সারাদেশ

শ্যামনগরে মাদ্রাসার পরিচালকের বিরুদ্ধে ফাঁদে ফেলার ব্যর্থ চেষ্টা ছাত্রীর!

  ডেস্ক রিপোর্টঃ ৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ , ১:৩২:৩৮ প্রিন্ট সংস্করণ

 

সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার বংশিপুর ফাতেমাতুজ জহুরা মহিলা মাদ্রাসার পরিচালক জিএম সামাদ গাজীর বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করে টাকা ও মোটরসাইকেল নেবে বলে বিভিন্ন ফন্দি আটকে সাংবাদিকদের কাছে মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে সংবাদ পরিবেশন করেছেন মাদ্রাসার  এক ছাত্রী। ভুক্তভোগী ওই ছাত্রীর অভিযোগ বংশীপুর ফাতেমাতুজ জহুরা মহিলা মাদ্রাসার পরিচালক সামাদ গাজী তাকে যৌন হয়রানি করেন।

এদিকে নীলাকাশ টুডে এর হাতে পিলে চকমকানো এক রেকর্ড ও অনন্য ছাত্রীদের বক্তব্যের ভিডিও সাক্ষাতকার হাতে এসেছে। মঙ্গলবার সন্ধ্যার পরে স্থানীয় একজন ঘটনার বিষয়ে খোঁজ খবর নিতে ভুক্তভোগী ওই ছাত্রীর বাড়িতে যান। খোঁজ খবর নেওয়ার এক পর্যায়ে ছাত্রীর মা মোটরসাইকেল ও টাকা দাবি করে বলেছেন, আমার মেয়েকে নিয়ে সমালোচনা করায় আমার মেয়ের সম্মান হানি হয়েছে। এখন আপনারা আমার মেয়ের ভবিষ্যত করে দেন। তাহলে আমাদের কোন অভিযোগ থাকবে না। ফাতেমাতুজ জহুরা মহিলা মাদ্রাসার পরিচালক জিএম সামাদ গাজী বলেছেন, আমাকে নিয়ে ওই ছাত্রী সাংবাদিকদের কাছে মিথ্যা ও বিভ্রান্ত মুলক অভিযোগ দিয়ে বিভিন্ন অনলাইন নিউজ পোর্টাল ও ফেসবুকে মিথ্যা তথ্য ছড়িয়ে আমার সম্মানহানী করে যাচ্ছেন। আমি সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের কাছে দাবি জানাচ্ছি তদন্ত সাপেক্ষে ওই ছাত্রীর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হোক। সেই সাথে আমার বিরুদ্ধে যে সংবাদ প্রকাশ ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সম্মানহানি করেছেন এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। সাংবাদিকদের প্রতি আমার আহবান আপনারা সত্য ঘটনা আড়াল করে বিভ্রান্ত মূলক সংবাদ পরিবেশেন করবেন না।

আমার প্রতিষ্ঠানের দুর্নাম ছড়িয়ে দিতে ওই ছাত্রীকে কেও উস্কে দিয়ে ও সাংবাদিকদের ভুল তথ্য দিয়ে সংবাদ পরিবেশ করে যাচ্ছে। স্থানীয়দের ধারণা কেও ওই ছাত্রীকে ব্যবহার করে মাদ্রাসার সুনাম নষ্ট করতে মরিয়া হয়ে উঠে পড়ে লেগেছে। কারণ এই মাদ্রাসা থেকে নিয়মিত হাফেজ শেষ করে ছাত্রীরা অনন্য মাদ্রাসা ভিত্তিক উচ্চ শিক্ষা লাভ করতে চলে যাচ্ছেন। এই বিষয়ে উপজেলা সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের কাছে সঠিক তদন্ত করে দোষীদের আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি সচেতন মহল।

আরও খবর: সারাদেশ