রাজনীতি

উন্নয়নের ট্যাবলেট দিয়ে জনগণকে আর ভোলানো ‍যাবে না : বিএনপি

  প্রতিনিধি ১৮ জুলাই ২০২২ , ১২:০৩:১৭ প্রিন্ট সংস্করণ

 

নীলাকাশ টুডেঃ বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেছেন, ‘উন্নয়ন ট্যাবলেট দিয়ে দেশের জনগণকে আর ভোলানো ‍যাবে না। বিদ্যুতে লোডশেডিং করবেন আর উন্নয়নের কথা বলবেন। উন্নয়নের ট্যাবলেট খেতে খেতে শ্রীলঙ্কা এখন বমি করে দিয়েছে, তারা কিন্তু এখন উন্নয়নের ট্যাবলেট খায় না।’

সোমবার (১৮ জুলাই) দুপুরে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউটে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির রমনা থানার ১৯ নম্বর ওয়ার্ড এবং শাহবাগ থানার ২১ নম্বর ওয়ার্ডের সম্মেলন তিনি এসব কথা বলেন।

 

মির্জা আব্বাস বলেন, ‘সিইসি বলেছেন তলোয়ার নিয়ে আসলে রাইফেল দিয়ে প্রতিরোধ করতে হবে। এই তো নির্বোধ ব্যক্তি, তার (কাজী হাবিবুল আউয়াল) কোনো বুদ্ধিসুদ্ধি নাই। তলোয়ার-রাইফেল। আরে ভাই, তলোয়ার তো অনেক আগে চলে, সেই অটোম্যান সামাজ্যের পরে তো আর তলোয়ার আসে নাই। আপনি তলোয়ার কোথায় থেকে আবিষ্কার করলেন? রাইফেল হাতে নেবে? উনি কি রেফারির ভূমিকা পালন করতে পারবেন? সেটাও তো পারবেন না। আমাদের বক্তব্য স্পষ্ট, এ রকম ফালতু নির্বাচন কমিশনের অধীনে কোনো নির্বাচনে বিএনপি যাবে না।’

তিনি বলেন, ‘সংসদ ভাঙতে হবে, প্রধানমন্ত্রীকে পদত্যাগ করতে হবে, নির্বাচন কমিশনকে স্বাধীনভাবে গঠন করতে হবে। তারপরে নির্বাচন হবে। সেই নির্বাচনে বিএনপি যাবে।’

‘সরকার ঘোষণা দিয়েছে, আগামীকাল থেকে লোডশেডিং শুরু হচ্ছে’ উল্লেখ করে মির্জা আব্বাস বলেন, প্রধানমন্ত্রী বললেন যে জনগণের ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে দিয়েছেন। কুইক রেন্টাল দিয়ে আপনারা বিদ্যুৎ দিয়েছেন, আর অভাব নাই। এখন আবার বলছেন উল্টো কথা- লোডশেডিং করতে হবে। তাহলে এতো টাকা দিয়ে কুইক রেন্টাল করলেন কেন?

 

তিনি আরও বলেন, ’কুইক রেন্টাল বিদ্যুৎ কেন্দ্রের মালিকরা কিন্তু বসে বসে টাকাটা পাবেন, বিদ্যুৎ থাকুক বা না থাকুক। এখন আমাদের প্রশ্ন, তাহলে এতো টাকা নিয়ে কুইক রেন্টাল পাওয়ার প্ল্যান্ট কেন করা হলো? এতো টাকা নিয়ে পরিবেশ নষ্ট করে কেন সুন্দরবনের রামপালে বিদ্যুৎ কেন্দ্র করা হচ্ছে?’

লোডশেডিংই সরকারের ক্ষমতা হারানোর কারণ হতে পারে উল্লেখ করে বিএনপির এই নেতা বলেন, এভাবে মানুষ কিন্তু অসহিষ্ণু হচ্ছে।

বাংলাদেশে ডলারের সংকট চলছে জানিয়ে মির্জা আব্বাস বলেন, ‘এখন যদি বিদেশ থেকে কোনো কিছু আমদানি করতে হয় তাহলে বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমতি নিতে হবে। আমি ব্যবসা করবো এটা আমার লিবার্টি। আমি এলসি খুলবো, আমার ডলার যাবে, মালামাল আসবে। কিন্তু আমার দেশে ডলার নাই। কেন নাই? কারণে ট্রাংকে ভর্তি করে এয়ারপোর্ট দিয়ে দেশের বহু ডলার বিদেশে পাঁচার হয়ে গেছে। সুইস ব্যাংকে ৩-৪ হাজার কোটি ডলার রেগুলার জমা হচ্ছে। আমার দেশের ডলার যদি সুই ব্যাংকে চলে যায় এদেশের মানুষ বাঁচবে কীভাবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘আজকে প্রধানমন্ত্রীকে সম্মানের সঙ্গে একটা কথা বলতে চাই, আমরা কিন্তু সামনের দিনগুলোত ঘর থেকে মিছিল নিয়ে রাস্তায় যাবো। সমস্ত মিছিল নিয়ে যেকোনো একটা চৌরাস্তায় গিয়ে আমরা মিলিত হবো। এই মিছিল রমনা থেকে বের হবে, শাহবাগ থেকে বেরুবে, শাহজাহানপুর থেকে বের হবে, ফকিরাপুল থেকে বের হবে, মতিঝিল থেকে বের হবে। সব একসঙ্গে আমরা ওই বঙ্গভবন কিংবা সরকারের সচিবালয় ঘেরাও করবো- মনে রাইখেন। সময় আসছে, গুলি করবে? অনেক গুলি কিনেছেন বিদেশ থেকে।

সাবেক এই মেয়র বলেন, খুব দুঃখের সঙ্গে বলছি অস্ত্রসহ একটা প্লেন ক্র্যাশ হলো। এই অস্ত্র কার জন্য ওরা আনতে গিয়েছিল? এ বিষয়ে একটা পরিষ্কার ব্যাখ্যা আমরা চাই।

আরও খবর: রাজনীতি