সারাদেশ

জামিন পেলেন কালিগঞ্জের সেই দুই সাংবাদিক

  প্রতিনিধি ৮ জুন ২০২২ , ৩:০৩:১৩ প্রিন্ট সংস্করণ

 

মোঃ নাজমুল হক মিলনঃ
হয়রানিমূলক চাঁদাবাজির মামলার আসামি সাতক্ষীরার কালিগঞ্জের সাংবাদিক সহকারী শিক্ষক আফজাল হোসেন ও আব্দুল মাজিদ বিজ্ঞ আদালত থেকে জামিন পেয়েছেন। মঙ্গলবার (৭ জুন) আদালতে হাজির হয়ে জামিন প্রার্থনা করলে বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ইয়াসমিন নাহার শুনানী শেষে তাদের দু’জনের জামিন মঞ্জুর করেন।

জানা গেছে, উপজেলার কৃষ্ণনগর ইউপি চেয়ারম্যান সাফিয়া পারভীনের বিরুদ্ধে বিভিন্ন প্রকল্পে অনিয়ম দুর্নীতির সংবাদ প্রকাশ করায় গত ৫ জুন রাতে চেয়ারম্যানের উপস্থিতিতে তার আত্মীয় ফার্নিচার ব্যবসায়ী শংকরপুর গ্রামের সিরাজুল ইসলাম ‘দৈনিক পত্রদূত’ পত্রিকার কৃষ্ণনগর প্রতিনিধি আফজাল হোসেন ও দৈনিক দৃষ্টিপাত পত্রিকার কৃষ্ণনগর প্রতিনিধি আব্দুল মাজিদের বিরুদ্ধে চাঁদা দাবি, চাঁদা আদায় ও হামলাসহ বিভিন্ন কাল্পনিক অভিযোগে মামলা দায়ের করেন (মামলা নং-৭)।

আর অভিযোগের পাওয়ার পরপরই মামলাটি রেকর্ড করেন থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) ও দায়িত্বপ্রাপ্ত ওসি মিজানুর রহমান। তদন্ত ছাড়াই দু’জন সাংবাদিকের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজিসহ বিভিন্ন ধারায় মামলা রেকর্ড করায় স্থানীয় সাংবাদিকদের মাঝে চরম ক্ষোভ ও হতাশা সৃষ্টি হয়।

সুষ্ঠু তদন্ত পূর্বক অবিলম্বে মামলা প্রত্যাহার, মিথ্যা মামলা দায়েরকারীর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ ও পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মিজানুর রহমানের প্রত্যাহারের দাবিতে মঙ্গলবার (৭ জুন) বেলা সাড়ে ১১ টায় কালিগঞ্জ রিপোর্টার্স ক্লাবের সম্মুখে কালিগঞ্জ, দেবহাটা ও শ্যামনগর উপজেলার বিভিন্ন সংগঠনের সাংবাদিকবৃন্দ ঘণ্টাব্যাপী মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করে।

এদিকে কালিগঞ্জ রিপোর্টার্স ক্লাবের সদস্য আফজাল হোসেন ও আব্দুল মাজিদের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মামলায় বর্ণিত অভিযোগের সত্যতা যাচাইয়ের জন্য রিপোর্টার্স ক্লাবের সভাপতি সহকারী অধ্যাপক নিয়াজ কওছার তুহিন এর নেতৃত্বে ৪ জন সাংবাদিক মঙ্গলবার বিকেলে ঘটনাস্থলে (কৃষ্ণনগর বাজার) যান। এসময় সাংবাদিকদের উপস্থিতি টের পেয়ে মামলার বাদী সিরাজুল ইসলাম ও স্বাক্ষীরা ঘটনাস্থল থেকে চলে যান। তবে মামলার বাদী কৃষ্ণনগর বাজারে অবস্থিতি যে ফার্নিচারের দোকানে গত ২৮/০৫/২০২২ তারিখ সন্ধ্যা সাড়ে ৭ টার দিকে তাকে মারপিট করে ৭০ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয়া হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে।

মামলায় যে ৩ জনকে স্বাক্ষী করা হয়েছে তার একজন বাদীর শ্বশুরের স’মিলের কর্মচারি, একজন ইউনিয়ন পরিষদের গ্রামপুলিশ (বরখাস্তকৃত) এবং একজন চেয়ারম্যান সাফিয়া পারভীনের সক্রিয় কর্মী বলে জানা গেছে।

আরও খবর: সারাদেশ