সারাদেশ

শ্যামনগরে ডাবল হত্যা মামলার আসামি ইউপি সদস্যসহ এই পর্যন্ত যে ১০ জন গ্রেপ্তার

  প্রতিনিধি ১৮ জুলাই ২০২২ , ৬:৫২:৩৬ প্রিন্ট সংস্করণ

 

নীলাকাশ টুডেঃ সাতক্ষীরার শ্যামনগরে বর্তমান ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) সদস্য ও সাবেক সদস্যের সমর্থকদের সংঘর্ষে দুজন নিহত হওয়ার ঘটনার মামলায় ইউপি সদস্য আবদুল হামিদ ওরফে লালটুসহ দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাব। গতকাল রোববার রাতে যশোরের মনিরামপুর উপজেলা সদর থেকে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়। এ নিয়ে এই মামলায় ১০ জনকে গ্রেপ্তার করা হলো।

আবদুল হামিদ শ্যামনগর উপজেলার রমজাননগর ইউপির সদস্য ও একই ইউনিয়নের টেংরাখালী গ্রামের বাসিন্দা। গ্রেপ্তার আরেক ব্যক্তি হলেন বাবলুর রহমান। তিনি উপজেলার একই ইউনিয়নের কালিঞ্চি গ্রামের বাসিন্দা। একই মামলায় এর আগে এজাহারভুক্ত চারজনসহ আটজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।

স্থানীয় বাসিন্দা সোহবান গাজী ও নজরুল ইসলাম বলেন, ৮ জুলাই সন্ধ্যায় উপজেলার টেংরাখালী গ্রামের রমজাননগর ইউপির ৮ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক সদস্য আবদুল বারী ও বর্তমান ইউপি সদস্য আবদুল হামিদের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এতে দুই পক্ষের ৩০ জন আহত হয়ে শ্যামনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সসহ বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হন।

ঘটনার দিন রাত আটটার দিকে আমির হোসেন শ্যামনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও আবদুল কাদেরকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার সময় মারা যান।

শ্যামনগর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ ওয়াহিদ মুর্শিদ বলেন, সংঘর্ষে দুজন নিহত হওয়ার ঘটনায় আবদুল বারী শ্যামনগর থানায় একটি হত্যা মামলা করেছেন। মামলায় ইউপি সদস্য আবদুল হামিদসহ ৭৩ জনকে আসামি করা হয়। এ ছাড়া মামলায় আরও ৫০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে। গতকাল রোববার রাতে গ্রেপ্তার আবদুল হামিদ ও বাবলুর রহমানকে রাতেই র‌্যাব সদস্যরা পুলিশের কাছে সোপর্দ করেছে। এছাড়া এই ঘটনায় আরও ৮ জনকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃতরা হলেন মোঃ নাসরি উদ্দীন কয়াল(৩২), মোঃ আলাউদ্দীন গাজী(২৯), মোঃ সাদেক আলী গাজী(৩৯) আলমগীর হোসেন মালী(২২), আব্দুল হামিদ, মনিরুল ইসলাম, লিটন ও আব্দুর রউফ। এদের সকলের বাড়ি শ্যামনগর উপজেলার রমজাননগর ইউনিয়নেই।

আরও খবর: সারাদেশ