সারাদেশ

সাতক্ষীরায় দুই সন্তানের জননী উধাও!

  সাতক্ষীরা প্রতিনিধিঃ ১৬ এপ্রিল ২০২৩ , ৬:০৩:০৫ প্রিন্ট সংস্করণ

 

সাতক্ষীরা সদর উপজেলার বালিথা গ্রামের দুই সন্তানের জনকের হাত ধরে প্রেমের টানে ঘর বাঁধার আশায় অজানার উদ্দেশ্যে পাড়ি জমিয়েছে দুই সন্তানের জননী এক গৃহবধূ।

প্রাপ্ত তথ্যানুসন্ধানে জানা গেছে, বালিথা গ্রামের লেয়াকত শেখের কন্যা ২সন্তানের জননী হেনা খাতুনের সাথে আনুমানিক ১২ বছর পূর্বে জনৈক রওশন ঘোরামীর ছেলে মিলন ঘোরামীর ২য় বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে মিলন ঘোরামী শ্বশুর বাড়িতে ঘর জামাই থাকতো এবং তার বাড়িতে ১ম স্ত্রী ছিল। ঘর জামাই মিলন ঘোরামী ঢাকায় রিক্সা চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করতো। দীর্ঘ দিন ধরে মিলন ঘোরামী কাজের সুবাদে বাড়িতে না থাকার সুযোগে তার স্ত্রী হেনা খাতুন (৩২) বাটকে খালি গ্রামের আকবর আলীর ছেলে হাফিজুল ইসলাম (হ্যাপি)র সাথে পরকীয়া সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে।

সরে জমিনে জানা গেছে, বাগানবাড়ি গ্রামের আরশাদ আলীর ছেলে ইকরামুল ইসলাম ও বাবুরালির পুত্র মনিরুল ইসলাম দীর্ঘ সাত বছর ধরে বালিথা শেখ পাড়ায় একটি নার্সারি বাগান পরিচালনা করে জীবিকা নির্বাহ করতো।

উক্ত বাগানে গত এক বছর ধরে প্রেমিক হ্যাপী কাজ করার সুবাদে প্রেমিকা হেনা খাতুনের সাথে তার অবৈধ দৈহিক সম্পর্ক গড়ে ওঠে। একপর্যায় তারা প্রেমের টানে ঘর ছেড়ে গত ২২ দিন পূর্বে অজানার উদ্দেশ্যে পাড়ি জমায়। যাওয়ার সময় হেনা খাতুন বাড়ি থেকে তার বোনের বাড়িতে বেড়াতে যাচ্ছে বলে বের হয়। পরে ঘটনাটি জানাজানি হলে তার ঘরজামাই স্বামী মিলন ঘোরামী তার স্ত্রীর প্রেমিক হ্যাপীসহ নার্সারি মালিক একরামুল ইসলাম ও মনিরুল ইসলাম কে আসামি করে সাতক্ষীরার বিজ্ঞ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনালে একটি অপহরণ মামলা করেন। এ ব্যাপারে ঘরজামাই মিলন ঘোরামী সহ স্থানীয়রা জানান, হেনা খাতুন এর সাথে হ্যাপির দীর্ঘদিন অবৈধ দৈহিক সম্পর্ক থাকায় তারা পালিয়ে যায়।

তাকে খুঁজে পাওয়ার জন্য নার্সারী মালিক একরামুল ও মনিরুল ইসলামকে আসামি করে মামলা করেছি। সচেতন এলাকাবাসী অবিলম্বে তদন্ত পূর্বক যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সাতক্ষীরার পুলিশ সুপারের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন।

আরও খবর: সারাদেশ