সারাদেশ

হারিছ চৌধুরীর মেয়েকে হত্যার হুমকি, জিডি নিয়ে তোলপাড়!

  নীলাকাশ টুডেঃ ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ , ৫:১৭:১৬ প্রিন্ট সংস্করণ

 

 

২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলার মামলায় বহুল আলোচিত সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরীর পরিবার ফের আলোচনায়। তার মেয়ে সামিরা তানজিন চৌধুরীকে গলা টিপে হত্যার হুমকির প্রকাশ্য ঘোষণার পর তারই চাচা আশিক চৌধুরীর বিরুদ্ধে জিডি হয়েছে। সামিরার চাচাতো ভাই রাহাত চৌধুরী সিলেটের কানাইঘাট থানায় এই জিডি করেন। রাহাত হলেন হারিছ চৌধুরীর আপন ভাই নাজমুল হোসেন চৌধুরীর ছেলে।

এর আগে রাহাত চৌধুরী গত ২৩ জানুয়ারি কানাইঘাট থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেন। তবে সেটি আমলে নেওয়া নিয়ে পুলিশের গড়িমসি করার অভিযোগ তুলেছেন রাহাত। অবশেষে গত সোমবার অনলাইনে জিডি পাঠান রাহাত; যার নম্বর ১১৭২।

 

জিডিতে অভিযুক্ত করা হয়েছে- হারিছ চৌধুরীর চাচাতো ভাই ও কানাইঘাট উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আশিক চৌধুরীকে। জিডির ব্যাপারে তিনি বলেন, আমাদের পরিবারের ঐতিহ্য ধ্বংসে শয়তান লেগেছে। তার দাবি, সারা জীবন হারিছের গোলামি করলাম আমি আর এখন অমুক-তমুক এসে উত্তরাধিকার, অভিভাবক বনতে চাইছেন। বড়ভাই হারিছ নাই, এখন আমিই অভিভাবক। অভিভাবক হিসেবে শাসনের উদ্দেশে গলাটিপে হত্যার কথা বলেছি প্রকাশ্য অনুষ্ঠানে। চাচা ভাতিজিকে কি শাসন করতে পারি না?

গত ১৭ জানুয়ারি উপজেলার দীঘিরপাড় ইউনিয়নের রামধন গ্রামে হারিছ চৌধুরীর বাবার নামে প্রতিষ্ঠিত শফিকুল হক চৌধুরী মেমোরিয়াল এতিমখানায় শীতবস্ত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে এমন হুমকি দেন আশিক চৌধুরী। বক্তব্যের একপর্যায়ে ক্ষুব্ধ হয়ে তিনি হারিছ চৌধুরীর মেয়েকে ‘গলা টিপে হত্যা’র কথা বলেন। এ সময় হারিছ চৌধুরীর পরিবারের অন্য সদস্যদের নিয়েও বিষোদগার করেন তিনি। এছাড়া হারিছ চৌধুরী ও তার অন্যান্য ভাইয়ের পরিবারের সদস্যদের ওই এতিমখানায় ঢুকতে নিষেধ করেন এবং ঢুকলে মারধর করবেন বলে হুমকি প্রদান করেন। এমন বক্তব্যের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। বিষয়টি সিলেটসহ সারা দেশে তোলপাড় সৃষ্টি হয়।

মঙ্গলবার রাহাত চৌধুরী বলেন, আমি বার বার বিচারপ্রার্থী হলেও পুলিশের পক্ষ থেকে ‘বিষয়টি পারিবারিকভাবে শেষ করুন’ বলে বিদায় করে দেওয়া হয়।

কানাইঘাট থানার ওসি গোলাম দস্তগীর বলেন, ‘পারিবারিক ভাবে শেষ করুন’ এমন কথা নয়, আমরা শুধু বলেছিলাম- সামিরা বিষয়টি জানেন কিনা। না জানলে জানিয়ে জিডি করুন। জিডি হয়েছে, বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে। নেওয়া হবে আইনানুগ ব্যবস্থা।

সিলেটের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (কানাইঘাট সার্কেল) আবদুল করিম বলেন, পুলিশ জিডিটি আদালতে পাঠানোর নির্দেশনা চাইবে। এরপর পরবর্তী আইনি প্রক্রিয়া চালানো হবে।

উল্লেখ্য, গত বছরের ১১ জানুয়ারি রাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ‘হারিছ চৌধুরীর মৃত্যু’র খবর জানিয়ে একটি স্ট্যাটাস দিয়ে আলোচনায় আসেন তার চাচাতো ভাই আশিক চৌধুরী। তখন তিনি ফেসবুকে লিখেছিলেন, ‘২০২১ সালের সেপ্টেম্বরে করোনায় আক্রান্ত হয়ে হারিছ চৌধুরী মারা গেছেন।’

আরও খবর: সারাদেশ