সারাদেশ

হত্যার পর ১৭ বছর আত্মগোপন, অবশেষে র‍্যাবের হাতে গ্রেপ্তার!

  নীলাকাশ টুডেঃ ২৯ জানুয়ারি ২০২৩ , ১১:২৯:৫৫ প্রিন্ট সংস্করণ

 

মানিকগঞ্জ থেকে দেহ এবং টাঙ্গাইল থেকে মাথা উদ্ধারের ঘটনায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি আব্দুল কুদ্দুসকে (৪১) গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাব-১৪। হত্যাকাণ্ডের পর গ্রেপ্তার এড়াতে ১৭ বছর ধরে আত্মগোপনে ছিলেন কুদ্দুস।

রোববার (২৯ জানুয়ারি) দুপুরে নগরীর আকুয়া বাইপাস এলাকায় র‍্যাব-১৪ কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান র‍্যাব-১৪ এর অধিনায়ক ও অতিরিক্ত ডিআইজি মহিবুল ইসলাম খান। এর আগে শনিবার সন্ধ্যায় গাজীপুর জেলার বহেরার চালা এলাকা থেকে কুদ্দুসকে গ্রেপ্তার করা হয়।

 

র‍্যাব অধিনায়ক বলেন, ২০০৬ সালের মে মাসে মানিকগঞ্জ জেলার সাটুরিয়ার বেতুলিয়া গ্রামের শহিদুল ইসলামকে (৩৪) হত্যা করে মানিকগঞ্জের সাটুরিয়ায় দেহ এবং টাঙ্গাইলের নাগরপুরে খন্ডিত মস্তক ফেলে পালিয়ে যান আসামিরা। এ ঘটনায় ৩১ মে মানিকগঞ্জের সাটুরিয়া থানার এসআই আব্দুল জলিল বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলার পর থেকে আসামি পলাতক ছিলেন। ওই মামলায় তদন্ত শেষে তদন্তকারী কর্মকর্তা ৭ জনকে আসামি করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।

এই মামলায় ২০২১ সালের ডিসেম্বরে মানিকগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালত আসামি আব্দুল কুদ্দুসকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড ও ৫ হাজার টাকা জরিমানা করেন। আদালত তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করলে পরে র‍্যাব অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করে।

তিনি আরও বলেন, ভুক্তভোগী শহিদুল ইসলাম ২০০৪ সালে ধামরাই উপজেলার গোয়াড়ীপাড়ায় একটি অফিস ভাড়া নিয়ে বাংলা সমাজ উন্নয়ন সংস্থা’ নামক একটি সঞ্চয় ও ক্ষুদ্র ঋণদান সংস্থা প্রতিষ্ঠা করেন। সঞ্চয়, ঋণদান এবং ফিক্সড ডিপোজিট কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছিলেন তিনি। প্রতিষ্ঠানে লাভের পরিমাণও বৃদ্ধি পাচ্ছিল এবং একসময় তাদের একাউন্টে সদস্যদের সঞ্চয়ের বেশকিছু টাকা জমা হয়। সেই টাকা ও প্রতিষ্ঠানটির লোভে আসামিরা শহিদুলকে হত্যার পরিকল্পনা করে।

সেই পরিকল্পনা অনুযায়ী আসামি আব্দুল কুদ্দুসসহ অন্য আসামিরা শহিদুল ইসলামের সাথে গভীর সম্পর্ক তৈরি করে। বন্ধুত্বের এক পর্যায়ে তাকে পাত্রী দেখানোর কথা বলে মানিকগঞ্জে নিয়ে যায়। সেখানে নিয়ে রাজা মিয়া, সাহেদ, কুদ্দুস, বিষ্ণু সুইপার রশি দিয়ে গলা পেচিয়ে, রুমাল দিয়ে মুখ চেপে ধরে ভিকটিম শহিদুলকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। হত্যার পর শহিদুলের গলা কেটে মানিকগঞ্জে ও মাথা টাঙ্গাইলে নিয়ে ফেলে দেয়।

মহিবুল ইসলাম খান বলেন, এরপর থেকে আসামি আব্দুল কুদ্দুস পলিয়ে ছিলেন। পালিয়ে থাকা অবস্থায় নিজের মামাত ভাই’র নাম, তার বাবার নাম ও ঠিকানা ব্যবহার করে নিজের আইডি কার্ড তৈরি করে গাজীপুর জেলার শ্রীপুর এলাকায় আত্মগোপনে ছিলেন। আসামিকে টাঙ্গাইলের নাগরপুর থানায় হস্তান্তরের প্রক্রিয়াl চলছে।

আরও খবর: সারাদেশ