সারাদেশ

শ্যামনগর অবৈধ ভাবে বালু উত্তোলন!

  প্রতিনিধি ২ অক্টোবর ২০২২ , ৫:৩২:৪২ প্রিন্ট সংস্করণ

 

 

শ্যামনগর অফিসঃ সাতক্ষীরার শ্যামনগরে অসাধু প্রভাবশালী ব্যক্তিরা স্থানীয় প্রশাসনকে ম্যানেজ করে সুন্দরবন সংলগ্নে ভাঙ্গন কবলিত নদী থেকে ড্রেজার মেশিনে ও লোকালয়ে বোরিং করে অবৈধ ভাবে বালু উত্তোলন অব্যহত রয়েছে। এমন অবস্থা চলতে থাকলে কোন মতে উপকূলীয় বেড়িবাঁধ রক্ষা হবে না এবং জীববৈচিত্র্য হুমকির মুখে পড়বে।

পরিবেশ অধিদপ্তর খুলনার তথ্যমতে বৃহত্তর খুলনা বিভাগে ৯ টি উপজেলার ৭ লাখ ৬২ হাজার হেক্টর জমি পরিবেশ গত সংকটাপন্ন এলাকা। খুলনা রিজার্ভ ফরেস্টের বাহিরে চারি দিকে ১০ কিলোমিটার বিস্তীর্ন এলাকা পরিবেশগত সংকটাপন্ন এলাকা হিসেবে গেজেটে ঘোষণা করা হয়েছে। ৯ টি উপজেলা হচ্ছে শ্যামনগর, আশাশুনি, কয়রা, পাইকগাছা, দাকোপ, বাগেরহাট, রামপাল, মোংলা মোড়লগঞ্জ, শরণখোলা। ১৪২৮-২৯ বাংলা সনে অর্থবছরে শ্যামনগরে কোন বালু মহল ঘোষণা না হলেও অসাধু প্রভাবশালী ব্যক্তিরা স্থানীয় প্রশাসনকে ম্যানেজ বালু উত্তোলন করে চলছে।

সরজমিন গিয়ে দেখা যায়, সুন্দরবন সংলগ্ন কপোতক্ষ নদীর গাবুরা জেলে খালি চরসহ তার আসে পাশে প্রতিদিন ভাটায় ১৫-২০ টি নৌকা ও মিনি কার্গো ড্রেজার মেশিনের অবৈধ ভাবে বালু উত্তোলন করে। জিজ্ঞেসা বাদে জানা গেছে, তাদের বাড়ি উপজেলা চাঁদনি মুখা গ্রামে এবং কয়রা ও পাইকগাছা উপজেলা তারা বালু উত্তোলন তাদের নিজস্ব এলাকায় বিক্রি করে থাকেন। এছাড়া সুন্দরবন সংলগ্নে মালঞ্চ নদীর কলবাড়ি আশ্রয়ন প্রকল্পের সামনে ও খোলপেটুয়া নদীর কুপট এলাকা থেকে একটি মহল অবৈধ ভাবে বালু উত্তোলন করে নওয়াবেকি বাজারে দুই পাশে, মুন্সিগঞ্জ বাস স্ট্যান্ডের পাশে ও ভেটখালি ব্রিজের উত্তর পাশে অবৈধ বালুর স্তুপ কারীদের নিকট ৪ থেকে ৫ টাকা ফুট দামে বিক্রি করে। আর ব্যবসায়ীরা ১০ থেকে ১২ টা ফুট দামে বিক্রি করে থাকে। বর্তমানে সরজমিনে গেলে তার প্রমান মিলবে।

এছাড়াও কৈখালী ইউনিয়নে ও পদ্মপুকুর ইউনিয়নে প্রতিনিয়ত অবৈধ ভাবে বালু উত্তোলন অব্যহত রয়েছে। এই বিষয়ে শ্যামনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ আকতার হোসেনের সাথে মুটো ফোনে কথা হলে তিনি বলেন, অবৈধ ভাবে বালু উত্তোলন হচ্ছে এটা আমার জানা নেই। তবে খোঁজ খবর নিয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

আরও খবর: সারাদেশ