সারাদেশ

ছদ্মবেশে ১৪ বছর ভিক্ষাবৃত্তি করেও শেষ রক্ষা হলনা ৩ ফাঁসির আসামির

  প্রতিনিধি ২০ জুন ২০২২ , ৩:২৯:৫৪ প্রিন্ট সংস্করণ

 

নীলাকাশ টুডেঃ গ্রেফতারককৃত আলেক মিয়া (৬৫), তার স্ত্রী মো.ছা. রূপবান (৫৭) ও ছেলে শরীফ মিয়া (৩৮)।

স্টাফ করেসপনডেন্ট, নরসিংদী:

১৪ বছর ধরে দেশের বিভিন্ন স্থানে ছদ্মবেশে ভিক্ষাবৃত্তির পর পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয়েছেন হত্যা মামলায় ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত ৩ আসামি।

সোমবার (২০ জুন) সকালে গাজীপুর সদর উপজেলার আমবাগ এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করে নরসিংদীর পলাশ থানা পুলিশ। গ্রেফতারকৃতরা হলো- পলাশ উপজেলার ডাঙ্গা ইউনিয়নের গালিমপুর গ্রামের আলেক মিয়া (৬৫), তার স্ত্রী মো.ছা. রূপবান (৫৭) ও ছেলে শরীফ মিয়া (৩৮)।

সোমবার বিকেলে নরসিংদীর পুলিশ সুপার কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সাহেব আলী পাঠান।

তিনি জানান, ২০০৯ সালে জমিসংক্রান্ত বিরোধের জেরে পলাশ উপজেলার ডাঙ্গা ইউনিয়নের গালিমপুর গ্রামের শামসুল হককে (৪৮) প্রকাশ্যে কুপিয়ে ও গলা কেটে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় আলেক মিয়া, শরীফ মিয়া ও রূপবানসহ মোট ১২ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা হয়। পরে ২০১৬ সালে আলোচিত এ হত্যা মামলার বাদী ও ভূক্তভোগীর ছেলে জহিরুল হককেও (২৮) প্রকাশ্যে কুপিয়ে হত্যা করে আসামিরা। এই হত্যার ঘটনায়ও তাদের বিরুদ্ধে আরও একটি হত্যা মামলা দায়ের হয়।

আদালত ২০১৭ সালে শামসুল হক হত্যা মামলার ১২ আসামির মধ্যে ছয় জনকে খালাস প্রদান ও ছয় জনকে ফাঁসির আদেশ দেন। মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ছয় জনের মধ্যে একজন জেলহাজতে থাকলেও বাকি ৫ আসামি দীর্ঘ ১৪ বছর ধরে পলাতক ছিল। তারা দেশের বিভিন্ন স্থানে ছদ্মবেশে ঘুরে ভিক্ষাবৃত্তির আড়ালে পুলিশকে ফাঁকি দেয়ার চেষ্টা করেছে। অবশেষে গোপন তথ্যের ভিত্তিতে গাজীপুর সদর উপজেলা এলাকা থেকে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত তিন আসামিকে গ্রেফতার করা হয়। পলাতক বাকি দুই আসামি শরাফত মিয়া ও আব্দুল গাফফার মিয়াকে গ্রেফতারের চেষ্টা চালাচ্ছে পুলিশ। জহিরুল হক হত্যা মামলাটি আদালতে বিচারাধীন রয়েছে।

আরও খবর: সারাদেশ