ওপার বাংলা

ঘূর্ণিঝড়ের আঘাতে ৮ জনের মৃত্যু

  প্রতিনিধি ৫ ডিসেম্বর ২০২৩ , ৯:২০:০৮ প্রিন্ট সংস্করণ

 

নীলাকাশ টুডে

বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট প্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘মিগজাউম’ আজ মঙ্গলবার ভারতের অন্ধ্র প্রদেশ উপকূল অতিক্রম করতে যাচ্ছে। ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে বাংলাদেশের কোথাও কোথাও গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হতে পারে। এর প্রভাবে অন্ধ্র প্রদেশ, তামিলনাড়ু ও পুদুচেরিতে বৃষ্টি হচ্ছে। গত ২৪ ঘণ্টায় বৃষ্টিতে চেন্নাইয়ে আটজনের মৃত্যু হয়েছে।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ হাফিজুর রহমান গণমাধ্যমকে বলেন, ‘ঘূর্ণিঝড়টির প্রভাবে আজ সারা দেশেই আকাশ কমবেশি মেঘলা থাকতে পারে। দেশের কোথাও কোথাও গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হতে পারে। কাল বুধবার বৃষ্টি বাড়তে পারে।’

এদিকে আজ সকাল থেকে রাজধানী ঢাকার আকাশ মেঘলা রয়েছে। সকালে ঢাকার কোথাও কোথাও গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হয়েছে।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের ১৯ নম্বর বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত ঘূর্ণিঝড়টি আরও উত্তর-উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হচ্ছে।

ঘূর্ণিঝড়টি আজ সকাল ৬টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ১ হাজার ৫৩০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থান করছিল।

কক্সবাজার উপকূল থেকে ঘূর্ণিঝড়টির অবস্থান ছিল ১ হাজার ৫০০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে। মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ঘূর্ণিঝড়টি ১ হাজার ৩৪৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থান করছিল। পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ১ হাজার ৩৭৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে ঘূর্ণিঝড়টি অবস্থান করছিল।

ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৬৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৯০ কিলোমিটার, যা দমকা বা ঝোড়ো হাওয়ার আকারে ১১০ কিলোমিটার পর্যন্ত বাড়ছে। ঘূর্ণিঝড়কেন্দ্রের কাছের এলাকায় সাগর বিক্ষুব্ধ রয়েছে।

চট্টগ্রাম, মোংলা, পায়রা সমুদ্রবন্দর ও কক্সবাজারকে ২ নম্বর দূরবর্তী হুঁশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার সব নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে।

এদিকে ঘূর্ণিঝড় মিগজাউমের প্রভাবে এরই মধ্যে প্রবল বৃষ্টি শুরু হয়েছে চেন্নাইয়ে। ভারী বৃষ্টির কারণে চেন্নাইয়ের বহু এলাকা প্লাবিত হয়েছে। বৃষ্টিতে তলিয়ে গেছে অনেক আবাসিক এলাকা।

চেন্নাই পুলিশ জানিয়েছে, ভারী বৃষ্টিতে শহরে পাঁচ জনের মৃত্যু হয়েছে। শহরের বেসান্ত নগর এলাকায় গাছ পড়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে একজন মারা গেছেন। নগরীর বিভিন্ন এলাকা থেকে এক নারী ও পুরুষের অজ্ঞাত মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এছাড়া চেন্নাই শহরে আরও দুজনের মরদেহ পাওয়া গেছে।

চেন্নাইয়ে প্রবল বর্ষণে বড় ধরনের বিদ্যুৎ বিপর্যয় দেখা দিয়েছে। আশা করা হচ্ছে, দুপুর ১২টার পর পরিস্থিতির উন্নতি হবে। রাজ্য সরকার চেন্নাই, চেঙ্গলপাট্টু, কাঞ্চিপুরম ও তিরুভাল্লুর জেলায় সরকারি ছুটি ঘোষণা করেছে। বেসরকারি সংস্থার কর্মীদের যতটা সম্ভব বাড়ি থেকে কাজ করার জন্য বলা হয়েছে।

 

আরও খবর: ওপার বাংলা