Uncategorized

পরিস্থিতি অর্থনীতি ও প্রেম নীতি!

  প্রতিনিধি ২২ আগস্ট ২০২২ , ২:৪৭:১৪ প্রিন্ট সংস্করণ

গল্প

মোঃ নুরুজ্জামান, সম্পাদক নীলাকাশ টুডেঃ সাগর ও নদী ৬ বছর ধরে প্রেম করছে কিন্তু সরাসরি কেও কাউকে দেখা দেয়নি। হটাৎ করে সিদ্ধান্ত হলো বিয়ের আগে একে অপরেকে দেখবে। সেই মতে নদী সাগরকে খুলনায় আসতে বললো প্রথম দর্শন হবে খুলনা রেল স্টেশনে। সেই মতে রেল স্টেশনে উপস্থিত সাগর। সাগর ফুলের তোড়া নিয়ে দীর্ঘ অপেক্ষা করছে রেল স্টেশনে। দুপুর ১২ টার ট্রেন আসলো ২ টার পরে। মাঝ দিকের একটি বগি থেকে নেমে ফোনে যোগাযোগ করছে নদী। রেল স্টেশনে এদিক ও দিক ছোটাছুটি করছে সাগর। সাথে সাগরে এক সিনিয়র বন্ধু রয়েছে। ফুলের তোড়া দিতে চাইলে নদীর আপত্তি ছিল এই কারণে ছবি তোলা হয়নি বলে সাগরের কিছুটা মন খারাপ। রেল স্টেশন থেকে সাগরের সিনিয়র বন্ধুর বাসায় গেলো তারা। বাসায় গেলে সিনিয়র বন্ধুর স্ত্রীর আপ্যায়নের সাগর নদী মুগ্ধ হলো। সাগর ও নদী একে অপরকে পছন্দ করেছে। সেখানে দুপুরে খাওয়া শেষে নদীর ট্রেনিং প্রোগ্রামের জন্য থেকে গেলো খুলনার অফিসের কোয়াটারে। সাগর বাসায় চলে আসলে। যাক সে কথা দীর্ঘ দিন প্রেম চলছে।

এবার বিয়ের পালা। সাগর বিয়ের প্রস্তাব দিলে আপত্তি তোলে নদী। আপত্তি তোলার কারণ হিসেবে নদীর বক্তব্য হচ্ছে সে শারীরিক ভাবে অসুস্থ তাই সাগরকে বিয়ে করে ক্ষতি করতে চাই না। সে সাগরকে বার বার মেয়ে দেখতে বলে। এক পর্যায়ে সাগরের এক বন্ধুর বান্ধবীকে পছন্দ হয়। ওই সময়ে সাগর তার বন্ধুদের মেয়ে দেখতে বললে বন্ধুরা বলে ওই বান্ধবীকে পছন্দ হয় কিনা জানাতে বলে।

এক পর্যায়ে পছন্দের কথা জানায় সাগর। সাগরের বন্ধুরা সুন্দরবনে ভ্রমণের প্রস্তাব দিলে সাগর ও তার বন্ধুর বান্ধবী রাজি হয়ে যায়। এর আগে সাগর তার প্রেমীকা নদীকে এই কথা জানালে নদী মেয়ে দেখতে যেতে বলে। এর পরে সাগর সুন্দরবন ভ্রমণে গিয়ে ওই মেয়ের পছন্দের কথা জানালে ঘুরে বসে প্রেমিকা নদী। সে বলে আমাকে তুমি ছেড়ে যেতে পারবে না। আমার শারীরিক সমস্যা সমাধানের জন্য উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে যাবো ৬ মাস পরে দেশে এসে তোমার সাথে বিবাহ করবো। এতেও রাজি হয়ে যায় সাগর। কারণ সাগরের ব্যবসা বাণিজ্য সব শেষ হয়েছে নদীকে সময় দিতে গিয়ে। যার ফলে অর্থনৈতিক অবস্থা খুব ভালো না সাগরের। কোন রকমে চলছে তার দিনকাল,,,,। পর্ব ৯ (চলবে)

আরও খবর: Uncategorized