সারাদেশ

শ্যামনগরে জেলেদের সাথে অমানবিক আচারণ বন কর্মকর্তার!

  শ্যামনগর অফিসঃ ১০ মার্চ ২০২৩ , ৩:০১:৪৯ প্রিন্ট সংস্করণ

 

সাতক্ষীরা সহকারি বন সংরক্ষক ও বুড়িগোয়ালিনী স্টেশন কর্মকর্তা মধ্যযুগীয় বর্বরতাকে হার মানিয়ে দিয়েছে
সুন্দরবন সাতক্ষীরা রেঞ্জের আওতাধীন দোবেকী, পুষ্পকাটি, নোটাবেকী, ও হলদেবুনিয়া বন টহল ফাড়ির অধিনে বেশ কিছু খাল রয়েছে। যাহা সরকারি ভাবে অভয়ারণ্য (নিষিদ্ধ) এলাকা ঘোষনা করা হয়েছে। উক্ত খালগুলোতে মাছ কাকড়া প্রজনন ঘটিয়ে থাকে। সাতক্ষীরা রেঞ্জের ৪টি স্টেশন যথা বুড়িগোয়ালিনী, কোবাদক, কদমতলা ও কৈখালী স্টেশন থেকে যে সমস্ত পারমিট ইস্যু করা হয় উক্ত পারমিটে স্টেশন থেকে সিল মারা থাকে। উহাতে কম্পামেন্ট নং ৪৯,৫১এ,৫১বি,৫২,৫৩,৫৪,ও ৫৫ সীল মারা থাকে। ১৩০ গ্রাম এর নিচে মহিলা কাকড়া, ২০০ গ্রামের নিচে পুরুষ কাকড়া ধারা নিষেধ, অভয়ারণ্য এলাকায় গাছকাটা, মাছ ধরা নিষিদ্ধ ও অ-জামিন যোগ্য অপরাধ, এ ছাড়া আটল দিয়ে কাঁকড়া ধরা নিষেধ। অথচ বুড়িগোয়ালিনী স্টেশনে কতিপয় দালালের মাধ্যমে পারমিট কাটা সহ নিষিদ্ধ এলাকায় মাছ কাঁকড়া আহরনের জন্য বুড়িগোয়ালিনী স্টেশন কর্মকর্তা নুরুল আলমের নিকট চুক্তিকৃত টাকা দিয়ে থাকেন। সাতক্ষীরা রেঞ্জ কর্মকর্তার নির্দেশে বুড়িগোয়ালিনী স্টেশন কর্মকতা নুরুল আলম সুন্দরবন উজাড়ের সমস্ত

কার্যক্রম করে থাকে বলে অভিযোগ উঠেছে। নিষিদ্ধ এলাকায় চুক্তিকৃত জেলেদের পাঠিয়ে স্মার্ট পেট্রোল টিমের সদস্যদের দ্বারা আটক করে আনেন। চুক্তিকৃত ১৪ জেলেকে সম্প্রতি আটক করে বুড়িগোয়ালিনী স্টেশনে নিয়ে আসেন। এর পর গরুর দড়ি দিয়ে বেধে সাতক্ষীরা আদালতে প্রেরণ করেন। এই ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়লে বিষয়টি নিয়ে তোলপাড় সৃষ্টি হয়। সেই সাধারণ মানুষের

মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে। সচেতন মহল বলছে বন বিভাগের সদস্যরা মধ্যযুগীয় বর্বরতা কে হার মানিয়ে দিয়েছে। পারমিটকৃত জেলেদের সাথে অমানষীক ব্যবহার করার জন্য তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা উচিত। এই বিষয়ে বন কর্মকর্তার বক্তব্য নেওয়ার জন্য যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।

আরও খবর: সারাদেশ