জাতীয়

ঢাবি ছাত্রদের মারধর, ফ্লাইওভারের ওঠানামার রাস্তা অবরোধ

  ঢাকা অফিসঃ ১৫ জুন ২০২৩ , ৫:৪৬:৩৫ প্রিন্ট সংস্করণ

 

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) অমর একুশে হলের শিক্ষার্থীদের ওপর সংঘবদ্ধ হামলার অভিযোগ উঠেছে। হামলায় হলের কর্মচারীসহ পাঁচজন আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা হলসংলগ্ন মেয়র হানিফ ফ্লাইওভারের চানখারপুল অংশ অবরোধ করে রাখেন। এতে রাস্তায় দীর্ঘ যানজট তৈরি হয়। পরে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে হামলাকারীদের গ্রেপ্তারের আশ্বাসে অবরোধ উঠিয়ে নেন শিক্ষার্থীরা।
শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের এক ওয়ার্ড কাউন্সিলরের অনুসারীরা বিনা কারণে অমর একুশে হলের চার ছাত্রকে মারধর করেছেন। তবে ওই কাউন্সিলর এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।

বৃহস্পতিবার বিকেলে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনা ঘটে। পরে বিকেলে সাড়ে ৫টা থেকে রাত সাড়ে ৮টা পর্যন্ত অমর একুশে হলে ছাত্ররা ফ্লাইওভারসংলগ্ন সড়ক অবরোধ করে রাখে। এরপর হল প্রশাসন, পুলিশ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি মাজহারুল কবির শয়নের মধ্যস্থতায় তারা অবরোধ উঠিয়ে নেন।

মাজহারুল কবির শয়ন জানান, বিকেলে ১০-১৫টা মোটরসাইকেলে করে ১৫-২০ জন যুবক উল্টোপথে এসে একুশে হলের সামনে হর্ন দিতে থাকে। এ সময় হলের দুইজন শিক্ষার্থী তাদের হর্ন দিতে এবং উল্টোপথে চলাচল করতে নিষেধ করে। পরে কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে তারা শিক্ষার্থীদের এলোপাতাড়ি মারধর শুরু করে।

শয়ন জানান, মারতে মারতে তারা চার শিক্ষার্থীকে হানিফ ফ্লাইওভারের নিচে নিয়ে আসে। পরে তাদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

তিনি বলেন, ২৪ ঘণ্টার মধ্যে হামলাকারীদের গ্রেপ্তারের আল্টিমেটাম দিয়ে শিক্ষার্থীরা অবরোধ তুলে নিয়েছে। হলের সিসিটিভি ক্যামেরা দেখে হামলাকারীদের শনাক্তের চেষ্টা চলছে।

শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, হামলাকারীরা ২৬ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর হাসিবুর রহমান মানিকের অনুসারী। হামলার সময় দুই শিক্ষার্থীকে হলের কর্মচারীরা বাঁচাতে এলে তাদেরও মারধর করা হয়।

এ সময় ফ্লাইওভারের সামনে কর্তব্যরত সার্জেন্টও কোনো ভূমিকা পালন করেনি বলে অভিযোগ করেন শিক্ষার্থীরা। হামলাকারীরা সার্জেন্টদের হাতে থাকা লাঠি নিয়েও শিক্ষার্থীদের পেটায় বলে দাবি তাদের।

অভিযোগ অস্বীকার করে কাউন্সিলর মানিক বলেন, আমি আজ সারাদিন সচিবালয়ে ছিলাম। নগর ভবনে যাইনি। আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে।

তিনি বলেন, আমি নিজেও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র। ছাত্রদের মারধরের প্রশ্নই ওঠে না। হামলাকারীরা আমার অনুসারী নয়। আমি এ ঘটনার বিচার চাই।

আরও খবর: জাতীয়