সারাদেশ

আবারও ৫ কোটি টাকার সোনার বার জব্দ

  প্রতিনিধি ৩ মার্চ ২০২৪ , ২:১৭:২৯ প্রিন্ট সংস্করণ

 

ঝিনাইদহ ব্যুরো

 

ঝিনাইদহের মহেশপুরের মাটিলা সীমান্ত সোনা চোরাচালান ও ধুড় পাচারের নিরাপদ রুট হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। স্থানীয় চোরাকারবারিরা মাটিলা সীমান্ত দিয়ে বিভিন্ন দ্রব্য পাচার করছে বলে অভিযোগ। এ অবস্থায় ৪৪ দিনের ব্যবধানে শনিবার (২ মার্চ) আবারও সোনার বার ধরা পড়েছে ওই সীমান্তে।

এ সময় উদ্ধার হয়েছে চার কোটি ৩৫ লাখ টাকা মূল্যোর ৫ কেজি সোনার বার। এই নিয়ে চলতি বছরের দুই দিনে সাড়ে ৯ কেজি সোনার বার জব্দ করল মহেশপুরের ৫৮ বিজিবি।

মহেশপুর ৫৮ বিজিবির অধিনায়ক এইচ এম সালাহউদ্দিন চৌধুরী এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানান, মহেশপুর ব্যাটালিয়ন (৫৮ বিজিবি) কর্তৃক নিজস্ব গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে মাটিলা এলাকা দিয়ে সোনা পাচারের তথ্য জানতে পারে। এমন খবর পেয়ে বিজিবি অধিনায়কের নেতৃত্বে মাটিলা বিওপির একটি বিশেষ টহল দল সীমান্ত পিলার ৫১ হতে ২৫০ গজ বাংলাদেশের অভ্যন্তরে অবস্থান গ্রহণ করেন।

তিনি জানান, শনিবার দুপুর পৌনে ১২টার দিকে চোরাকারবারি সীমান্ত সংলগ্ন কৃষিজমিতে কাজ করার বাহানায় সোনার চালানটি ভারতে নেওয়ার চেষ্টা করলে বিজিবি তাদের চ্যালেঞ্জ করে। এ সময় চোরাকারবারিরা সোনার বারের প্যাকেটটি ফেলে ভারতের অভ্যন্তরে পালিয়ে যায়। টহলদল ঘটনাস্থল থেকে সাদা প্যাকেটে মোড়ানো অবস্থায় প্রতিটি এক কেজি ওজনের পাঁচটি বার জব্দ করে। জব্দ সোনার বারের সিজার মূল্য ৪ কোটি ৩৫ লাখ ৯ হাজার ৯৪৫ টাকা। এ ঘটনায় মহেশপুর থানায় একটি মামলা হয়েছে। চোরাকারবারিদের শনাক্ত করে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের প্রক্রিয়া চলছে বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।

উল্লেখ্য, গত ১৭ জানুয়ারি মাটিলা সীমান্ত দিয়ে ভারতে পাচারের সময় সাড়ে চার কোজি ওজনের সোনার বার জব্দ করে বিজিবি। এ সময় মহেশপুর উপজেলার মাটিলা বাগান পাড়ার হযরত আলীর ছেলে রিমন হোসেনকে (২০) আটক করা হয়। এ ছাড়া গত ১৮ ও ১৪ ফেব্রুয়ারি মাটিলা সীমান্ত দিয়ে অবৈধভাবে বাংলাদেশে প্রবেশের সময় এক ভারতীয়সহ ৫৬ জনকে আটক করে বিজিবি।

 

আরও খবর: সারাদেশ