জাতীয়

নির্বাচনের দিনে নতুন কৌশলে যাচ্ছে বিএনপি, ভোট প্রতিহত নয়, তবে…..

  প্রতিনিধি ৪ জানুয়ারি ২০২৪ , ৪:২৩:৫৫ প্রিন্ট সংস্করণ

নীলাকাশ টুডে

ভোটের দিন ৭ জানুয়ারি কী করবে আন্দোলনে থাকা বিএনপি? এ নিয়ে দেশজুড়ে চলছে জল্পনা-কল্পনা। নির্বাচন প্রতিহত করার মতো কোনো শক্তি দেখাবে, নাকি শান্তিপূর্ণ ভোট বর্জনের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকবে তারা? অবশ্য দলের নীতিনির্ধারক মহল জানিয়েছে, নির্বাচন ‘ঠেকাও’ আন্দোলনের বদলে ভোট বর্জনকে গুরুত্ব দিচ্ছে বিএনপি। ভোটের আগের দিন শনিবার থেকে টানা ৪৮ ঘণ্টা দেশজুড়ে হরতাল-অবরোধ কর্মসূচি দিয়ে ‘একতরফা’ নির্বাচনের প্রতি ‘অনাস্থা’ জানানোর সিদ্ধান্ত রয়েছে দলটির। নাশকতা আর সহিংসতা এড়িয়ে এ কর্মসূচিও যাতে শান্তিপূর্ণভাবে হয়, সেদিকে সতর্ক থাকবে বিরোধী দলটি।

সূত্র জানায়, দেশি-বিদেশিদের কাছে নির্বাচনকে ‘ভোটারহীন’ ও ‘প্রশ্নবিদ্ধ’ করাকেই এ মুহূর্তে বেশি প্রাধান্য দিচ্ছে ১৭ বছর ক্ষমতার বাইরে থাকা বিএনপি। এমনকি ৭ জানুয়ারি নির্বাচনের পর ভোটকে নিজ দলের ডামি প্রার্থী ও শরিকদের সঙ্গে আসন ভাগাভাগির ‘হাস্যকর’ নির্বাচন আখ্যায়িত করে বাতিলের দাবিতে আন্দোলন কর্মসূচি অব্যাহত রাখবে তারা। দ্রুত সময়ের মধ্যে নির্দলীয় সরকারের অধীনে সব দলের অংশগ্রহণে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের দাবিতে সভা-সমাবেশের মতো শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি চালিয়ে যাবে বিএনপিসহ সমমনা দলগুলো। একই সঙ্গে নির্বাচন নিয়ে পশ্চিমা বিশ্বসহ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতিক্রিয়ার ওপর নির্ভর করে আন্দোলনের ধরন চূড়ান্ত করবে তারা।

বিএনপি সূত্র জানায়, এ মুহূর্তে ভোটের দিনটি চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখছে বিএনপি। এদিন সরকারবিরোধী নেতাকর্মী ও সমর্থকদের পাশাপাশি সাধারণ ভোটাররাও যাতে কেন্দ্রে না যায়, সে বিষয়ে জনমত তৈরিকে প্রাধান্য দেওয়া হচ্ছে বেশি। চলমান গণসংযোগে জনসম্পৃক্ততা বাড়াতে দলের সাবেক মন্ত্রী, এমপি ও জ্যেষ্ঠ নেতাদের এলাকায় গিয়ে গণসংযোগ করতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। বিএনপির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা বলেন, এবার ভোটারদের ওপর কেন্দ্রে যাওয়ার জন্য বেশ চাপ রয়েছে। এ ক্ষেত্রে অনেকে বিভিন্ন কৌশলী ভূমিকা নিয়েছেন। নিজ এলাকা ছেড়ে অন্যত্র আশ্রয় নিয়েছেন। ভোটের পর এলাকায় ফিরবেন তারা।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান বলেন, একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে এ দেশে পরিবর্তন আনতে হবে। বিএনপি লগি-বৈঠার রাজনীতিতে বিশ্বাস করে না; কোনোদিন সংঘাতের রাজনীতিতে বিশ্বাস করে না। অস্ত্রের রাজনীতিতেও বিশ্বাস করে না। তারা দেশের মানুষকে সঙ্গে নিয়ে শান্তিপূর্ণ, নিয়মতান্ত্রিক গণতান্ত্রিক আন্দোলনের মাধ্যমে এ দেশে পরিবর্তন

আনতে চান; গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা করতে চান। সেভাবেই তারা তাদের আন্দোলনকে এগিয়ে নিতে চাইছেন।

গত ২৮ অক্টোবর ঢাকার মহাসমাবেশ পণ্ড হয়ে যাওয়ার পর চার দফায় পাঁচ দিন হরতাল ও ১২ দফায় ২৪ দিন অবরোধ কর্মসূচি করে বিএনপি। এরপর ভোট ঠেকাতে জনগণকে ভোট বর্জনের পাশাপাশি অসহযোগ আন্দোলনের ডাক দেওয়া হয়। জনগণকে ভোট প্রদানে নিরুৎসাহ করতে গতকাল পর্যন্ত সারাদেশে ১২ দিন গণসংযোগ ও লিফলেট বিতরণ করে বিএনপি।

 

আরও খবর: জাতীয়