃহৎ শক্তি হিসেবে বিরোধী দল বলে দাবি করতে পারবে।”

স্বতন্ত্রদের জোট আগেও হয়েছে

বিএনপির বর্জনে ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির দশম সংসদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে জেতেন ১৬ জন।

সেই সংসদে সংরক্ষিত নারী আসন দলগুলোর মধ্যে আনুপাতিক হারে বণ্টনের সময় স্বতন্ত্র সংসদ সদস্যদেরকে চিঠি দেওয়া হয় তারা জোটবদ্ধ হবেন কি না।

এরপর ১৬ জন জোটবদ্ধ হলে সংরক্ষিত নারী আসনের মধ্যে তিনটি বরাদ্দ দেওয়া হয় স্বতন্ত্র সংসদ সদস্যদের। ২০১৭ সালের মে মাসে এদের মধ্যে ১৪ জন একসঙ্গে এবং এরপর আরও দুই জন আওয়ামী লীগে ফিরে যান।

এবারও স্বতন্ত্র সংসদ সদস্যরা জোটবদ্ধ হলে ৫০টি নারী আসনের মধ্যে ১০টি আসন পাবে, সে হিসাবে একটি জোট হওয়ার বিষয়টি অস্বাভাবিক নয়।

১০ বছর আগে হওয়া সেই জোটের একজন ছিলেন ফরিদপুর-৪ আসন থেকে নির্বাচিত মজিবুর রহমান চৌধুরী নিক্সন। যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির এই নেতা এবারও একই আসন থেকে স্বতন্ত্র হিসেবেই সংসদ সদস্য হয়েছেন।

এবারও সংসদে জোট হবে কি না, এই প্রশ্নে নিক্সন বলেন, “কেবল তো নির্বাচন শেষ হল। আমরা এখন ঢাকায় যাব, তারপরে শপথ গ্রহণ করব। এরপর আমরা স্বতন্ত্র এমপিরা জোট করব কি না, সেটা চিন্তা করব। এর আগে কিছু বলা যায় না।”

ফরিদপুর-৪ আসনে মজিবুর রহমান চৌধুরী নিক্সন টানা তিনটি নির্বাচন জিতেছেন স্বতন্ত্র হিসেবে। দশম সংসদের মতো এবারো জোট স্বতন্ত্রের জোট প্রশ্নে শপথের পর সিদ্ধান্তের কথা বলেছেন তিনি।

একই প্রশ্নে ঢাকা-৪ আসনে থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে জিতে আসা আওয়ামী লীগ নেতা আওলাদ হোসেন বলেন, “আগে শপথ নিই, তারপরে এক সঙ্গে বসি। আলোচনার পর বলতে পারব আলাদা ঐক্য করা যায় কি না।”

বরিশাল-৪ আসনে দুইবার নৌকা নিয়ে এবং এবার স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে জয় পাওয়া পঙ্কজ নাথ বলেন, “আমার অভিভাবক শেখ হাসিনা। তিনি যেভাবে সংসদে থাকতে বলবেন, আমি সেভাবেই থাকব। উনি যদি স্বতন্ত্রদের মধ্যে জোট করতে বলেন আমি যাব, তা না হলে আলাদাই থাকছি।”

বিরোধী দল কারা হবে- এই প্রশ্নে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক অপেক্ষায় থাকতে বলেছেন।

ভোটের পরদিন তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নিজ নির্বাচনি এলাকায় সাংবাদিকদের প্রশ্নে তিনি বলেন, “স্বতন্ত্র যারা জয়লাভ করেছেন, তাদের অবস্থান কী- সেটা যতক্ষণ না পর্যন্ত পরিস্কার হবে, ততক্ষণ অপেক্ষা করতে হবে।”

এই আলোচনার মধ্যে জাতীয় পার্টি নিজেদের অবস্থান নিয়ে কোনো হুমকি বোধ করছে কি না, সেই প্রশ্নে দলের মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু বলেন, “এটা কী হবে, তা বলতে পারছি না। আগামীকাল ঢাকায় আসব। তারপর আমাদের দলীয় নেতাদের সঙ্গে বসব। তারপরে এ বিষয়ে আমরা কথা বলব।”

বিরোধী দল ছাড়াও সংসদ ছিল

১৯৭৩ সালের প্রথম জাতীয় নির্বাচনের পর যে সংসদ গঠন হয়, তাতে বিরোধীদলীয় নেতার আসনে কেউ বসেননি।

সেবার ৩০০ আসনের মধ্যে আওয়ামী লীগ একাই পায় ২৯৩টি। একটি করে আসন পায় জাসদ ও জাতীয় লীগ। বাকি পাঁচটি আসন পান স্বতন্ত্র সংসদ সদস্যরা।

তারা জাতীয় লীগ নেতা আতাউর রহমান খানকে তাদের নেতা নির্ধারণ করে বিরোধী দলের নেতার মর্যাদা দিতে স্পিকারের কাছে আবেদন জানান। তবে সংসদ নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আপত্তি জানিয়ে বলেন, বিরোধী দল হিসেবে স্বীকৃতি পেতে হলে একটি রাজনৈতিক দলের অবশ্যই কমপক্ষে ২৫টি আসন থাকতে হবে। না হলে তাদেরকে পার্লামেন্টারি গ্রুপ হিসেবে বলা যেতে পারে, কিন্তু বিরোধী দল নয়।

১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টি, জামায়াতে ইসলামী ও বামপন্থি দলগুলোর বর্জনের মধ্য ভোটের পর গঠিত সংসদেও একই ঘটনা ঘটে।

বিএনপিকে সেই নির্বাচনে ২৭৮টিতে জয়ী দেখানো হয়। ১০টি আসনে স্বতন্ত্র এবং একটিতে ফ্রিডম পার্টির নেতা বঙ্গবন্ধুর খুনি খন্দকার আব্দুর রশীদকে বিজয়ী দেখানো হয়। বাকি ১১টি আসনের মধ্যে ১০টিতে কাউকে বিজয়ী দেখানো হয়নি। একটিতে ভোট স্থগিত ছিল।

সেই সংসদের মেয়াদ ছিল ১১ দিন, আওয়ামী লীগের দাবি মেনে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বিল পাস করে ভেঙে দেওয়া হয় সংসদ।

সংসদে বিরোধীদলীয় নেতা যে আসনটিতে বসেন, সেই আসনে এই কয় দিন বসেন রশীদ। তবে তাকে বিরোধীদলীয় নেতা করা হয়েছিল কি না, সেই বিষয়টি নিশ্চিত নয়।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা ও ঢাকা-১ আসন থেকে নির্বাচিত সংসদ সদস্য সালমান এফ রহমান মনে করেন, সংসদীয় রাজনীতিতে বিরোধী দল থাকতে হবে, এমন কোনো কথা নেই।

ভোটের রাতে এক অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, “গত ১০ বছরে ভারতে বিরোধী দল কে? গত ১০ বছরে ভারতে লিডার অব অপজিশন নাই। যেহেতু ওদের নিয়ম আছে, লিডার অব দ্য অপজিশন হতে হলে মিনিমান ১০ শতাংশ সিট থাকতে হবে। কংগ্রেসের কিন্তু ১০ শতাংশের কম সিট আছে।

“জাতীয় পার্টি যদি ১১ আসন পেয়ে থাকে, তাহলে তারা বিরোধী দলের রোল প্লে করবে। স্বতন্ত্ররা কী করবে সেটা তো আমি এখন বলতে পারি না।

আরও খবর: জাতীয়