জাতীয়

তফশিল ঘিরে চার স্তরের নিরাপত্তা বিভিন্ন স্থানে নাশকতার শঙ্কা

  প্রতিনিধি ১৬ নভেম্বর ২০২৩ , ১:৫৪:১৬ প্রিন্ট সংস্করণ

নীলাকাশ টুডে

আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফশিল পরবর্তী সময়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে নাশকতা হতে পারে। এর মধ্যে ২৩টি স্থান নিয়ে বেশ উদ্বিগ্ন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। এসব স্থানে পিকেটিংসহ পুলিশের ওপর হামলা, পুলিশের অস্ত্র ছিনতাই, নির্বাচনি ও রাজনৈতিক কার্যালয় ভাঙচুর, রাস্তা অবরোধ, যানবাহনে ভাঙচুর-অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটতে পারে। অন্দোলনকারীরা বেইলি ব্রিজ ও কালভার্ট ধ্বংসের পাশাপাশি লঞ্চ-স্টিমার-ফেরিতে হামলা ও অগ্নিসংযোগ করতে পারে। কমলাপুর ও বিমানবন্দর রেল স্টেশন, গাবতলী-সায়েদাবাদ-মহাখালী বাস টার্মিনাল এবং সদরঘাট লঞ্চঘাটসহ বিভাগ, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের বাসস্ট্যান্ড, লঞ্চঘাট ও রেলস্টেশনে নাশকতার শঙ্কা আছে। এসব বিষয় সামনে রেখে সারা দেশে চার স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। স্থান ২৩টি হচ্ছে-ঢাকা মহানগর, ঢাকা জেলা, নারায়ণগঞ্জ, কিশোরগঞ্জ, চট্টগ্রাম মহানগর ও জেলা, সিলেট মহানগর, গাজীপুর, ময়মনসিংহ, পাবনা, নেত্রকোনা, বগুড়া, হবিগঞ্জ, মৌলভীবাজার, সুনামগঞ্জ, নোয়াখালী, সিরাজগঞ্জ, ভোলা, মাগুরা, রাজশাহী, বরগুনা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া এবং বরিশাল। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সংশ্লিষ্ট সূত্র গণম্যামকে এই তথ্য জানিয়েছে।

তফশিলপরবর্তী নিরাপত্তা ছকের বিষয়ে জানতে চাইলে পুলিশ সদর দফতরে ডিআইজি (অপারেশন্স) আনোয়ার হোসেন বলেন, নিরাপত্তা বাহিনীর সব ইউনিটকে সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থায় থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ইতোমধ্যে সবাই মাঠে নেমে পড়েছে। জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে নির্বাচনি কার্যালয়ের নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। মহানগর, জেলা ও উপজেলা শহরের গুরুত্বপূর্ণ মোড়ে বিজিবিসহ র‌্যাব-পুলিশের টহল বাড়ানো হয়েছে। রেল স্টেশন, বাস টার্মিনাল এবং লঞ্চঘাটে গ্রহণ করা হয়েছে বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা। রাস্তার পাশে গাছ কেটে বা রাস্তায় গর্ত করে যেন কেউ নাশকতা করতে না পারে সে ব্যাপারে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে মাঠ পর্যায়ে দেওয়া হয়েছে নির্দেশ। ব্রিজ ও কালভার্টের ক্ষতি করে আন্দোলনকারীরা যেন যান চলাচলে বাধা দিতে না পারে সেজন্য পুলিশ তৎপর।

ডিআইজি আনোয়ার হোসেন বলেন, বঙ্গভবন, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, গণভবন, জাতীয় সংসদ ভবন, সচিবালয়, সুধাসদন, বিমানবন্দর, বিদ্যুৎ কেন্দ্র, মন্ত্রী-এমপিদের বাসভবন, বিদেশি দূতাবাস, সাবমেরিন কেবলস, রেল স্টেশন, নৌ-টার্মিনাল, পেট্রোল পাম্প, সিএনজি স্টেশন, সরকারি-বেসরকারি অফিস, ব্যাংক ও গুরুত্বপূর্ণ আর্থিক প্রতিষ্ঠান, মেট্রোরেল, এক্সপ্রেসওয়ে, টানেল, গুরুত্বপূর্ণ সড়ক-মহাসড়ক, রেল সেতু ও ফ্লাইওভারসহ কেপিআইভুক্ত প্রতিষ্ঠানগুলোতে নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। বিএনপি ও জামায়াত শিবির অধ্যুষিত এলাকায় বাড়ানো হয়েছে গোয়েন্দা নজরদারি। জামায়াত শিবির সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান ছাত্রাবাস, হল ও মেসে জোরদার করা হয়েছে তল্লাশি কার্যক্রম। সাম্প্রতিক সময়ে সারা দেশে যেসব নাশকতার মামলা হয়েছে সেসব মামলার আসামিদের আইনের আওতায় আনার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কূটনীতিক ও বিদেশি দূতাবাসগুলোর নিরাপত্তায় যথাযথ ব্যবস্থা নিতে পুলিশ সদর দপ্তরের পক্ষ থেকে ডিএমপিকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বভাবিক রাখতে সব ধরনের নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। তিনি বলেন, অন্তত চার স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

আরও খবর: জাতীয়